সুদিনে ফেরার অপেক্ষায় ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী সিল্ক

উৎসব-পার্বণে রাজশাহী সিল্কের চাহিদা ছিল আকাশচুম্বী। করোনায় গেল দু’বছর ধরে ব্যবসায় মন্দা। ক্রেতা নেই আগের মতো। বন্ধ হয়ে গেছে বহু কারখানা। যারা টিকে আছেন, তাদের লোকসানের পাল্লা ভারি হচ্ছে প্রতিদিনই। আগে ঈদ আসলে সারা বছরের ব্যবসা হয়ে যেত। করোনাকালে কমেছে বিকিকিনি। গতবারও লকডাউনের কারণে বেচাবিক্রি হয়নি। এবারো একই অবস্থা। লোকসানের পাল্লা ভারি হচ্ছে। কিন্তু করোনায় দু’বছরে বেচাকেনা তো দূরের কথা, অধিকাংশ তাঁত বন্ধ হয়ে গেছে লোকসান টানতে গিয়ে। এখন ঘুরে দাঁড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ।

ঈদ উপলক্ষে রাজশাহী সিল্ক কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে। সচ্ছল পরিবারের ঘরে রাজশাহী সিল্কের একটা শাড়ি বা পাঞ্জাবি ঈদে যাবে না তা যেন হয়ই না। ফলে রাজশাহীর অধিকাংশ সচ্ছল পরিবার ছুটেন সিল্ক শো-রুমগুলোতে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবার গত কয়েক বছরের চাইতে রোজার শুরু থেকেই সিল্ক কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। শো-রুমগুলোতেও এবার কাপড়ে এসেছে নতুনত্ব। বেচা-কেনাও জমেছে বেশ। এমনটিই জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গভীর রাত পর্যন্ত রেশম নগরী হিসেবে খ্যাত রাজশাহী সিল্কপল্লীর শো-রুমগুলোতে চলছে বেচা-কেনা। তবে ভিড় বাড়ছে মূলত দুপর থেকে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে সারারাত কেনাকাটা শুরু হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।

গতকাল রাজশাহীর সিল্কের শো-রুমগুলো সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শো-রুমগুলোতে ঈদ উপলক্ষে এবারো কাপড়ে এসেছে বাহারি রঙ ও ডিজাইন। যা কাপড়ে এনেছে নতুনত্ব। অ্যাম্ব্রয়ডারি, মসলিন, বলাকা, তসর, এন্ড্রি, ধুপিয়ানি, সফট সিল্ক, জয়শ্রী সিল্কের ওপর আকর্ষণীয় কারুকাজে সাজানো হয়েছে শাড়ি, থ্রি-পিস, ছেলেদের সার্ট, পাঞ্জাবিগুলো। তবে এবার সিল্কের বহরে যোগ হয়েছে মসলিনের ওপর আর্টপ্রিন্ট শাড়ি। এটি নিয়ে এসেছে সিল্ক কাপড়ের জগতে বাহারি ডিজাইনের অন্যতম প্রতিষ্ঠান সপুরা সিল্ক শো-রুম। নিজেদের ফ্যাক্টরিতে উৎপাদনকৃত কাপড়গুলোই বাজারজাত করে তারা। এবার নতুন যোগ হওয়া মসলিনের ওপর আর্টপ্রিন্ট শাড়ির চাহিদাও সাড়া ফেলেছে ক্রেতাদের মাঝে, এমনটি জানিয়েছেন সপুরা সিল্ক শো-রুমের ইনচার্জ সাইদুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘এবারও ঈদ ঘিরে আমরা নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় বাজারে এনেছি। তবে এর মধ্যে মসলিনের ওপর আর্টপ্রিট শাড়ির চাহিদা এবার ব্যাপক। নারীদের মাঝে এ ডিজাইনের শাড়ি ব্যাপক শাড়া ফেলেছে। বিক্রি হচ্ছে বেশি এটিই।’

এদিকে গতকাল দুপুরে রাজশাহীর বৃহৎ সপুরা সিল্ক ফ্যাক্টরি ও শো-রুম ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহীর বিসিক শিল্প এলাকায় মঠপুকুরের পাশেই বিশালাকার এলাকাজুড়ে সপুরা সিল্ক শো-রুম। শো-রুমটির নিচেই রয়েছে সিল্ক কাপড়ের ফ্যাক্টরি। সেখানেই তৈরি হচ্ছে ক্রেতাদের চাহিদা মতো শাড়ি, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, শার্ট। আর ওপরে দোতলা ও তিন তলায় সেই কাপড় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল দুপুরেও সিল্ক ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন। অন্যদিকে উপরের শো-রুমে চলছিল কেনাকাটা।

এ সময় কথা হয় সপুরা সিল্ক শো-রুমে সিল্কের শাড়ি কিনতে আসা জাহিদা পারভীন নামের এক নারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রাজশাহীর সিল্ক কাপড় ঈদে বাড়তি আনন্দ দেয়। এর কদর দেশজুড়ে। উৎসব পার্বণে এই সিল্ক কাপড় প্রিয়জনের হাতে তুলে দিতেও ভালো লাগে। তাই নিজের জন্য এবং বাড়ির সদস্যদের জন্যও কিনি প্রতি বছর। এবারও কিনতে এসেছি কয়েকটি শাড়ি।’

এ শো-রুমের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান জানান, এবারো ঈদ উপলক্ষে নারীদের শাড়ি কাপড়, থ্রি-পিস, সালোয়ার, পুরুষদের পাঞ্জাবিতে আনা হয়েছে নতুনত্ব। পাশাপাশি পুরনো ডিজাইনের তৈরি কাপড়গুলোও রয়েছে। এবারের ঈদে তাদের বড় আকর্ষণ কাটোয়ার ডিজাইনের শাড়ি। আর আছে র-সিল্কের ওপর হাতের কারুকাজ। বিভিন্ন ডিজাইনের এই শাড়িগুলোর দাম রাখা হয়েছে তিন হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। মসলিনের আর্ট প্রিন্ট শাড়ির দাম ধরা হয়েছে ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা।

এছাড়া সফট সিল্ক শাড়ি কাপড় বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৫০০ টাকা থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া বাটিক সিল্ক তিন হাজার ২০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা, বলাকা সিল্ক ৭ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিল্কের তৈরি থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৬০০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ঈদের ভালো চলছে পার্টি ড্রেসও। শিশু-কিশোরীদের মধ্যে বেশ সারা ফেলেছে। মসলিন সিল্কের এই কাপড় পড়বে ১২ হাজার টাকা।

উষা সিল্কের ব্যবস্থাপক জহুরুল ইসলাম বলেন, মেয়েদের থ্রি-পিসের মধ্যে রয়েছে মসলিন এমব্রয়ডারি, মসলিন এপলিক, সফট সিল্ক, এনডি সিল্ক ও বিভিন্ন হাতের কাজ করা থ্রি-পিস। আড়াই হাজার থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকায় এসব থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. লিয়াকত আলী বলেন, এমনিতে তো রেশম শিল্প ধ্বংসের পথে। তারপরও কোনরকম চলছিল এ খাত। করোনাভাইরাস এসে এ খাত ব্যাপক লোকসানে পড়েছে।

তিনি বলেন, রেশম শিল্পের দুইটি অংশ। একটি গুটি থেকে সুতা উৎপাদন, আরেকটি হচ্ছে বস্ত্র খাত। বস্ত্র খাতের মাধ্যমে পোশাক তৈরি করা হয়। যারা পোশাক তৈরি করে তাদেরও বেচাবিক্রি বন্ধ। শুধু তাই নয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় আড়াইশ’ তাঁতের সঙ্গে যুক্ত ১০ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাঁত বন্ধ থাকায় তারা বেতনও পাননি।

তিনি বলেন, এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি প্রণোদনা প্রয়োজন। এজন্য রেশম উন্নয়ন বোর্ডকে এগিয়ে আসতে হবে।

শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ২১ রমাদ্বান ১৪৪৩

সুদিনে ফেরার অপেক্ষায় ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী সিল্ক

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

image

উৎসব-পার্বণে রাজশাহী সিল্কের চাহিদা ছিল আকাশচুম্বী। করোনায় গেল দু’বছর ধরে ব্যবসায় মন্দা। ক্রেতা নেই আগের মতো। বন্ধ হয়ে গেছে বহু কারখানা। যারা টিকে আছেন, তাদের লোকসানের পাল্লা ভারি হচ্ছে প্রতিদিনই। আগে ঈদ আসলে সারা বছরের ব্যবসা হয়ে যেত। করোনাকালে কমেছে বিকিকিনি। গতবারও লকডাউনের কারণে বেচাবিক্রি হয়নি। এবারো একই অবস্থা। লোকসানের পাল্লা ভারি হচ্ছে। কিন্তু করোনায় দু’বছরে বেচাকেনা তো দূরের কথা, অধিকাংশ তাঁত বন্ধ হয়ে গেছে লোকসান টানতে গিয়ে। এখন ঘুরে দাঁড়ানো বড় চ্যালেঞ্জ।

ঈদ উপলক্ষে রাজশাহী সিল্ক কাপড়ের চাহিদা বাড়ছে। সচ্ছল পরিবারের ঘরে রাজশাহী সিল্কের একটা শাড়ি বা পাঞ্জাবি ঈদে যাবে না তা যেন হয়ই না। ফলে রাজশাহীর অধিকাংশ সচ্ছল পরিবার ছুটেন সিল্ক শো-রুমগুলোতে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবার গত কয়েক বছরের চাইতে রোজার শুরু থেকেই সিল্ক কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। শো-রুমগুলোতেও এবার কাপড়ে এসেছে নতুনত্ব। বেচা-কেনাও জমেছে বেশ। এমনটিই জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গভীর রাত পর্যন্ত রেশম নগরী হিসেবে খ্যাত রাজশাহী সিল্কপল্লীর শো-রুমগুলোতে চলছে বেচা-কেনা। তবে ভিড় বাড়ছে মূলত দুপর থেকে। আগামী দুই-একদিনের মধ্যে সারারাত কেনাকাটা শুরু হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।

গতকাল রাজশাহীর সিল্কের শো-রুমগুলো সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, শো-রুমগুলোতে ঈদ উপলক্ষে এবারো কাপড়ে এসেছে বাহারি রঙ ও ডিজাইন। যা কাপড়ে এনেছে নতুনত্ব। অ্যাম্ব্রয়ডারি, মসলিন, বলাকা, তসর, এন্ড্রি, ধুপিয়ানি, সফট সিল্ক, জয়শ্রী সিল্কের ওপর আকর্ষণীয় কারুকাজে সাজানো হয়েছে শাড়ি, থ্রি-পিস, ছেলেদের সার্ট, পাঞ্জাবিগুলো। তবে এবার সিল্কের বহরে যোগ হয়েছে মসলিনের ওপর আর্টপ্রিন্ট শাড়ি। এটি নিয়ে এসেছে সিল্ক কাপড়ের জগতে বাহারি ডিজাইনের অন্যতম প্রতিষ্ঠান সপুরা সিল্ক শো-রুম। নিজেদের ফ্যাক্টরিতে উৎপাদনকৃত কাপড়গুলোই বাজারজাত করে তারা। এবার নতুন যোগ হওয়া মসলিনের ওপর আর্টপ্রিন্ট শাড়ির চাহিদাও সাড়া ফেলেছে ক্রেতাদের মাঝে, এমনটি জানিয়েছেন সপুরা সিল্ক শো-রুমের ইনচার্জ সাইদুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘এবারও ঈদ ঘিরে আমরা নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় বাজারে এনেছি। তবে এর মধ্যে মসলিনের ওপর আর্টপ্রিট শাড়ির চাহিদা এবার ব্যাপক। নারীদের মাঝে এ ডিজাইনের শাড়ি ব্যাপক শাড়া ফেলেছে। বিক্রি হচ্ছে বেশি এটিই।’

এদিকে গতকাল দুপুরে রাজশাহীর বৃহৎ সপুরা সিল্ক ফ্যাক্টরি ও শো-রুম ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহীর বিসিক শিল্প এলাকায় মঠপুকুরের পাশেই বিশালাকার এলাকাজুড়ে সপুরা সিল্ক শো-রুম। শো-রুমটির নিচেই রয়েছে সিল্ক কাপড়ের ফ্যাক্টরি। সেখানেই তৈরি হচ্ছে ক্রেতাদের চাহিদা মতো শাড়ি, থ্রি-পিস, পাঞ্জাবি, শার্ট। আর ওপরে দোতলা ও তিন তলায় সেই কাপড় বিক্রি হচ্ছে। গতকাল দুপুরেও সিল্ক ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা কাপড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন। অন্যদিকে উপরের শো-রুমে চলছিল কেনাকাটা।

এ সময় কথা হয় সপুরা সিল্ক শো-রুমে সিল্কের শাড়ি কিনতে আসা জাহিদা পারভীন নামের এক নারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রাজশাহীর সিল্ক কাপড় ঈদে বাড়তি আনন্দ দেয়। এর কদর দেশজুড়ে। উৎসব পার্বণে এই সিল্ক কাপড় প্রিয়জনের হাতে তুলে দিতেও ভালো লাগে। তাই নিজের জন্য এবং বাড়ির সদস্যদের জন্যও কিনি প্রতি বছর। এবারও কিনতে এসেছি কয়েকটি শাড়ি।’

এ শো-রুমের ব্যবস্থাপক সাইদুর রহমান জানান, এবারো ঈদ উপলক্ষে নারীদের শাড়ি কাপড়, থ্রি-পিস, সালোয়ার, পুরুষদের পাঞ্জাবিতে আনা হয়েছে নতুনত্ব। পাশাপাশি পুরনো ডিজাইনের তৈরি কাপড়গুলোও রয়েছে। এবারের ঈদে তাদের বড় আকর্ষণ কাটোয়ার ডিজাইনের শাড়ি। আর আছে র-সিল্কের ওপর হাতের কারুকাজ। বিভিন্ন ডিজাইনের এই শাড়িগুলোর দাম রাখা হয়েছে তিন হাজার ৫০০ টাকা থেকে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। মসলিনের আর্ট প্রিন্ট শাড়ির দাম ধরা হয়েছে ৩ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা।

এছাড়া সফট সিল্ক শাড়ি কাপড় বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৫০০ টাকা থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া বাটিক সিল্ক তিন হাজার ২০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা, বলাকা সিল্ক ৭ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিল্কের তৈরি থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৬০০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ঈদের ভালো চলছে পার্টি ড্রেসও। শিশু-কিশোরীদের মধ্যে বেশ সারা ফেলেছে। মসলিন সিল্কের এই কাপড় পড়বে ১২ হাজার টাকা।

উষা সিল্কের ব্যবস্থাপক জহুরুল ইসলাম বলেন, মেয়েদের থ্রি-পিসের মধ্যে রয়েছে মসলিন এমব্রয়ডারি, মসলিন এপলিক, সফট সিল্ক, এনডি সিল্ক ও বিভিন্ন হাতের কাজ করা থ্রি-পিস। আড়াই হাজার থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকায় এসব থ্রি-পিস বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. লিয়াকত আলী বলেন, এমনিতে তো রেশম শিল্প ধ্বংসের পথে। তারপরও কোনরকম চলছিল এ খাত। করোনাভাইরাস এসে এ খাত ব্যাপক লোকসানে পড়েছে।

তিনি বলেন, রেশম শিল্পের দুইটি অংশ। একটি গুটি থেকে সুতা উৎপাদন, আরেকটি হচ্ছে বস্ত্র খাত। বস্ত্র খাতের মাধ্যমে পোশাক তৈরি করা হয়। যারা পোশাক তৈরি করে তাদেরও বেচাবিক্রি বন্ধ। শুধু তাই নয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রায় আড়াইশ’ তাঁতের সঙ্গে যুক্ত ১০ হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাঁত বন্ধ থাকায় তারা বেতনও পাননি।

তিনি বলেন, এ খাতকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি প্রণোদনা প্রয়োজন। এজন্য রেশম উন্নয়ন বোর্ডকে এগিয়ে আসতে হবে।