প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের তথ্য গুজব : প্রতিমন্ত্রী

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো প্রশ্নফাঁসের তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ধরনের কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য আমরা পাইনি। যদি কারও কাছে তথ্য থাকে, আমাদের জানাবেন। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’

গতকাল বেলা ১১টায় প্রথম ধাপে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার শুরুতে রাজধানীর ইডেন কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। পরে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তথ্যানুসন্ধানে প্রতিমন্ত্রীর কথার সত্যতাও মিলেছে। জানা যায়, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এমনকি ফেইসবুকে একটি প্রশ্নপত্রের ছবিও ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরীক্ষা শেষে দুটি প্রশ্নপত্রের মধ্যে কোন মিল পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ অসত্য।

এক প্রশ্নের জাবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এত বিরাট সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ তার মধ্যে একটি।’

৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা শুক্রবার বেলা ১১টায় শুরু হয়। এক ঘণ্টাব্যাপী এ পরীক্ষা শেষ হয় দুপুর ১২টায়। দেশের ২২ জেলায় প্রথম ধাপে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্যে ১৪ জেলার সবকটি উপজেলায় এবং আটটি জেলার কয়েকটি উপজেলায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। ৪৫ হাজার পদের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী। সেই হিসাবে প্রতি পদের জন্য লড়ছেন ২৯ প্রার্থী। যেসব জেলা-উপজেলায় পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছেÑ প্রথম ধাপে চাঁপাইনবাগঞ্জ, মাগুরা, শেরপুর, গাজীপুর, নরসসিংদী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, লালমনিরহাট জেলার সব উপজেলার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এছাড়া সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, বেলকুচি, চৌহালী, কামারখন্দ, কাজীপুর, যশোরের ঝিকরগাছা, কেশবপুর, মনিরামপুর, শার্শা, ময়মনসিংহের ভালুকা, ধোবাউড়া, ফুলবাড়িয়া, গফরগাঁও, গৌরীপুর, হালুয়াঘাট, ঈশ্বরগঞ্জ, নেত্রকোনার আটপাড়া, বারহাট্টা, দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, ভৈরব, হোসেনপুর, ইটনা, করিমগঞ্জ, কটিয়াদি, টাঙ্গাইলের সদর, ভুয়াপুর, দেলদুয়ার, ধনবাড়ি, ঘাটাইল, গোপালপুর, কুমিল্লার বরুয়া, ব্রাহ্মণপাড়া, বুড়িচং, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, সদর, মেঘনা, দাউদকান্দি এবং নোয়াখালীর কবিরহাট, সদর, সেনবাগ, সোনাইমড়ি, সুবর্ণচর উপজেলার প্রার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে আগামী ২০ মে। এ ধাপে ৩০ জেলার মধ্যে আট জেলার সব ও ২২ জেলার কয়েকটি উপজেলায় পরীক্ষা হবে। এছাড়া শেষ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩ জুন। এ ধাপে পরীক্ষা হবে ৩১ জেলায়। এর মধ্যে ১৭ জেলার সব ও ১৪ জেলার কয়েকটি উপজেলায় পরীক্ষা হবে।

শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২ , ১০ বৈশাখ ১৪২৮ ২১ রমাদ্বান ১৪৪৩

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের তথ্য গুজব : প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো প্রশ্নফাঁসের তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। এ ধরনের কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য আমরা পাইনি। যদি কারও কাছে তথ্য থাকে, আমাদের জানাবেন। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব।’

গতকাল বেলা ১১টায় প্রথম ধাপে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার শুরুতে রাজধানীর ইডেন কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। পরে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তথ্যানুসন্ধানে প্রতিমন্ত্রীর কথার সত্যতাও মিলেছে। জানা যায়, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে বলে দাবি করা হয়। এমনকি ফেইসবুকে একটি প্রশ্নপত্রের ছবিও ছড়িয়ে পড়ে। তবে পরীক্ষা শেষে দুটি প্রশ্নপত্রের মধ্যে কোন মিল পাওয়া যায়নি। অর্থাৎ প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ অসত্য।

এক প্রশ্নের জাবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এত বিরাট সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ তার মধ্যে একটি।’

৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষা শুক্রবার বেলা ১১টায় শুরু হয়। এক ঘণ্টাব্যাপী এ পরীক্ষা শেষ হয় দুপুর ১২টায়। দেশের ২২ জেলায় প্রথম ধাপে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যার মধ্যে ১৪ জেলার সবকটি উপজেলায় এবং আটটি জেলার কয়েকটি উপজেলায় পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। ৪৫ হাজার পদের বিপরীতে আবেদন করেছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী। সেই হিসাবে প্রতি পদের জন্য লড়ছেন ২৯ প্রার্থী। যেসব জেলা-উপজেলায় পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছেÑ প্রথম ধাপে চাঁপাইনবাগঞ্জ, মাগুরা, শেরপুর, গাজীপুর, নরসসিংদী, মানিকগঞ্জ, ঢাকা, মাদারীপুর, মুন্সীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, লালমনিরহাট জেলার সব উপজেলার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এছাড়া সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, বেলকুচি, চৌহালী, কামারখন্দ, কাজীপুর, যশোরের ঝিকরগাছা, কেশবপুর, মনিরামপুর, শার্শা, ময়মনসিংহের ভালুকা, ধোবাউড়া, ফুলবাড়িয়া, গফরগাঁও, গৌরীপুর, হালুয়াঘাট, ঈশ্বরগঞ্জ, নেত্রকোনার আটপাড়া, বারহাট্টা, দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম, বাজিতপুর, ভৈরব, হোসেনপুর, ইটনা, করিমগঞ্জ, কটিয়াদি, টাঙ্গাইলের সদর, ভুয়াপুর, দেলদুয়ার, ধনবাড়ি, ঘাটাইল, গোপালপুর, কুমিল্লার বরুয়া, ব্রাহ্মণপাড়া, বুড়িচং, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, সদর, মেঘনা, দাউদকান্দি এবং নোয়াখালীর কবিরহাট, সদর, সেনবাগ, সোনাইমড়ি, সুবর্ণচর উপজেলার প্রার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা হবে আগামী ২০ মে। এ ধাপে ৩০ জেলার মধ্যে আট জেলার সব ও ২২ জেলার কয়েকটি উপজেলায় পরীক্ষা হবে। এছাড়া শেষ ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩ জুন। এ ধাপে পরীক্ষা হবে ৩১ জেলায়। এর মধ্যে ১৭ জেলার সব ও ১৪ জেলার কয়েকটি উপজেলায় পরীক্ষা হবে।