নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হাজীপুরে বাবার কোলে শিশু তাসপিয়া আক্তার জান্নাতকে (৩) গুলি করে হত্যার ঘটনায় অস্ত্রের যোগানদাতাকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃত সাকায়েত উল্যাহ জুয়েল (২৯) উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামের বজু মেইকার বাড়ির মৃত হাবিব উল্যার ছেলে।
গতকাল দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১১টায় বেগমগঞ্জের হাজীপুর থেকে ডিবির (ওসি) সাইফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. সাবজেল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, শিশু তাসপিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মামুন উদ্দিন ওরফে রিমন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ওই জবানবন্দিতে প্রকাশিত আসামি সাকায়েত উল্যাহ জুয়েল। জবানবন্দিতে রিমন জানায় শিশু তাসপিয়া হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের যোগানদাতা জুয়েল।
পরে গ্রেপ্তারকৃত জুয়েলের তথ্য অনুযায়ী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোলাইমানের পরিত্যক্ত বসতঘরে শনিবার দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটের দিকে অভিযান চালিয়ে দেশিয় তৈরী দুটি কিরিচ ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়। রাত পৌনে ৩টার দিকে একই মামলার পলাতক আসামি বাদশার বসত ঘর থেকে আসামি জুয়েলের দেয়া তথ্য মতে একটি পাইপগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল ও পলাতক আসামি বাদশার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
এ মামলার প্রধান আসামি রিমন বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের মোমিন উল্যাহর ছেলে। শিশু তাসপিয়া হত্যা মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ ও সুবর্ণচরের চরজব্বর থানায় মারামারি, হত্যাচেষ্টা ও অস্ত্র আইনে আরও নয়টি মামলা রয়েছে।
সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২ , ১২ বৈশাখ ১৪২৮ ২৩ রমাদ্বান ১৪৪৩
প্রতিনিধি, নোয়াখালী
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হাজীপুরে বাবার কোলে শিশু তাসপিয়া আক্তার জান্নাতকে (৩) গুলি করে হত্যার ঘটনায় অস্ত্রের যোগানদাতাকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃত সাকায়েত উল্যাহ জুয়েল (২৯) উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামের বজু মেইকার বাড়ির মৃত হাবিব উল্যার ছেলে।
গতকাল দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত ১১টায় বেগমগঞ্জের হাজীপুর থেকে ডিবির (ওসি) সাইফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. সাবজেল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, শিশু তাসপিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মামুন উদ্দিন ওরফে রিমন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। ওই জবানবন্দিতে প্রকাশিত আসামি সাকায়েত উল্যাহ জুয়েল। জবানবন্দিতে রিমন জানায় শিশু তাসপিয়া হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রের যোগানদাতা জুয়েল।
পরে গ্রেপ্তারকৃত জুয়েলের তথ্য অনুযায়ী উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সোলাইমানের পরিত্যক্ত বসতঘরে শনিবার দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটের দিকে অভিযান চালিয়ে দেশিয় তৈরী দুটি কিরিচ ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়। রাত পৌনে ৩টার দিকে একই মামলার পলাতক আসামি বাদশার বসত ঘর থেকে আসামি জুয়েলের দেয়া তথ্য মতে একটি পাইপগান ও দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল ও পলাতক আসামি বাদশার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন।
এ মামলার প্রধান আসামি রিমন বেগমগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের মোমিন উল্যাহর ছেলে। শিশু তাসপিয়া হত্যা মামলা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ ও সুবর্ণচরের চরজব্বর থানায় মারামারি, হত্যাচেষ্টা ও অস্ত্র আইনে আরও নয়টি মামলা রয়েছে।