রানা প্লাজা দুর্ঘটনার নয় বছর স্মরণ

হতাহত শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি

মৃত্যুভয়হীন নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করা’সহ রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যাক্তিদের দ্রুত বিচার ও হতাহতদের আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ ও আহতদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের নেতৃবৃন্দ। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার নয় বছর স্মরণে গতকাল সকালে অস্ট্রেলিয়ান এইড ও একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এবং শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম (এসএনএফ) এর উদ্যোগে জুরাইন কবরস্থান ও সাভারে রানা প্লাজা’র সামনে দুর্ঘটনায় নিহত, আহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন কর্মসূচীতে বক্তারা এ দাবি জানান।

শ্রদ্ধাজ্ঞাপনপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার নয় বছর হয়ে গেলেও এখনও শ্রমিকদের হত্যার বিচার হয়নি। দ্রুত শ্রমিক হত্যার বিচার করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। রানা প্লাজা, টাম্পাকো, হাসেম ফুডস সহ এ রকম শিল্প দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিশ্চিতের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

এসময় প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক নির্বিশেষে সকল শ্রমিককে শ্রম আইনের আওতায় আনা, ক্ষতিপূরণের জাতীয় মানদন্ড তৈরি করা, পেশাগত রোগে আক্রান্ত ও দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং হাসপাতালগুলোতে বিশেষ ইউনিট স্থাপন, নির্মাণ, রাসায়নিক, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ ঝুকিপূর্ণ কর্মক্ষেত্রসমূহ পরিদর্শনে দেশব্যাপি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বা ঝটিকা পরিদর্শন ব্যবস্থা চালু করা এবং সবার জন্য নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে পরিদর্শন ব্যবস্থাকে জোরদার করার দাবি জানান তারা।

কর্মসূচিসমূহে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেসবাহউদ্দীন আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরূল আহসান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এর যুগ্ম সমন্বয়তারী ও ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ বাদল, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের দপ্তর সম্পাদক শাহিদা পারভীন শিখা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যরিষ্টার সারা হোসেন, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব সেকেন্দার আলী মিনা, বিলস্ পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন, কর্মজীবী নারীর পরিচালক সানজিদা সুলতানা প্রমূখ।

এছাড়া শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপ, বিলস্ এবং গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ অর্ন্তভূক্ত জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২ , ১২ বৈশাখ ১৪২৮ ২৩ রমাদ্বান ১৪৪৩

রানা প্লাজা দুর্ঘটনার নয় বছর স্মরণ

হতাহত শ্রমিকদের আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

মৃত্যুভয়হীন নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করা’সহ রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় দায়ী ব্যাক্তিদের দ্রুত বিচার ও হতাহতদের আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ ও আহতদের দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের নেতৃবৃন্দ। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার নয় বছর স্মরণে গতকাল সকালে অস্ট্রেলিয়ান এইড ও একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় এবং শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম (এসএনএফ) এর উদ্যোগে জুরাইন কবরস্থান ও সাভারে রানা প্লাজা’র সামনে দুর্ঘটনায় নিহত, আহত ও নিখোঁজ শ্রমিকদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানবন্ধন কর্মসূচীতে বক্তারা এ দাবি জানান।

শ্রদ্ধাজ্ঞাপনপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, রানা প্লাজা দুর্ঘটনার নয় বছর হয়ে গেলেও এখনও শ্রমিকদের হত্যার বিচার হয়নি। দ্রুত শ্রমিক হত্যার বিচার করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। রানা প্লাজা, টাম্পাকো, হাসেম ফুডস সহ এ রকম শিল্প দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিশ্চিতের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

এসময় প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক নির্বিশেষে সকল শ্রমিককে শ্রম আইনের আওতায় আনা, ক্ষতিপূরণের জাতীয় মানদন্ড তৈরি করা, পেশাগত রোগে আক্রান্ত ও দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং হাসপাতালগুলোতে বিশেষ ইউনিট স্থাপন, নির্মাণ, রাসায়নিক, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ ঝুকিপূর্ণ কর্মক্ষেত্রসমূহ পরিদর্শনে দেশব্যাপি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বা ঝটিকা পরিদর্শন ব্যবস্থা চালু করা এবং সবার জন্য নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে পরিদর্শন ব্যবস্থাকে জোরদার করার দাবি জানান তারা।

কর্মসূচিসমূহে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেসবাহউদ্দীন আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কামরূল আহসান, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) এর যুগ্ম সমন্বয়তারী ও ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় শ্রমিক জোটের কার্যকরী সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ, জাতীয় শ্রমিক জোটের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, বাংলাদেশ মুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ বাদল, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের দপ্তর সম্পাদক শাহিদা পারভীন শিখা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) নির্বাহী পরিচালক ব্যরিষ্টার সারা হোসেন, শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরামের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব সেকেন্দার আলী মিনা, বিলস্ পরিচালক নাজমা ইয়াসমীন, কর্মজীবী নারীর পরিচালক সানজিদা সুলতানা প্রমূখ।

এছাড়া শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম, শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ-স্কপ, বিলস্ এবং গার্মেন্টস শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ অর্ন্তভূক্ত জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।