পাতালরেল নির্মাণ বাস্তবসম্মত নয়

কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার (এসটিপি) বাইরে গিয়ে ঢাকায় সাবওয়ে বা পাতাল রেলওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত নয় বলে জানিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।

তাদের মতে, সাবওয়ের মতো গণপরিবহন ব্যবস্থা টেকসই হবার জন্য আমাদের নগর ও আঞ্চলিক এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত জনসংখ্যা বিদ্যমান থাকলেও আমাদের মাথাপিছু আয় ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিবেচনায় এই প্রকল্পের অতি উচ্চ বিনিয়োগ ব্যয় ও পরিচালন ব্যয়ের কারণে এই প্রকল্প আমাদের ঢাকা শহরের জন্য বাস্তবসম্মত নয়।

তাই পাতালরেলের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে ঢাকার যানজট সমাধানের জন্য ফুটপাত উদ্ধার ও উন্নত বাস সার্ভিসের প্রতি জোর দিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদ। গত শুক্রবার ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) এক ভার্চুয়াল সংলাপে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

সংলাপের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইপিডির নির্বাহী পরিচালক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক পরিকল্পনাবিদ ড.আদিল মুহাম্মদ খান।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে ২০৫০ সালের মধ্যে ২৫৮ কিলোমিটার পাতালরেল নির্মাণ করতে চায় সরকার। এতে মোট ১১টি রুট থাকবে। এর মধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে চারটি রুট চালুর পরিকল্পনা আছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে সম্ভাব্যতা যাচাই ও প্রাথমিক নকশা তৈরির কাজ শেষ হবে। এ কাজেই ব্যয় হবে ৩১৮ কোটি টাকা।’

আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘২৫৮ কিলোমিটার পাতালরেল তৈরিতে মোট ব্যয় হবে ৬৫ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হবে প্রায় ২ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা। ২০৩০ সালের মধ্যে চারটি রুট নির্মাণ করতে যে ব্যয় হবে, তা চলতি অর্থবছরে দেশের মোট বাজেটের প্রায় অর্ধেক।’

এমন ব্যয়বহুল প্রকল্প নেয়ার জন্য ঢাকা শহর প্রস্তুত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যেসব দেশে পাতালরেল নির্মাণ করা হয়েছে, সেসব দেশের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় আমাদের চেয়ে ২০ থেকে ৪০ গুণ বেশি।’ ঢাকার সমস্যা সমাধানে তিনি সাশ্রয়ী ব্যয়ে রেলপথ উন্নয়ন, পথচারীবান্ধব ফুটপাত নির্মাণ ও বাসসেবাকে উন্নত করার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে আইপিডির পরিচালক ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ তার আয়ের কত শতাংশ যাতায়াতে ব্যয় করবেন, সেই বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে। তার মতে, পাতালরেলে নিয়মিত যাতায়াতে একজনের মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। তাছাড়া পুরান ঢাকা ছাড়া শহরের অন্য অঞ্চলের মাটির অবস্থাও খারাপ। এমন মাটির নিচ দিয়ে রেলপথ তৈরি করলে খরচ বেশি হয়।’ খরচের বিষয়টি বিবেচনা করে আপাতত পাতালরেল না করার পক্ষে মত দেন তিনি।

মূল প্রবন্ধে ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘সাবওয়ে উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সীমিত সংখ্যক কিছু শহরে নির্মিত হলে ও সাবওয়ে নির্মাণ অতি ব্যয়বহুল প্রকল্প। ফলে বিশ্বের অতি ধনী দেশগুলোও এখন নতুন করে নগরের বিস্তৃত নেটওয়ার্কজুড়ে সাবওয়ে নির্মাণের মতো উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নেয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে না। সেখানে বাংলাদেশ যদি ও মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হবার যাত্রাপথে আছে, আমাদের মাথাপিছু আয় উন্নত দেশের তুলনায় এখনও অতি অল্প।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় যেখানে প্রায় ২ হাজার ডলার, সেখানে আমেরিকার ৭০ হাজার (বাংলাদেশের ৩৫ গুণ), সিংগাপুর ৬৫ হাজার (৩৩ গুণ), জার্মানি ৫০ হাজার (২৫ গুণ), ইংল্যান্ড ৪৫ হাজার (২৩ গুণ), জাপান ৪০ হাজার ডলার (বাংলাদেশের ২০ গুণ)। ফলে সাবওয়ে নির্মাণের মতো অর্থনৈতিক শক্তি আমাদের নেই বললেই চলে।’

অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘সাধারণত এক কিলোমিটার সাবওয়ে লাইন নির্মাণে অন্তত ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে নির্মিত সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো দেশ ও প্রশাসনিক অঞ্চলগুলোতে পাতাল রেলের নির্মাণ ব্যয় আরও বেশি। সিঙ্গাপুরের ডাউনটাউন এমআরটি লাইন (পুরোটাই পাতালপথে) নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হয়েছে ৪৯৩ মিলিয়ন ডলার। আর হংকংয়ের শা তিন সেন্ট্রাল লিংক নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হয়েছে ৫৮৬ মিলিয়ন ডলার। ঢাকার সাবওয়ের প্রাথমিকভাবে প্রতি কিলোমিটার খরচ ধরা হয়েছে ২৭৫ মিলিয়ন ডলার।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকার টেকসই যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তুলবার লক্ষ্যে ২০০৫ সালে ঢাকা কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করায় যার আলোকে মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, বিআরটি প্রকল্পসমূহ ঢাকা নগরীতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এই পরিকল্পনার পরিমার্জন করে সংশোধিত ঢাকা কৌশলগত পরিকল্পনা ২০১৬ সালে প্রস্তুত করা হয় যার আলোকে সরকার মেট্রোরেলের নতুন রুট তৈরিসহ অন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছে।’

‘কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি), সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার (আরএসটিপি) প্রস্তাবনার বাইরে ঢাকার যানজট সমাধান করবার লক্ষ্যে সরকার ‘ঢাকা পাতালরেল (সাবওয়ে) প্রকল্প’ নেবার উদ্যোগ গ্রহণ করতে আগ্রহী যার আলোকে সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা চলছে।’

‘ঢাকা পাতালরেল (সাবওয়ে) প্রকল্প’ নগরের টেকসই পরিবহন পরিকল্পনার প্রাসঙ্গিকতায় কতটুকু উপযোগী এবং পরিবহন পরিকল্পনা ও নগর পরিকল্পনায় এই প্রকল্পের সামগ্রিক অর্থনৈতিক-সামাজিক-ভৌত-পরিকল্পনাগত-পরিবেশগত প্রভাব বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হওয়া সত্ত্বেও সাবওয়ে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে এই বিষয়গুলোর অধিকাংশকেই সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে।’

রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২ , ১১ বৈশাখ ১৪২৮ ২২ রমাদ্বান ১৪৪৩

পাতালরেল নির্মাণ বাস্তবসম্মত নয়

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার (এসটিপি) বাইরে গিয়ে ঢাকায় সাবওয়ে বা পাতাল রেলওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত নয় বলে জানিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।

তাদের মতে, সাবওয়ের মতো গণপরিবহন ব্যবস্থা টেকসই হবার জন্য আমাদের নগর ও আঞ্চলিক এলাকাগুলোতে পর্যাপ্ত জনসংখ্যা বিদ্যমান থাকলেও আমাদের মাথাপিছু আয় ও অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিবেচনায় এই প্রকল্পের অতি উচ্চ বিনিয়োগ ব্যয় ও পরিচালন ব্যয়ের কারণে এই প্রকল্প আমাদের ঢাকা শহরের জন্য বাস্তবসম্মত নয়।

তাই পাতালরেলের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে ঢাকার যানজট সমাধানের জন্য ফুটপাত উদ্ধার ও উন্নত বাস সার্ভিসের প্রতি জোর দিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদ। গত শুক্রবার ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) এক ভার্চুয়াল সংলাপে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

সংলাপের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইপিডির নির্বাহী পরিচালক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক পরিকল্পনাবিদ ড.আদিল মুহাম্মদ খান।

তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরে ২০৫০ সালের মধ্যে ২৫৮ কিলোমিটার পাতালরেল নির্মাণ করতে চায় সরকার। এতে মোট ১১টি রুট থাকবে। এর মধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে চারটি রুট চালুর পরিকল্পনা আছে। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাসে সম্ভাব্যতা যাচাই ও প্রাথমিক নকশা তৈরির কাজ শেষ হবে। এ কাজেই ব্যয় হবে ৩১৮ কোটি টাকা।’

আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘২৫৮ কিলোমিটার পাতালরেল তৈরিতে মোট ব্যয় হবে ৬৫ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হবে প্রায় ২ হাজার ৩৬২ কোটি টাকা। ২০৩০ সালের মধ্যে চারটি রুট নির্মাণ করতে যে ব্যয় হবে, তা চলতি অর্থবছরে দেশের মোট বাজেটের প্রায় অর্ধেক।’

এমন ব্যয়বহুল প্রকল্প নেয়ার জন্য ঢাকা শহর প্রস্তুত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যেসব দেশে পাতালরেল নির্মাণ করা হয়েছে, সেসব দেশের নাগরিকদের মাথাপিছু আয় আমাদের চেয়ে ২০ থেকে ৪০ গুণ বেশি।’ ঢাকার সমস্যা সমাধানে তিনি সাশ্রয়ী ব্যয়ে রেলপথ উন্নয়ন, পথচারীবান্ধব ফুটপাত নির্মাণ ও বাসসেবাকে উন্নত করার পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে আইপিডির পরিচালক ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ তার আয়ের কত শতাংশ যাতায়াতে ব্যয় করবেন, সেই বিষয়টিও বিবেচনায় নিতে হবে। তার মতে, পাতালরেলে নিয়মিত যাতায়াতে একজনের মাসে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। তাছাড়া পুরান ঢাকা ছাড়া শহরের অন্য অঞ্চলের মাটির অবস্থাও খারাপ। এমন মাটির নিচ দিয়ে রেলপথ তৈরি করলে খরচ বেশি হয়।’ খরচের বিষয়টি বিবেচনা করে আপাতত পাতালরেল না করার পক্ষে মত দেন তিনি।

মূল প্রবন্ধে ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘সাবওয়ে উচ্চ আয়ের দেশগুলোর সীমিত সংখ্যক কিছু শহরে নির্মিত হলে ও সাবওয়ে নির্মাণ অতি ব্যয়বহুল প্রকল্প। ফলে বিশ্বের অতি ধনী দেশগুলোও এখন নতুন করে নগরের বিস্তৃত নেটওয়ার্কজুড়ে সাবওয়ে নির্মাণের মতো উচ্চাভিলাষী প্রকল্প নেয়ার পরিকল্পনা নিচ্ছে না। সেখানে বাংলাদেশ যদি ও মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হবার যাত্রাপথে আছে, আমাদের মাথাপিছু আয় উন্নত দেশের তুলনায় এখনও অতি অল্প।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় যেখানে প্রায় ২ হাজার ডলার, সেখানে আমেরিকার ৭০ হাজার (বাংলাদেশের ৩৫ গুণ), সিংগাপুর ৬৫ হাজার (৩৩ গুণ), জার্মানি ৫০ হাজার (২৫ গুণ), ইংল্যান্ড ৪৫ হাজার (২৩ গুণ), জাপান ৪০ হাজার ডলার (বাংলাদেশের ২০ গুণ)। ফলে সাবওয়ে নির্মাণের মতো অর্থনৈতিক শক্তি আমাদের নেই বললেই চলে।’

অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘সাধারণত এক কিলোমিটার সাবওয়ে লাইন নির্মাণে অন্তত ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে নির্মিত সিঙ্গাপুর, হংকংয়ের মতো দেশ ও প্রশাসনিক অঞ্চলগুলোতে পাতাল রেলের নির্মাণ ব্যয় আরও বেশি। সিঙ্গাপুরের ডাউনটাউন এমআরটি লাইন (পুরোটাই পাতালপথে) নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হয়েছে ৪৯৩ মিলিয়ন ডলার। আর হংকংয়ের শা তিন সেন্ট্রাল লিংক নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি খরচ হয়েছে ৫৮৬ মিলিয়ন ডলার। ঢাকার সাবওয়ের প্রাথমিকভাবে প্রতি কিলোমিটার খরচ ধরা হয়েছে ২৭৫ মিলিয়ন ডলার।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকার টেকসই যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তুলবার লক্ষ্যে ২০০৫ সালে ঢাকা কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করায় যার আলোকে মেট্রোরেল, এক্সপ্রেসওয়ে, বিআরটি প্রকল্পসমূহ ঢাকা নগরীতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে এই পরিকল্পনার পরিমার্জন করে সংশোধিত ঢাকা কৌশলগত পরিকল্পনা ২০১৬ সালে প্রস্তুত করা হয় যার আলোকে সরকার মেট্রোরেলের নতুন রুট তৈরিসহ অন্য উদ্যোগ গ্রহণ করছে।’

‘কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (এসটিপি), সংশোধিত কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনার (আরএসটিপি) প্রস্তাবনার বাইরে ঢাকার যানজট সমাধান করবার লক্ষ্যে সরকার ‘ঢাকা পাতালরেল (সাবওয়ে) প্রকল্প’ নেবার উদ্যোগ গ্রহণ করতে আগ্রহী যার আলোকে সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা চলছে।’

‘ঢাকা পাতালরেল (সাবওয়ে) প্রকল্প’ নগরের টেকসই পরিবহন পরিকল্পনার প্রাসঙ্গিকতায় কতটুকু উপযোগী এবং পরিবহন পরিকল্পনা ও নগর পরিকল্পনায় এই প্রকল্পের সামগ্রিক অর্থনৈতিক-সামাজিক-ভৌত-পরিকল্পনাগত-পরিবেশগত প্রভাব বিশ্লেষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হওয়া সত্ত্বেও সাবওয়ে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনে এই বিষয়গুলোর অধিকাংশকেই সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে।’