রমজানে নিরাপদ খাবার চাই

বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে (বাকৃবি) প্রায় আট হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এসব শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই হলের ডাইনিং অথবা বিশ^বিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড় এবং কে আর মার্কেটের হোটেলগুলোর খাবারের ওপর নির্ভরশীল। রমজান মাসে ইফতার ও সাহরির জন্যও শিক্ষার্থীদের এসব হোটেলের খাবারের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এসব দোকানের খাবারের নেই কোনো নিরাপত্তা। যারা খাবার তৈরি করেন তাদের খাবারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বা পুষ্টিমান সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। ইফতারের জন্য তৈরি করা বিভিন্ন খাবার বাসি তেলে ভাজা হয় এবং বাসি খাবার বিক্রিও করা হয়। এছাড়াও এসব হোটেলের রান্নাঘরের পরিবেশ খুবই অস্বাস্থ্যকর।

ফলে প্রতিনিয়তই অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ খাবার খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শুধু হোটেলই নয়, বিভিন্ন হলের ক্যান্টিনেও বাসি ও অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করা হয়। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন পেটের অসুখে ভুগতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এতে তাদের পড়াশোনার ওপরও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।

তাই শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার কথা বিবেচনা করে হলের ক্যান্টিন ও খাবারের হোটেলগুলোতে চিরুনি অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শিলমুন নাহার মুন

সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২ , ১২ বৈশাখ ১৪২৮ ২৩ রমাদ্বান ১৪৪৩

রমজানে নিরাপদ খাবার চাই

বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ে (বাকৃবি) প্রায় আট হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। এসব শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই হলের ডাইনিং অথবা বিশ^বিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড় এবং কে আর মার্কেটের হোটেলগুলোর খাবারের ওপর নির্ভরশীল। রমজান মাসে ইফতার ও সাহরির জন্যও শিক্ষার্থীদের এসব হোটেলের খাবারের ওপরই নির্ভর করতে হচ্ছে।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এসব দোকানের খাবারের নেই কোনো নিরাপত্তা। যারা খাবার তৈরি করেন তাদের খাবারের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বা পুষ্টিমান সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। ইফতারের জন্য তৈরি করা বিভিন্ন খাবার বাসি তেলে ভাজা হয় এবং বাসি খাবার বিক্রিও করা হয়। এছাড়াও এসব হোটেলের রান্নাঘরের পরিবেশ খুবই অস্বাস্থ্যকর।

ফলে প্রতিনিয়তই অস্বাস্থ্যকর ও অনিরাপদ খাবার খেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। শুধু হোটেলই নয়, বিভিন্ন হলের ক্যান্টিনেও বাসি ও অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করা হয়। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন পেটের অসুখে ভুগতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এতে তাদের পড়াশোনার ওপরও ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।

তাই শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার কথা বিবেচনা করে হলের ক্যান্টিন ও খাবারের হোটেলগুলোতে চিরুনি অভিযান চালিয়ে স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

শিলমুন নাহার মুন