মাধবদীতে বেশ কিছু বৃহৎ পোশাক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়েগেছে।সব কিছু সাভাবিক হলেও পাইকারি বাজারে সুতা,রং সহ কাচাঁমালের সাভাবিক সরবরাহে সিন্ডিকেট ব্যবসায়িদের কারসাজিতে সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ায় কারখানায় উৎপাদন ব্যহত এবং স্বল্প উৎপাদিত কাপড় ও তৈরি পোশাক বিক্রি করতে না পারায় শ্রমিকদের বেতন/বিল দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে মালিকদের। আর এ কারনেই এসব তাঁত ও পাওয়ার লোম কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।স্বল্প সংখক কারখানা চালু থাকলেও বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।কাপড় প্রস্তুতকারক তাঁত ও পাওয়ার লোম কারখানা বন্ধ হলে সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গেছে ডাইং,ফিণিশিং,পসেশিং কারখানা গুলিও।তাই বিশাল সমজীবি মানুষ কর্মহীন। মাধবদী,শেখেরচর বাবুর হাট এলাকা প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই তাঁত ও পাওয়ার লোমে তৈরি কাপড় উৎপাদন ও বৃহৎ বিপননের সাথে জড়িত এসব শ্রমজীবি মানুষ এখানকার কাঠের তৈরি হস্ত তাঁত ও পাওয়ারলোম ফ্যাক্টরিতে বংশানুক্রমে শ্রম বিনিয়োগ করে সংসার পরিচালনা করতেন। বর্তমান সময়ে হঠাৎ করে অন্য কাজে দিন মজুর হিসেবে কাজ করেও তেমন দক্ষতা প্রদর্শন করতে করতে পারছেননা অনেকেই তাই উপার্জিত দৈনিক আয়ের অর্থে সংসার চালতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের।অপরদিকে বেকার হয়ে পড়া অধিকাংশ যুবক কিশোর-কিশোরি শ্রমিক এখন অনেকই বাবা-মায়ের সংসারে বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে।সারাদেশের অধিকাংশ এলাকার কাপড় ও তৈরি পোশাকের চাহিদা পূরণ হয় মাধবদীর তাঁত ও পাওয়ার লোমে তৈরি কাপড় দিয়েই।স্বনামধন্য দেশীয় পোশাক তৈরি প্রতিষ্ঠান আড়ং সহ বিভিন্ন বৃহৎ তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানেও সিংহভাগ কাপড় সরবরাহ হয় মাধবদী থেকেই। প্রায় দু’যুগ আগে থেকেই বিশ্বের প্রায় /১৫/২০টি দেশে সম্মানজনক ভাবে রপ্তানী হচ্ছে এখানকার কিছু বৃহৎ তাঁত ও পাওয়ারলোম ফ্যক্টরিতে উৎপাদিত কাপড় এবং উল্যেখযোগ্য তৈরি পোশাক। যেকোন শিল্প কারখানা বা পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নি¤œ শ্রেণীর শ্রমজীবিদের শ্রমের বিনিময়েই উন্নয়নের উচ্চশিখরে আরোহণ করে।সে শ্রমজীবীদের জীবনে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি কখনই। নারী/পুরুষের মজুরী বৈষম্যও দূর হয়নি এখনও।তাদের প্রতি মালিক পক্ষের অবহেলা নির্যাতন ছাড়াও নারী/পুরুষের মজুরী বৈষম্যও দূর হয়নি কখনই। অথচ প্রতিটি বৃহৎ উৎপাদনশীল প্রষ্ঠিানের উন্নয়নের মূল ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় অবহেলিত নি¤œ শেণীর শ্রমিকদের শরীরে ঘাম আর বুকের তাজা রক্তই মিশে আছে বেশী প্রতিটি উৎপাদিত পণ্যে। কিন্তু যুগ যুগ পেড়িয়ে গেলেও সেই শ্রমিকদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। তাদের ন্যায্য মজুরিও নির্ধারিত হয়নি আজও।কিন্তু যুগ যুগ পেড়িয়ে গেলেও সে সব শ্রমিকদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। তাদের ন্যায্য মজুরিও নির্ধারিত হয়নি আজও।আর তাই মালিক পক্ষের ইচ্ছা মাফিক কাজ করেও শঙ্কাগ্রস্ত থাকতে হয় প্রতিটি শ্রমিককে।কারন লিখিত কোন নিয়োগ চুক্তি না থাকায় যখন তখন ছাটাই বা কারখানা থেকে বের করে দিলেও প্রতিবাদ ক্ষমতা নেই তাদের।মালিকদের নিকট কারখানা বন্ধের কারন জানতে চাইলে তারা বলেন বিভিন্ন জেলায় কাপড় পাঠানো বন্ধ, অনেক কারখানায় কাঁচামাল তুলা, রং, সুতা খুচরা যন্ত্রাংশ সমস্যার কারনে বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
গত ৬ সেপ্টম্বর ভূইয়া ক্সেটাইল মিল, জাকির ইয়ার্ণ ট্রেডিং কারখানা, মোল্লা স্পিণিং মিলস সহ বেশ কিছু কারখানায় মালিক পাওয়া না গেলেও ম্যানেজার বা পরিচালকদের সাথে কথা বলার সময় তারা জানান এটা একান্তই মালিকের ব্যাপার।
মালিকদের কথামতোই ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
মাধবদী সহ নরসিংদী সদর উপজেলার কোন কারখানায়ই শ্রমিকদের কোন লিখিত নিয়োগ নেই।দিনে এবং রাতে কাজের উপর মজুরি।আর তাই যখন তখন শ্রমিক ছাটাই বা বহিস্কার অথবা কারখানা বন্ধ করলে ও কোন অভিযোগ করার জায়গা নেই শ্রমিকদের। মাধবদীতে শ্রমিকদের কোন সংগঠন ও করতে দেয়া হয়না বলে জানিয়েছেন বেকার হয়ে পড়া অসহায় শ্রমজীবী মানুষ।
রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২ , ১১ বৈশাখ ১৪২৮ ২২ রমাদ্বান ১৪৪৩
প্রতিনিধি, মাধবদী (নরসিংদী)
মাধবদীতে বেশ কিছু বৃহৎ পোশাক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়েগেছে।সব কিছু সাভাবিক হলেও পাইকারি বাজারে সুতা,রং সহ কাচাঁমালের সাভাবিক সরবরাহে সিন্ডিকেট ব্যবসায়িদের কারসাজিতে সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ায় কারখানায় উৎপাদন ব্যহত এবং স্বল্প উৎপাদিত কাপড় ও তৈরি পোশাক বিক্রি করতে না পারায় শ্রমিকদের বেতন/বিল দেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে মালিকদের। আর এ কারনেই এসব তাঁত ও পাওয়ার লোম কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।স্বল্প সংখক কারখানা চালু থাকলেও বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।কাপড় প্রস্তুতকারক তাঁত ও পাওয়ার লোম কারখানা বন্ধ হলে সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গেছে ডাইং,ফিণিশিং,পসেশিং কারখানা গুলিও।তাই বিশাল সমজীবি মানুষ কর্মহীন। মাধবদী,শেখেরচর বাবুর হাট এলাকা প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই তাঁত ও পাওয়ার লোমে তৈরি কাপড় উৎপাদন ও বৃহৎ বিপননের সাথে জড়িত এসব শ্রমজীবি মানুষ এখানকার কাঠের তৈরি হস্ত তাঁত ও পাওয়ারলোম ফ্যাক্টরিতে বংশানুক্রমে শ্রম বিনিয়োগ করে সংসার পরিচালনা করতেন। বর্তমান সময়ে হঠাৎ করে অন্য কাজে দিন মজুর হিসেবে কাজ করেও তেমন দক্ষতা প্রদর্শন করতে করতে পারছেননা অনেকেই তাই উপার্জিত দৈনিক আয়ের অর্থে সংসার চালতে হিমসিম খেতে হচ্ছে তাদের।অপরদিকে বেকার হয়ে পড়া অধিকাংশ যুবক কিশোর-কিশোরি শ্রমিক এখন অনেকই বাবা-মায়ের সংসারে বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে।সারাদেশের অধিকাংশ এলাকার কাপড় ও তৈরি পোশাকের চাহিদা পূরণ হয় মাধবদীর তাঁত ও পাওয়ার লোমে তৈরি কাপড় দিয়েই।স্বনামধন্য দেশীয় পোশাক তৈরি প্রতিষ্ঠান আড়ং সহ বিভিন্ন বৃহৎ তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানেও সিংহভাগ কাপড় সরবরাহ হয় মাধবদী থেকেই। প্রায় দু’যুগ আগে থেকেই বিশ্বের প্রায় /১৫/২০টি দেশে সম্মানজনক ভাবে রপ্তানী হচ্ছে এখানকার কিছু বৃহৎ তাঁত ও পাওয়ারলোম ফ্যক্টরিতে উৎপাদিত কাপড় এবং উল্যেখযোগ্য তৈরি পোশাক। যেকোন শিল্প কারখানা বা পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নি¤œ শ্রেণীর শ্রমজীবিদের শ্রমের বিনিময়েই উন্নয়নের উচ্চশিখরে আরোহণ করে।সে শ্রমজীবীদের জীবনে উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি কখনই। নারী/পুরুষের মজুরী বৈষম্যও দূর হয়নি এখনও।তাদের প্রতি মালিক পক্ষের অবহেলা নির্যাতন ছাড়াও নারী/পুরুষের মজুরী বৈষম্যও দূর হয়নি কখনই। অথচ প্রতিটি বৃহৎ উৎপাদনশীল প্রষ্ঠিানের উন্নয়নের মূল ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় অবহেলিত নি¤œ শেণীর শ্রমিকদের শরীরে ঘাম আর বুকের তাজা রক্তই মিশে আছে বেশী প্রতিটি উৎপাদিত পণ্যে। কিন্তু যুগ যুগ পেড়িয়ে গেলেও সেই শ্রমিকদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। তাদের ন্যায্য মজুরিও নির্ধারিত হয়নি আজও।কিন্তু যুগ যুগ পেড়িয়ে গেলেও সে সব শ্রমিকদের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। তাদের ন্যায্য মজুরিও নির্ধারিত হয়নি আজও।আর তাই মালিক পক্ষের ইচ্ছা মাফিক কাজ করেও শঙ্কাগ্রস্ত থাকতে হয় প্রতিটি শ্রমিককে।কারন লিখিত কোন নিয়োগ চুক্তি না থাকায় যখন তখন ছাটাই বা কারখানা থেকে বের করে দিলেও প্রতিবাদ ক্ষমতা নেই তাদের।মালিকদের নিকট কারখানা বন্ধের কারন জানতে চাইলে তারা বলেন বিভিন্ন জেলায় কাপড় পাঠানো বন্ধ, অনেক কারখানায় কাঁচামাল তুলা, রং, সুতা খুচরা যন্ত্রাংশ সমস্যার কারনে বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
গত ৬ সেপ্টম্বর ভূইয়া ক্সেটাইল মিল, জাকির ইয়ার্ণ ট্রেডিং কারখানা, মোল্লা স্পিণিং মিলস সহ বেশ কিছু কারখানায় মালিক পাওয়া না গেলেও ম্যানেজার বা পরিচালকদের সাথে কথা বলার সময় তারা জানান এটা একান্তই মালিকের ব্যাপার।
মালিকদের কথামতোই ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
মাধবদী সহ নরসিংদী সদর উপজেলার কোন কারখানায়ই শ্রমিকদের কোন লিখিত নিয়োগ নেই।দিনে এবং রাতে কাজের উপর মজুরি।আর তাই যখন তখন শ্রমিক ছাটাই বা বহিস্কার অথবা কারখানা বন্ধ করলে ও কোন অভিযোগ করার জায়গা নেই শ্রমিকদের। মাধবদীতে শ্রমিকদের কোন সংগঠন ও করতে দেয়া হয়না বলে জানিয়েছেন বেকার হয়ে পড়া অসহায় শ্রমজীবী মানুষ।