বাজার মূলধন বাড়লো ছয় হাজার কোটি টাকা

সপ্তাহের প্রথম দই কার্যদিবস পতন হয়েছিল শেয়ারবাজারে। তবে পরের তিন কার্যদিবস বড় উত্থান হয়েছে। এর মাধ্যমে গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে সব সূচক বেড়েছে। সূচকের সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। আর সপ্তাহটিতে বাজার মূলধন সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা বেড়েছে।

জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২৯ হাজার ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৮১ হাজার ৮৪০ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬১৮ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ৪২১ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ছয় হাজার ৫৯৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮১ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দুই হাজার ৭৪৪ কোটি ২৬ লাখ ৪০ হাজার ২১২ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ২৬৩ কোটি ৬৭ লাখ ৭০ হাজার ৯০৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৪৮০ কোটি ৫৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩০৬ টাকা বা ২১ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৭.৩৯ পয়েন্ট বা ১.১৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৬৬২.৩৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৬.৮৪ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৭.৬২ পয়েন্ট বা ১.৫৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৬৪.৬৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৪৭৮.০৮ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৬টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৪টির বা ৫২.৮৫ শতাংশের, কমেছে ১৪০টির বা ৩৬.২৭ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির বা ১০.৮৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৬৪ কোটি ৯২ লাখ ৭১ হাজার ৫৮৫ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৩ কোটি ০১ লাখ ৪০ হাজার ৭৭২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৯১ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৮৬৩ টাকা বা ১২৬ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২২৬.৫২ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫৯৩.৪২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৩৭.৫১ পয়েন্ট বা ১.১৮ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১৯৩.৮২ পয়েন্ট বা ১.৩৭ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২২.৫৯ পয়েন্ট বা ১.৫৭ শতাংশ এবং সিএসআই ১৪.৭৭ পয়েন্ট বা ১.২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ৭৫৬.৮০ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ২৪৯.২৯ পয়েন্টে, এক হাজার ৪৬৪.০১ পয়েন্টে এবং এক হাজার ২৪১.৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৮৪টির বা ৫৩.৬৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৩৮টির বা ৪০.২৩ শতাংশের কমেছে এবং ২১টির বা ৬.১২ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ২১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৫ দশমিক ৪১ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৫ দশমিক ২০ পয়েন্ট।

খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৫ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ২৩ পয়েন্ট, সিরামিকস খাত ২৮.৭ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ২২.৪ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ১৮.৭ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ২৩.৬ পয়েন্ট, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে ১১.৬ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১৬.৮ পয়েন্ট, আইটি খাতে ২৪.৬ পয়েন্ট, পাট খাতে ২৮৭.২ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ১২.১ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৭.৪ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩২.২ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১৬.৯ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১৭.৫ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৫১ দশমিক ৩ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৭.১ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতে ১৬.৮ পয়েন্ট ও ভ্রমণ-অবকাশ খাতে ৫৯ পয়েন্ট অবস্থান করছে।

রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২ , ১১ বৈশাখ ১৪২৮ ২২ রমাদ্বান ১৪৪৩

বাজার মূলধন বাড়লো ছয় হাজার কোটি টাকা

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

সপ্তাহের প্রথম দই কার্যদিবস পতন হয়েছিল শেয়ারবাজারে। তবে পরের তিন কার্যদিবস বড় উত্থান হয়েছে। এর মাধ্যমে গত সপ্তাহে শেয়ারবাজারে সব সূচক বেড়েছে। সূচকের সাথে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। আর সপ্তাহটিতে বাজার মূলধন সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা বেড়েছে।

জানা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৫ লাখ ২৯ হাজার ২৪ কোটি ৬৫ লাখ ৮১ হাজার ৮৪০ টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬১৮ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ৪২১ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ছয় হাজার ৫৯৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮১ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দুই হাজার ৭৪৪ কোটি ২৬ লাখ ৪০ হাজার ২১২ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল দুই হাজার ২৬৩ কোটি ৬৭ লাখ ৭০ হাজার ৯০৬ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৪৮০ কোটি ৫৮ লাখ ৬৯ হাজার ৩০৬ টাকা বা ২১ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৭.৩৯ পয়েন্ট বা ১.১৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৬৬২.৩৬ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৬.৮৪ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩৭.৬২ পয়েন্ট বা ১.৫৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৬৪.৬৩ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৪৭৮.০৮ পয়েন্টে।

গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৮৬টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২০৪টির বা ৫২.৮৫ শতাংশের, কমেছে ১৪০টির বা ৩৬.২৭ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির বা ১০.৮৮ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৬৪ কোটি ৯২ লাখ ৭১ হাজার ৫৮৫ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৩ কোটি ০১ লাখ ৪০ হাজার ৭৭২ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৯১ কোটি ৯১ লাখ ৩০ হাজার ৮৬৩ টাকা বা ১২৬ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২২৬.৫২ পয়েন্ট বা ১.১৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৫৯৩.৪২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ১৩৭.৫১ পয়েন্ট বা ১.১৮ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ১৯৩.৮২ পয়েন্ট বা ১.৩৭ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ২২.৫৯ পয়েন্ট বা ১.৫৭ শতাংশ এবং সিএসআই ১৪.৭৭ পয়েন্ট বা ১.২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ৭৫৬.৮০ পয়েন্টে, ১৪ হাজার ২৪৯.২৯ পয়েন্টে, এক হাজার ৪৬৪.০১ পয়েন্টে এবং এক হাজার ২৪১.৭০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৮৪টির বা ৫৩.৬৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ১৩৮টির বা ৪০.২৩ শতাংশের কমেছে এবং ২১টির বা ৬.১২ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত সপ্তাহে ডিএসই’র সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) বেড়েছে। আগের সপ্তাহের চেয়ে পিই রেশিও বেড়েছে দশমিক ২১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৫ দশমিক ৪১ পয়েন্টে। এর আগের সপ্তাহে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১৫ দশমিক ২০ পয়েন্ট।

খাতভিত্তিক হিসাবে পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭.৫ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ২৩ পয়েন্ট, সিরামিকস খাত ২৮.৭ পয়েন্ট, প্রকৌশল খাতে ২২.৪ পয়েন্ট, আর্থিক খাতে ১৮.৭ পয়েন্ট, খাদ্য খাতে ২৩.৬ পয়েন্ট, জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাতে ১১.৬ পয়েন্ট, সাধারণ বিমা খাতে ১৬.৮ পয়েন্ট, আইটি খাতে ২৪.৬ পয়েন্ট, পাট খাতে ২৮৭.২ পয়েন্ট, বিবিধ খাতে ১২.১ পয়েন্ট, মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ৭.৪ পয়েন্ট, কাগজ খাতে ৩২.২ পয়েন্ট, ওষুধ খাতে ১৬.৯ পয়েন্ট, সেবা-আবাসন খাতে ১৭.৫ পয়েন্ট, ট্যানারি খাতে ৫১ দশমিক ৩ পয়েন্ট, টেলিকমিউনিকেশন খাতে ১৭.১ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতে ১৬.৮ পয়েন্ট ও ভ্রমণ-অবকাশ খাতে ৫৯ পয়েন্ট অবস্থান করছে।