ইমরানকে উৎখাতে কোন বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল না : এনএসসি

ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে কোনো বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল না বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)। নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয় সমন্বয়ে দেশটির সর্বোচ্চ ফোরামের বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

ডনের খবরে বলা হয়, নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদ, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল নাদিম রাজা, সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ আমজাদ খান নিয়াজি, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমাদ বাবরসহ জ্যেষ্ঠ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়, ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাস থেকে পাওয়া টেলিগ্রামের বিষয়ে আলোচনা করেছে এনএসসি। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত তার পাঠানো টেলিগ্রামের প্রেক্ষাপট ও বিষয়বস্তু কমিটিকে অবহিত করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, এনএসসি রাষ্ট্রদূতের পাঠানো ‘তারবার্তার বিষয়বস্তু’ খতিয়ে দেখেছে। সর্বশেষ বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো পুনর্ব্যক্ত করেছে এনএসসি।

এতে বলা হয়, প্রধান নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে এনএসসি আবারও অবহিত হয়েছে যে তারা কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের কোনো তথ্যপ্রমাণ পায়নি। কোনো বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়নি—সভা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।

শুরু থেকেই ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রের’ মাধ্যমে তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে বলে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সাবেক পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদের পাঠানো ‘তারবার্তাকে’ প্রমাণ হিসেবে জনসম্মুখে আনেন তিনি।

এদিকে ইমরান খান বলেছেন, বিদেশিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। বিদেশি ষড়যন্ত্রে ক্ষমতায় আসা এই সরকারকে কখনই বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না তার দল। লাহোর শহরে তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি আয়োজিত এক বিশাল জনসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন হস্তক্ষেপ বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠতা ওয়াশিংটনের মেনে নিতে না পারার কথা উল্লেখ করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘যখনই আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাশিয়া সফরের ঘোষণা দিলাম, তখনই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর প্রতিবাদ শুরু হয়ে গেল।’

ইমরান বলেন, ‘পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এখন ইমরান খান ও তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে পরবর্তী পার্লামেন্ট নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার পাঁয়তারা করছে।’

রবিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২২ , ১১ বৈশাখ ১৪২৮ ২২ রমাদ্বান ১৪৪৩

ইমরানকে উৎখাতে কোন বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল না : এনএসসি

ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে কোনো বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল না বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি)। নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয় সমন্বয়ে দেশটির সর্বোচ্চ ফোরামের বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

ডনের খবরে বলা হয়, নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদ, জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল নাদিম রাজা, সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মুহাম্মদ আমজাদ খান নিয়াজি, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমাদ বাবরসহ জ্যেষ্ঠ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক সম্পর্কে বিবৃতিতে বলা হয়, ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাস থেকে পাওয়া টেলিগ্রামের বিষয়ে আলোচনা করেছে এনএসসি। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত তার পাঠানো টেলিগ্রামের প্রেক্ষাপট ও বিষয়বস্তু কমিটিকে অবহিত করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, এনএসসি রাষ্ট্রদূতের পাঠানো ‘তারবার্তার বিষয়বস্তু’ খতিয়ে দেখেছে। সর্বশেষ বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো পুনর্ব্যক্ত করেছে এনএসসি।

এতে বলা হয়, প্রধান নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে এনএসসি আবারও অবহিত হয়েছে যে তারা কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের কোনো তথ্যপ্রমাণ পায়নি। কোনো বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়নি—সভা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।

শুরু থেকেই ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রের’ মাধ্যমে তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে বলে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন সদ্য ক্ষমতাচ্যুত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সাবেক পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত আসাদ মজিদের পাঠানো ‘তারবার্তাকে’ প্রমাণ হিসেবে জনসম্মুখে আনেন তিনি।

এদিকে ইমরান খান বলেছেন, বিদেশিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। বিদেশি ষড়যন্ত্রে ক্ষমতায় আসা এই সরকারকে কখনই বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দেবে না তার দল। লাহোর শহরে তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি আয়োজিত এক বিশাল জনসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন হস্তক্ষেপ বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ইসলামাবাদের ঘনিষ্ঠতা ওয়াশিংটনের মেনে নিতে না পারার কথা উল্লেখ করেন ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘যখনই আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাশিয়া সফরের ঘোষণা দিলাম, তখনই সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর প্রতিবাদ শুরু হয়ে গেল।’

ইমরান বলেন, ‘পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এখন ইমরান খান ও তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে পরবর্তী পার্লামেন্ট নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার পাঁয়তারা করছে।’