স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে উত্তপ্ত বৈকুণ্ঠপুর চা-বাগান

প্রতিবাদে ফুঁসছে চা-শ্রমিকরা

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বৈকুন্ঠপুর চা বাগানে কর্মরত চা শ্রমিকদের মধ্যে জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন, কথিত গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী শ্রমিকের কারণে চা বাগানের শান্ত পরিবেশ অশান্ত হওয়ার উপক্রম। ফলশ্রুতিতে নিরীহ চা শ্রমিকরা পড়ছে বিপাকে। নিরুপায় হয়ে তারা আজ প্রতিবাদী। জীবিকার একমাত্র মাধ্যম চা বাগান টিকিয়ে রাখতে তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে বলে জানায় একাধিক চা শ্রমিক।

সরজমিনে ঘুরে ও অনুসদ্ধানে জানা যায়,হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইসরাত জাহান এর আদেশে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেয় বাগান কর্তৃপক্ষ, কিন্তু নতুন করে বিশৃঙ্খলা তৈরীর জন্য কয়েকজন শ্রমিক বেতন নিতে নিরুৎসাহিত করার প্রচারণা চালায়। এতে করেই ক্ষিপ্ত হয় সাধারণ চা শ্রমিকদের অধিকাংশ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জড়ো হতে থাকে অফিস রুমের সামনে খালি জায়গায়। বলাবলি শুরু করে বাগানে আর অন্যায় হতে দেব না। কয়েক জনের জন্য বাগান বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে কিছুদিন আগে ৩৮ দিন বন্ধ ছিল বৈকুন্ঠপুর চা বাগান। জেলা প্রশাসন ইসরাত জাহান ও মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈনের সহায়তায় শ্রমিকদের সাথে সমঝোতায় বাগান পুনরায় চালু হয়। বাগানের সি,সি,টি,ভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শ্রম আইন অনুযায়ী ছাটাই করা হয়,এবং তাদের পরিবারের নিরঅপরাধীদের চাকুরী দেওয়া হয়। এতে স্বার্থান্বেষী মহলের মনোপুত না হওয়ায় রাতের আধারে বাগানের চারাগাছ কেটে ফেলা ও বাগানের ম্যানেজার শামসুল হক ভুঁইয়া কে আসামি করে একটি মামলা টুকে দেয় আদালতে। যা মাধবপুর থানায় তদন্তাধীন আছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি,বাবুল বলেন, পঞ্চায়েত কে না জানিয়ে এ মামলাটি করা হয়েছে। যদি ঘটনা সত্যিই হত আগে পঞ্চায়েত কে জানাত। আমি জানি না কখন মামলা দায়ের করছে। তাছাড়া এই মামলার ব্যাপারে আমি ভ্যালির মিটিং এ ও আলোচনা করছি। একজন সম্মানিত ম্যানেজারের নামে এভাবে মিথ্যা মামলা করা উচিত হয়নি। সমস্যা থাকলে বাগান মালিকের সাথে, ম্যানেজারের সাথে কি, উনি ও তো চাকুরী করেন। ম্যানেজার কে হ্যারেজম্যান্ট করার মানে হয় না। আগেও ম্যানেজারের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে, এখনো ম্যানেজার কে শারীরিক অপদস্ত করে উল্টো ম্যানেজারের নামেই মামলা করার পেছনে কারন কি জানতে চাইলে সভাপতি, বাবুল বলেন ঈদের পর আমরা এর বিচার করব। সাধারণ শ্রমিক রা আজ প্রতিবাদ করার জন্য জড়ো হয়েছে এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি, জানতে চাইলে তিনি বলেন আমিও ব্যাক্তিগত ভাবে চাই না বাগান আবার বন্ধ হোক।

মামলার ব্যাপারে জানতে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, এজহারে এম,সি’র কথা উল্লেখ থাকলেও বাদী তা অদ্যাবধি দেখাতে ও জমা দিতে পারে নি। তাছাড়া তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২ , ১১ বৈশাখ ১৪২৮ ২২ রমাদ্বান ১৪৪৩

স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্ধনে উত্তপ্ত বৈকুণ্ঠপুর চা-বাগান

প্রতিবাদে ফুঁসছে চা-শ্রমিকরা

প্রতিনিধি, মাধবপুর (হবিগঞ্জ)

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বৈকুন্ঠপুর চা বাগানে কর্মরত চা শ্রমিকদের মধ্যে জ্বলছে প্রতিবাদের আগুন, কথিত গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী শ্রমিকের কারণে চা বাগানের শান্ত পরিবেশ অশান্ত হওয়ার উপক্রম। ফলশ্রুতিতে নিরীহ চা শ্রমিকরা পড়ছে বিপাকে। নিরুপায় হয়ে তারা আজ প্রতিবাদী। জীবিকার একমাত্র মাধ্যম চা বাগান টিকিয়ে রাখতে তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে বলে জানায় একাধিক চা শ্রমিক।

সরজমিনে ঘুরে ও অনুসদ্ধানে জানা যায়,হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইসরাত জাহান এর আদেশে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেয় বাগান কর্তৃপক্ষ, কিন্তু নতুন করে বিশৃঙ্খলা তৈরীর জন্য কয়েকজন শ্রমিক বেতন নিতে নিরুৎসাহিত করার প্রচারণা চালায়। এতে করেই ক্ষিপ্ত হয় সাধারণ চা শ্রমিকদের অধিকাংশ। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জড়ো হতে থাকে অফিস রুমের সামনে খালি জায়গায়। বলাবলি শুরু করে বাগানে আর অন্যায় হতে দেব না। কয়েক জনের জন্য বাগান বন্ধ হতে দেওয়া যাবে না। প্রসঙ্গত, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে কিছুদিন আগে ৩৮ দিন বন্ধ ছিল বৈকুন্ঠপুর চা বাগান। জেলা প্রশাসন ইসরাত জাহান ও মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম মঈনের সহায়তায় শ্রমিকদের সাথে সমঝোতায় বাগান পুনরায় চালু হয়। বাগানের সি,সি,টি,ভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শ্রম আইন অনুযায়ী ছাটাই করা হয়,এবং তাদের পরিবারের নিরঅপরাধীদের চাকুরী দেওয়া হয়। এতে স্বার্থান্বেষী মহলের মনোপুত না হওয়ায় রাতের আধারে বাগানের চারাগাছ কেটে ফেলা ও বাগানের ম্যানেজার শামসুল হক ভুঁইয়া কে আসামি করে একটি মামলা টুকে দেয় আদালতে। যা মাধবপুর থানায় তদন্তাধীন আছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি,বাবুল বলেন, পঞ্চায়েত কে না জানিয়ে এ মামলাটি করা হয়েছে। যদি ঘটনা সত্যিই হত আগে পঞ্চায়েত কে জানাত। আমি জানি না কখন মামলা দায়ের করছে। তাছাড়া এই মামলার ব্যাপারে আমি ভ্যালির মিটিং এ ও আলোচনা করছি। একজন সম্মানিত ম্যানেজারের নামে এভাবে মিথ্যা মামলা করা উচিত হয়নি। সমস্যা থাকলে বাগান মালিকের সাথে, ম্যানেজারের সাথে কি, উনি ও তো চাকুরী করেন। ম্যানেজার কে হ্যারেজম্যান্ট করার মানে হয় না। আগেও ম্যানেজারের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে, এখনো ম্যানেজার কে শারীরিক অপদস্ত করে উল্টো ম্যানেজারের নামেই মামলা করার পেছনে কারন কি জানতে চাইলে সভাপতি, বাবুল বলেন ঈদের পর আমরা এর বিচার করব। সাধারণ শ্রমিক রা আজ প্রতিবাদ করার জন্য জড়ো হয়েছে এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি, জানতে চাইলে তিনি বলেন আমিও ব্যাক্তিগত ভাবে চাই না বাগান আবার বন্ধ হোক।

মামলার ব্যাপারে জানতে তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা যায়, এজহারে এম,সি’র কথা উল্লেখ থাকলেও বাদী তা অদ্যাবধি দেখাতে ও জমা দিতে পারে নি। তাছাড়া তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।