ভারতে যাতায়াতকারীদের সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বেশ কয়েকদিন ধরে করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ। সংক্রমণও কমেছে। মানুষ অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনে চলে এসেছে। এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে  দেশে আবারও করোনা বাড়তে পাড়ে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে ভারতে যাতায়াতকারীদের সতর্ক করলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ শঙ্কার কথা বলেন। 

জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখন করোনা সংক্রমণ নেই বললেই চলে। কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ ভারতে সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে অনেকেই যাতায়াত করছেন। তাদের নজরে রাখতে হবে, আমাদের সচেতন হতে হবে। যারা আসা-যাওয়া করছেন সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না যায়।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশ এগিয়ে নিতে হলে মানুষকে সুস্থ থাকতে হবে। এজন্য পুষ্টি অপরিহার্য। আমাদের দেশে পুষ্টিসেবার অনেক উন্নতি হয়েছে। প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। সেখানে চিকিৎসার পাশাপাশি পুষ্টি নিয়ে সচেতন করা হয়। অতিরিক্ত তেল ও লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে হবে। আমরা কি খাচ্ছি সেটা দেখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যক্ষা, পোলিও, ম্যালেরিয়া, এইডসের মতো সংক্রমণ ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্যদিকে অসংক্রামক রোগ যেগুলো মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেগুলো বাড়ছে। এজন্য আমাদের পরিমিত খেতে হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, ক্যালরিতে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। এখনও ১০-১৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে, কিন্তু কেউ না খেয়ে থাকে না। খাদ্যের অভাব যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশে আগে খর্বাকৃতি মানুষ ছিল ৫০ শতাংশ। সেটি এখন ৩০-এ নেমেছে।

স্কুল ফিডিং জোরদারের চেষ্টা করছে সরকার জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ছেলেমেয়েদের পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। ফাস্টফুড খাবার থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, জাতীয় পুষ্টিসেবা কার্যক্রমের পরিচালক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক এহতেশামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২ , ১২ বৈশাখ ১৪২৮ ২৩ রমাদ্বান ১৪৪৩

ভারতে যাতায়াতকারীদের সতর্ক করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

বেশ কয়েকদিন ধরে করোনায় মৃত্যুশূন্য দিন পার করেছে দেশ। সংক্রমণও কমেছে। মানুষ অনেকটাই স্বাভাবিক জীবনে চলে এসেছে। এরই মধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। ফলে  দেশে আবারও করোনা বাড়তে পাড়ে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে ভারতে যাতায়াতকারীদের সতর্ক করলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

গতকাল রাজধানীর মহাখালীতে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ শঙ্কার কথা বলেন। 

জাহিদ মালেক বলেন, ‘এখন করোনা সংক্রমণ নেই বললেই চলে। কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা আছে। কারণ ভারতে সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে অনেকেই যাতায়াত করছেন। তাদের নজরে রাখতে হবে, আমাদের সচেতন হতে হবে। যারা আসা-যাওয়া করছেন সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না যায়।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশ এগিয়ে নিতে হলে মানুষকে সুস্থ থাকতে হবে। এজন্য পুষ্টি অপরিহার্য। আমাদের দেশে পুষ্টিসেবার অনেক উন্নতি হয়েছে। প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। সেখানে চিকিৎসার পাশাপাশি পুষ্টি নিয়ে সচেতন করা হয়। অতিরিক্ত তেল ও লবণ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে, শাক-সবজি ও ফলমূল খেতে হবে। আমরা কি খাচ্ছি সেটা দেখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, যক্ষা, পোলিও, ম্যালেরিয়া, এইডসের মতো সংক্রমণ ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অন্যদিকে অসংক্রামক রোগ যেগুলো মানুষের খাদ্যাভ্যাস ও জীবনাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সেগুলো বাড়ছে। এজন্য আমাদের পরিমিত খেতে হবে।

জাহিদ মালেক বলেন, ক্যালরিতে ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। এখনও ১০-১৫ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে, কিন্তু কেউ না খেয়ে থাকে না। খাদ্যের অভাব যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশে আগে খর্বাকৃতি মানুষ ছিল ৫০ শতাংশ। সেটি এখন ৩০-এ নেমেছে।

স্কুল ফিডিং জোরদারের চেষ্টা করছে সরকার জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ছেলেমেয়েদের পুষ্টি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। ফাস্টফুড খাবার থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, জাতীয় পুষ্টিসেবা কার্যক্রমের পরিচালক এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) মহাসচিব অধ্যাপক এহতেশামুল হক চৌধুরী প্রমুখ।