নিউমার্কেটে ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষ

নাহিদ ও মুরসালিন হত্যায় ‘জড়িত’ ৬ জন শনাক্ত

নিউমার্কেটে ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে নাহিদ মিয়া ও মুরসালিনকে মারধর করে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ। যে ৬ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ তারা ছাত্রলীগের ঢাকা কলেজ শাখার বিলুপ্ত কমিটির নেতাকর্মী এবং ঢাকা কলেজের ছাত্র। পরিচয় প্রকাশ না করলেও পুলিশ বলছে, নাহিদ মিয়াকে ‘কুপিয়ে’ হত্যা এবং মুরসালিনকে মারপিট করার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

এদিকে নাহিদ মিয়া ও মুরসালিন ‘হত্যায়’ জড়িতদের ধরতে গতকাল বিকেলে ঢাকা কলেজের ছাত্রবাসে অভিযান চালিয়েছে ডিবি পুলিশ। অভিযানে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সে নাহিদ মিয়া বা মুরসালিন হত্যায় জড়িত কি-না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় নাহিদ মিয়া ও মুরসালিনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলা দুটি ডিবি তদন্ত করছে। পুলিশ ঘটনার দিনের সবগুলো সিসি ক্যামেরা ফুটেজ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি বিশ্লেষণ করেছে। যেহেতু সংঘর্ষের ঘটনায় নাহিদ মিয়া নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। একইভাবে মুরসালিনকে মারপিট করার ঘটনায়ও কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে হেলমেট পরে ধারালো অস্ত্রধারী যে ৬ জনের পরিচয় মিলেছে তারা সবাই ঢাকা কলেজের ছাত্র। এরা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতাকর্মী।

এদিকে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে নাদিম মিয়াকে সর্বশেষ কোপানো যে হেলমেটধারীর ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তার নাম ইমন বলে মনে করছে পুলিশ। ইমন ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং তার বাড়ি খুলনায় বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। সে ঢাকা কলেজের আন্তর্জাতিক ছাত্রবাসের ছাত্র।

নাহিদকে প্রথমে যে দু’জন মারধর শুরু করে তারা হলো কাইয়ুম ও সুজন ইসলাম। একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কাইয়ুম নীল ও সাদা রঙের চেকের টি-শার্ট পরা। সে নাহিদকে রড দিয়ে আঘাত করে। হেলমেট না থাকায় সহজেই কাইয়ুমকে চেনা যায়। আর সুজন ইসলাম ইটের আঘাত ও লাথি মেরে আহত করে নাহিদকে। পরে নাহিদকে কোপাতে থাকলে ইমনকে চড় মেরে সেখান থেকে সরিয়ে দেন সুজন ইসলাম। সুজন ইমনের সিনিয়র হওয়ায় ওই সময় চড় মেরে শাসন করতে পেরেছিল বলে মনে করেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।

একাধিক ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে ব্যবসায়ীরা ঢাকা কলেজের ছাত্রদের ধাওয়া দেন। ব্যবসায়ীদের পক্ষে সামনে থেকে অবস্থান নিয়ে নাহিদও ছাত্রদের ধাওয়া দিয়েছিলেন। ছাত্ররা পাল্টা ধাওয়া দিলে ফিরে আসার সময় নূরজাহান মার্কেটের গেটের সামনে পা পিছলে মাটিতে পড়ে যান নাহিদ। তখন ছাত্রদের মধ্যে কয়েকজন রড, লাঠি, ইট দিয়ে নাহিদকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এভাবে দুই থেকে তিন মিনিট পেটানোর পর নাহিদ নিস্তেজ হয়ে পড়েন। নাহিদকে মেরে ছাত্ররা পেছনে চলে যাওয়ার সময় রামদা হাতে কালো হেলমেট পরা একজন ছাত্র এসে নাহিদকে কোপাতে থাকে। হলুদ হেলমেট ও লাল রঙের গেঞ্জি পরা আরেক ছাত্র এসে নাহিদকে কোপাতে থাকা ছাত্রটিকে চড় মেরে সরিয়ে দেয়। এরপর ব্যবসায়ী পক্ষের যুবকরা নাহিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নাহিদ হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘এটা খুবই সেনসিটিভ মামলা। অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে চলছে তদন্ত। এটা নিয়ে আমরা কোন তাড়াহুড়ো করতে চাই না। আমরা শতভাগ নিশ্চিত হয়েই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনব। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেককেই চিহ্নিত করেছি, কিন্তু কারও পরিচয় সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা যখন নিশ্চিত হব, তখনই গণমাধ্যমকে সব তথ্য জানানো সম্ভব হবে।’

সংঘর্ষে ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় সাড়ির কয়েকজনকে আটক!

এদিকে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলছেন, ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষের ঘটনায় দ্বিতীয় সাড়িতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন ৪ থেকে ৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি ইউনিটের হেফাজতে রয়েছে। গতকাল তাদের ঢাকা কলেজ এলাকার আশপাশ থেকে আটক করা হয়েছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

তবে আটক হওয়া ব্যক্তিরা ছাত্র নাকি ব্যবসায়ী সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যা মামলা দুটি ডিবি তদন্ত করছে। আর পুলিশের কাজে বাধা, জালাও-পোড়াও এবং বিস্ফোরক আইনে করা মামলা দুটি নিউমার্কেট থানা তদন্ত করছে। এর বাইরে একাধিক সংস্থাও এ নিয়ে কাজ করছে।

ডিবির অভিযান

এদিকে নাহিদ মিয়া ও মোরসালিন হত্যা মামলায় শনাক্ত হওয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে গতকাল ঢাকা কলেজে অভিযান চালিয়েছে ডিবি। ডিবির ধানমন্ডি জোনাল টিমের এডিসি ফজলে এলাহির নেতৃত্বের ওই অভিযান চালানো হয়। সেখানে একজনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে।

তবে ডিবি থেকে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার দিনভর চলা এই সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়। তাদের মধ্যে নাহিদ মিয়া নামের ১৮ বছর বয়সী এক তরুণকে রাস্তার ওপর কোপানো হয়। এলিফ্যান্ট রোডের ডাটা টেক কম্পিউটার নামের একটি দোকানের ডেলিভারি অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করতেন নাহিদ। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়। পরদিন রাতে তার চাচা মো. সাঈদ একটি হত্যা মামলা করেন। আর মঙ্গলবার সংঘর্ষের মধ্যে ইটের আঘাতে আহত দোকান কর্মচারী মুরসালিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বৃহস্পতিবার ভোরে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে হত্যা মামলা করেন তার বড় ভাই নুর মোহাম্মদ।

সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২ , ১২ বৈশাখ ১৪২৮ ২৩ রমাদ্বান ১৪৪৩

নিউমার্কেটে ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষ

নাহিদ ও মুরসালিন হত্যায় ‘জড়িত’ ৬ জন শনাক্ত

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

নিউমার্কেটে ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষে নাহিদ মিয়া ও মুরসালিনকে মারধর করে হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে পুলিশ। যে ৬ জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ তারা ছাত্রলীগের ঢাকা কলেজ শাখার বিলুপ্ত কমিটির নেতাকর্মী এবং ঢাকা কলেজের ছাত্র। পরিচয় প্রকাশ না করলেও পুলিশ বলছে, নাহিদ মিয়াকে ‘কুপিয়ে’ হত্যা এবং মুরসালিনকে মারপিট করার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

এদিকে নাহিদ মিয়া ও মুরসালিন ‘হত্যায়’ জড়িতদের ধরতে গতকাল বিকেলে ঢাকা কলেজের ছাত্রবাসে অভিযান চালিয়েছে ডিবি পুলিশ। অভিযানে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে সে নাহিদ মিয়া বা মুরসালিন হত্যায় জড়িত কি-না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. ফারুক হোসেন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় নাহিদ মিয়া ও মুরসালিনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলা দুটি ডিবি তদন্ত করছে। পুলিশ ঘটনার দিনের সবগুলো সিসি ক্যামেরা ফুটেজ, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি বিশ্লেষণ করেছে। যেহেতু সংঘর্ষের ঘটনায় নাহিদ মিয়া নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে সেই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। একইভাবে মুরসালিনকে মারপিট করার ঘটনায়ও কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে হেলমেট পরে ধারালো অস্ত্রধারী যে ৬ জনের পরিচয় মিলেছে তারা সবাই ঢাকা কলেজের ছাত্র। এরা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতাকর্মী।

এদিকে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে নাদিম মিয়াকে সর্বশেষ কোপানো যে হেলমেটধারীর ছবি এবং ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তার নাম ইমন বলে মনে করছে পুলিশ। ইমন ঢাকা কলেজের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং তার বাড়ি খুলনায় বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। সে ঢাকা কলেজের আন্তর্জাতিক ছাত্রবাসের ছাত্র।

নাহিদকে প্রথমে যে দু’জন মারধর শুরু করে তারা হলো কাইয়ুম ও সুজন ইসলাম। একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কাইয়ুম নীল ও সাদা রঙের চেকের টি-শার্ট পরা। সে নাহিদকে রড দিয়ে আঘাত করে। হেলমেট না থাকায় সহজেই কাইয়ুমকে চেনা যায়। আর সুজন ইসলাম ইটের আঘাত ও লাথি মেরে আহত করে নাহিদকে। পরে নাহিদকে কোপাতে থাকলে ইমনকে চড় মেরে সেখান থেকে সরিয়ে দেন সুজন ইসলাম। সুজন ইমনের সিনিয়র হওয়ায় ওই সময় চড় মেরে শাসন করতে পেরেছিল বলে মনে করেন ঢাকা কলেজের ছাত্ররা।

একাধিক ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে ব্যবসায়ীরা ঢাকা কলেজের ছাত্রদের ধাওয়া দেন। ব্যবসায়ীদের পক্ষে সামনে থেকে অবস্থান নিয়ে নাহিদও ছাত্রদের ধাওয়া দিয়েছিলেন। ছাত্ররা পাল্টা ধাওয়া দিলে ফিরে আসার সময় নূরজাহান মার্কেটের গেটের সামনে পা পিছলে মাটিতে পড়ে যান নাহিদ। তখন ছাত্রদের মধ্যে কয়েকজন রড, লাঠি, ইট দিয়ে নাহিদকে বেধড়ক পেটাতে থাকে। এভাবে দুই থেকে তিন মিনিট পেটানোর পর নাহিদ নিস্তেজ হয়ে পড়েন। নাহিদকে মেরে ছাত্ররা পেছনে চলে যাওয়ার সময় রামদা হাতে কালো হেলমেট পরা একজন ছাত্র এসে নাহিদকে কোপাতে থাকে। হলুদ হেলমেট ও লাল রঙের গেঞ্জি পরা আরেক ছাত্র এসে নাহিদকে কোপাতে থাকা ছাত্রটিকে চড় মেরে সরিয়ে দেয়। এরপর ব্যবসায়ী পক্ষের যুবকরা নাহিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

নাহিদ হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, ‘এটা খুবই সেনসিটিভ মামলা। অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে চলছে তদন্ত। এটা নিয়ে আমরা কোন তাড়াহুড়ো করতে চাই না। আমরা শতভাগ নিশ্চিত হয়েই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনব। তিনি বলেন, ‘আমরা অনেককেই চিহ্নিত করেছি, কিন্তু কারও পরিচয় সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা যখন নিশ্চিত হব, তখনই গণমাধ্যমকে সব তথ্য জানানো সম্ভব হবে।’

সংঘর্ষে ঢাকা কলেজের দ্বিতীয় সাড়ির কয়েকজনকে আটক!

এদিকে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলছেন, ছাত্র-ব্যবসায়ী সংঘর্ষের ঘটনায় দ্বিতীয় সাড়িতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন ৪ থেকে ৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি ইউনিটের হেফাজতে রয়েছে। গতকাল তাদের ঢাকা কলেজ এলাকার আশপাশ থেকে আটক করা হয়েছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

তবে আটক হওয়া ব্যক্তিরা ছাত্র নাকি ব্যবসায়ী সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যা মামলা দুটি ডিবি তদন্ত করছে। আর পুলিশের কাজে বাধা, জালাও-পোড়াও এবং বিস্ফোরক আইনে করা মামলা দুটি নিউমার্কেট থানা তদন্ত করছে। এর বাইরে একাধিক সংস্থাও এ নিয়ে কাজ করছে।

ডিবির অভিযান

এদিকে নাহিদ মিয়া ও মোরসালিন হত্যা মামলায় শনাক্ত হওয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে গতকাল ঢাকা কলেজে অভিযান চালিয়েছে ডিবি। ডিবির ধানমন্ডি জোনাল টিমের এডিসি ফজলে এলাহির নেতৃত্বের ওই অভিযান চালানো হয়। সেখানে একজনকে আটক করার খবর পাওয়া গেছে।

তবে ডিবি থেকে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার দিনভর চলা এই সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়। তাদের মধ্যে নাহিদ মিয়া নামের ১৮ বছর বয়সী এক তরুণকে রাস্তার ওপর কোপানো হয়। এলিফ্যান্ট রোডের ডাটা টেক কম্পিউটার নামের একটি দোকানের ডেলিভারি অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে কাজ করতেন নাহিদ। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়। পরদিন রাতে তার চাচা মো. সাঈদ একটি হত্যা মামলা করেন। আর মঙ্গলবার সংঘর্ষের মধ্যে ইটের আঘাতে আহত দোকান কর্মচারী মুরসালিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বৃহস্পতিবার ভোরে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে হত্যা মামলা করেন তার বড় ভাই নুর মোহাম্মদ।