সালিসি বৈঠকে নারীকে পেটালেন মেম্বার

জ্বিনের বাদশাকে কেন্দ্র করে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সালিশি বৈঠকে এক মহিলাকে মারপিট করলেন নারচী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম। গত শনিবার উপজেলার নারচী ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের কৌডালা (মালো) পাড়ার বিশু প্রামানিকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সারিয়াকান্দির ধাপ গ্রামের জনৈক কবিরাজ জ্বিনের বাদশা নামে পরিচিত আব্দুল খালেক মালোপাড়ার লাভলী (ছদ্বনাম) নামে এক মহিলাকে ধর্ম মেয়ে বানায়। লাভলীর নবম শ্রেনী পড়–যা ১টি যুবতী মেয়ে আছে। গত শুক্রবার রাতে কবিরাজ আব্দুল খালেক ধর্ম মেয়ে লাভলীর (ছদ্বনাম) বাড়িতে যায়। লাভলী (ছদ্বনাম) ও তার স্বামী জানান, কবিরাজ আব্দুল খালেক ওই এলাকার সব বাড়ি বিল্ডিং হবে জানিয়ে ঘরের আলাদা রুমে ধ্যানে বসেন। ধ্যানে সফল হওয়ার জন্য শেষ রাতে তাদের যুবতী মেয়েকে খালেক কবিরাজ সে রুমে ডেকে নেয়। সকাল ৭টার দিকে ইউপি সদস্য তরিকুল লোকজনসহ তাদের বাড়িতে গিয়ে কবিারাজ আব্দুল খালেক এবং মেয়েটিকে আটক করে। কবিরাজ আব্দুল খালেককে উত্তম মাধ্যম দেয়া হয়। পরে বিশু প্রামানিকের বাড়িতে শালিসী বৈঠক বসে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শতশত লোকজন সেখানে ভীর জমায়। শালিসী বৈঠকে কবিরাজ আব্দুল খালেককে মারপিট, কান ধরে ওঠাবসা এবং ৫০ হাজারটাকা জরিমানা এবং লাভলীকে মারপিটের সিদ্ধান্ত দেন ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম। আব্দুল খালেককে লাঠি দিয়ে পেটান ইউপি সদস্য হুমায়ন কবির এবং লাভলীকে লাঠি দিয়ে পেটান ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম।

পুরুষ মানুষ হয়ে একজন মহিলাকে শালিসী বৈঠকে প্রকাশ্যে মারপিট করার কারণ জানতে চাইলে তিনি গর্ব করে বলেন, আমি তিন বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য আমার ওয়ার্ডে কিভাবে বিচার হবে সেটা আমার বিষয়।

এব্যাপরে লাভলী জানান, বিনা কারণে আমাকে মারপিট করায় আমি লজ্জিত এবং অপমান বোধ করছি। লজ্জায় আমি এলাকায় মুখ দেখাতে পারছিনা। আমি এর বিচার চাই। লাভলীর স্বামী জানান, আমার স্ত্রীর কোন অপরাধ থাকলে তার জন্য আইন আছে। আমার স্ত্রীকে এভাবে কেন মারপিট করা হবে তার বিচার চাই।

সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২ , ১২ বৈশাখ ১৪২৮ ২৩ রমাদ্বান ১৪৪৩

সালিসি বৈঠকে নারীকে পেটালেন মেম্বার

প্রতিনিধি, বগুড়া

জ্বিনের বাদশাকে কেন্দ্র করে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সালিশি বৈঠকে এক মহিলাকে মারপিট করলেন নারচী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম। গত শনিবার উপজেলার নারচী ইউনিয়নের গনকপাড়া গ্রামের কৌডালা (মালো) পাড়ার বিশু প্রামানিকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সারিয়াকান্দির ধাপ গ্রামের জনৈক কবিরাজ জ্বিনের বাদশা নামে পরিচিত আব্দুল খালেক মালোপাড়ার লাভলী (ছদ্বনাম) নামে এক মহিলাকে ধর্ম মেয়ে বানায়। লাভলীর নবম শ্রেনী পড়–যা ১টি যুবতী মেয়ে আছে। গত শুক্রবার রাতে কবিরাজ আব্দুল খালেক ধর্ম মেয়ে লাভলীর (ছদ্বনাম) বাড়িতে যায়। লাভলী (ছদ্বনাম) ও তার স্বামী জানান, কবিরাজ আব্দুল খালেক ওই এলাকার সব বাড়ি বিল্ডিং হবে জানিয়ে ঘরের আলাদা রুমে ধ্যানে বসেন। ধ্যানে সফল হওয়ার জন্য শেষ রাতে তাদের যুবতী মেয়েকে খালেক কবিরাজ সে রুমে ডেকে নেয়। সকাল ৭টার দিকে ইউপি সদস্য তরিকুল লোকজনসহ তাদের বাড়িতে গিয়ে কবিারাজ আব্দুল খালেক এবং মেয়েটিকে আটক করে। কবিরাজ আব্দুল খালেককে উত্তম মাধ্যম দেয়া হয়। পরে বিশু প্রামানিকের বাড়িতে শালিসী বৈঠক বসে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শতশত লোকজন সেখানে ভীর জমায়। শালিসী বৈঠকে কবিরাজ আব্দুল খালেককে মারপিট, কান ধরে ওঠাবসা এবং ৫০ হাজারটাকা জরিমানা এবং লাভলীকে মারপিটের সিদ্ধান্ত দেন ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম। আব্দুল খালেককে লাঠি দিয়ে পেটান ইউপি সদস্য হুমায়ন কবির এবং লাভলীকে লাঠি দিয়ে পেটান ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম।

পুরুষ মানুষ হয়ে একজন মহিলাকে শালিসী বৈঠকে প্রকাশ্যে মারপিট করার কারণ জানতে চাইলে তিনি গর্ব করে বলেন, আমি তিন বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য আমার ওয়ার্ডে কিভাবে বিচার হবে সেটা আমার বিষয়।

এব্যাপরে লাভলী জানান, বিনা কারণে আমাকে মারপিট করায় আমি লজ্জিত এবং অপমান বোধ করছি। লজ্জায় আমি এলাকায় মুখ দেখাতে পারছিনা। আমি এর বিচার চাই। লাভলীর স্বামী জানান, আমার স্ত্রীর কোন অপরাধ থাকলে তার জন্য আইন আছে। আমার স্ত্রীকে এভাবে কেন মারপিট করা হবে তার বিচার চাই।