নেত্রকোনায় হাওরে পানি কমলেও আধাপাকা ধান নিয়ে বিপাকে চাষিরা

নেত্রকোনায় ধনু নদের পানি কিছুটা কমলে এখনো বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বাঁধগুলো এখনো চরম ঝুঁকিতে। বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ফাটল দেখা দিলেও চলছে সার্বক্ষণিক মেরামত কাজ। এমতাবস্থায় ফসলডুবির শঙ্কায় আধাপাকা ধান কেটেছেন হাওরাঞ্চলের চাষিরা। কিন্তু বাজারে ধানের মূল্য কম হওয়ায় উৎপাদন ব্যায় উঠছে না কৃষকদের। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন দরিদ্র কৃষকরা।

জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীর ধনু নদের পানি কিছুটা কমেছে। যদিও এখনো বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়েইে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে খালিয়াজুরীও আশাখালি, পায়রা, কীর্তনখোলা, রসুলপুর বাঁধগুলোর বিভিন্ন অংশ। ফসলডুবির শঙ্কায় আধাপাকা ধান কেটেছেন কৃষকরা। নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের পরিচর্যায় এখন রাতদিন চলছে ধান শুকিয়ে ঘরে তোলার কর্মব্যস্ততা।

তড়িঘড়ি করেই গু-খাদ্য সংগ্রহ করছেন চাষিরা। কিন্তু ফসল তলিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে আধাপাকা ধান কেটে এখন অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন তারা। কৃষকরা বলছেন, কাঙ্খিত ফলন ও দাম না পাওয়ায় উৎপাদন ব্যায় উঠছে না তাদের। এতে লোকশানের মুখে পড়েছেন চাষিরা। এখনো অধিকাংশ ফসল কাঁচা অবস্থায় থাকায় পুরো ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। সব ফসল ঘরে তুলতে এখনো সপ্তাহ ১০ দিন সময় প্রয়োজন। ধানের মান তেমন ভালো না হওযায় বাজারে দামও অনেকটাই কম। এতে কিছুতেই পুষিয়ে উঠতে পারছেন না তারা।

এদিকে খালিয়াজুরী হাওরাঞ্চলে এরইমধ্যে ৭০ ভাগেরও বেশি ধান কাটা হয়েছে। বাকি ফসল রক্ষায় বাঁধগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত হাওরাঞ্চলে অতিবৃষ্টির পানিতে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে বাঁধগুলো। বিভিন্ন স্থানে নতুন করে আবারও ফাটল ধরেছে। মেরামতে সার্বক্ষণিক তদারকি করায় এখনো কোথাও ভেঙে যায়নি। অতিরিক্ত পানির চাপে শঙ্কা এখনো কাটেনি।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে জেলায় এ বছর ১ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এরমাঝে শুধু হাওরাঞ্চলেই আবাদ হয়েছে ৪১ হাজার হেক্টর। পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে এরইমধ্যে অধিকাংশ আধাপাকা ধান কেটেছেন চাষিরা।

image

নেত্রকোনা : অঞ্চলে আধাপাকা ধান মাড়াই হচ্ছে - সংবাদ

আরও খবর
বাজার নিয়ন্ত্রণহীন, ফের দাম বাড়ছে সবজিসহ কাঁচা পণ্যে
পাকিস্তান বাহিনীকে প্রতিরোধের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তৎপরতা বৃদ্ধি
বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা উদ্দেশ্য প্রণোদিত : ফখরুল
দক্ষিণাঞ্চলে ডায়রিয়া পরিস্থিতির কোন উন্নতি নেই
নৌ-যাত্রীদের নিরাপত্তায় ১২ দফা দাবি
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের তথ্য গুজব : প্রতিমন্ত্রী
কোম্পানীগঞ্জে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, নেতাদের বাসায় হামলা
সরাইলে পুলিশ হেফাজতে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
রংপুর সিটির কামালকাছনা মহিগঞ্জ সড়ক নির্মাণের ৬ মাসের মধ্যে ফাটল ও গর্ত

শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ২১ রমাদ্বান ১৪৪৩

নেত্রকোনায় হাওরে পানি কমলেও আধাপাকা ধান নিয়ে বিপাকে চাষিরা

প্রতিনিধি, নেত্রকোনা

image

নেত্রকোনা : অঞ্চলে আধাপাকা ধান মাড়াই হচ্ছে - সংবাদ

নেত্রকোনায় ধনু নদের পানি কিছুটা কমলে এখনো বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়েই প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বাঁধগুলো এখনো চরম ঝুঁকিতে। বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ফাটল দেখা দিলেও চলছে সার্বক্ষণিক মেরামত কাজ। এমতাবস্থায় ফসলডুবির শঙ্কায় আধাপাকা ধান কেটেছেন হাওরাঞ্চলের চাষিরা। কিন্তু বাজারে ধানের মূল্য কম হওয়ায় উৎপাদন ব্যায় উঠছে না কৃষকদের। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন দরিদ্র কৃষকরা।

জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল খালিয়াজুরীর ধনু নদের পানি কিছুটা কমেছে। যদিও এখনো বিপদসীমার ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়েইে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে খালিয়াজুরীও আশাখালি, পায়রা, কীর্তনখোলা, রসুলপুর বাঁধগুলোর বিভিন্ন অংশ। ফসলডুবির শঙ্কায় আধাপাকা ধান কেটেছেন কৃষকরা। নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরদের পরিচর্যায় এখন রাতদিন চলছে ধান শুকিয়ে ঘরে তোলার কর্মব্যস্ততা।

তড়িঘড়ি করেই গু-খাদ্য সংগ্রহ করছেন চাষিরা। কিন্তু ফসল তলিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে আধাপাকা ধান কেটে এখন অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন তারা। কৃষকরা বলছেন, কাঙ্খিত ফলন ও দাম না পাওয়ায় উৎপাদন ব্যায় উঠছে না তাদের। এতে লোকশানের মুখে পড়েছেন চাষিরা। এখনো অধিকাংশ ফসল কাঁচা অবস্থায় থাকায় পুরো ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। সব ফসল ঘরে তুলতে এখনো সপ্তাহ ১০ দিন সময় প্রয়োজন। ধানের মান তেমন ভালো না হওযায় বাজারে দামও অনেকটাই কম। এতে কিছুতেই পুষিয়ে উঠতে পারছেন না তারা।

এদিকে খালিয়াজুরী হাওরাঞ্চলে এরইমধ্যে ৭০ ভাগেরও বেশি ধান কাটা হয়েছে। বাকি ফসল রক্ষায় বাঁধগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম। তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার পর্যন্ত হাওরাঞ্চলে অতিবৃষ্টির পানিতে অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে বাঁধগুলো। বিভিন্ন স্থানে নতুন করে আবারও ফাটল ধরেছে। মেরামতে সার্বক্ষণিক তদারকি করায় এখনো কোথাও ভেঙে যায়নি। অতিরিক্ত পানির চাপে শঙ্কা এখনো কাটেনি।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে জেলায় এ বছর ১ লাখ ৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এরমাঝে শুধু হাওরাঞ্চলেই আবাদ হয়েছে ৪১ হাজার হেক্টর। পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আতঙ্কে এরইমধ্যে অধিকাংশ আধাপাকা ধান কেটেছেন চাষিরা।