অসহনীয় দাবদাহ জনজীবন বিপর্যস্ত

অসহনীয় খরতাপে এবং লোভেল্টেজের কারণে মাঝেমধ্যে বিদ্যুতের লোডশেডিং যুক্ত হয়ে মেহেরপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার জেলা মেহেরপুরে প্রতিদিন খরতাপ বেড়েই চলেছে এবং নেই কোন বৃষ্টিপাতের আভাষ। মেহেরপুরে বিরাজ করছে খরার মতো অবস্থা।

এই অসহনীয় খরতাপ শুধু জনজীবন নয় সঙ্গে সঙ্গে শাক সবজি ও মাঠের ফসলের উপরেও ফেলেছে প্রভাব। অতিরিক্ত তাপ অর্থনৈতিক বাজারের ফেলেছে মন্দা প্রভাব।

বিশেষ করে দিনমজুর, রিক্সাভ্যান চালক এবং যারা খোলা আকাশের নিচে শ্রম দেন তারা তাদের দিনের কাজ গুলি করতে পারছেন না। ধান কাটা মৌসুমে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দিনমজুরের জন্য। কোন কোন স্থানে দেখা যাচ্ছে রোজার মাসে সেহরী খাওয়ার পরপর মাঠে যেয়ে ধান কেটে দিনমজুররা বেলা নয়টা থেকে দশটার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসছে। তাছাড়া গৃহপালিত পশুর অবস্থাও খারাপ।

যাত্রীসাধারণের যথেষ্ট কমতির কারণে গণপরিবহনগুলো দুপুরের দিকে চলাচল করছে খুবই অল্প।

গত ১৫ দিন মেহেরপুরের ৩৬ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পারদ উঠানামা করছে। আসলে প্রায় একমাস ধরে মেহেরপুরে চলছে খরা এবং দিনের মধ্যভাগে রাস্তাঘাট থাকছে প্রায় জনশূন্য। খুব জরুরী কাজ না থাকলে মানুষকে রাস্তায় খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। কিছু ছাত্র যারা গ্রাম থেকে শহরে লেখা পড়ার জন্য আসে তারা এই প্রতিবেদকে হতাশার সঙ্গে বলে এই প্রচ- গরমে তাদের লেখাপড়া করতে যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে।

কারণ গ্রামে বিদ্যুতের ভোল্টেজ থাকছে না এবং তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে লোডশেডিং। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ জন বয়স্ক মানুষ ও ১৫ জন শিশু পানি শূন্যতা ও শ^াস কষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।

বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২ , ১৪ বৈশাখ ১৪২৮ ২৫ রমাদ্বান ১৪৪৩

অসহনীয় দাবদাহ জনজীবন বিপর্যস্ত

প্রতিনিধি, মেহেরপুর

অসহনীয় খরতাপে এবং লোভেল্টেজের কারণে মাঝেমধ্যে বিদ্যুতের লোডশেডিং যুক্ত হয়ে মেহেরপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার জেলা মেহেরপুরে প্রতিদিন খরতাপ বেড়েই চলেছে এবং নেই কোন বৃষ্টিপাতের আভাষ। মেহেরপুরে বিরাজ করছে খরার মতো অবস্থা।

এই অসহনীয় খরতাপ শুধু জনজীবন নয় সঙ্গে সঙ্গে শাক সবজি ও মাঠের ফসলের উপরেও ফেলেছে প্রভাব। অতিরিক্ত তাপ অর্থনৈতিক বাজারের ফেলেছে মন্দা প্রভাব।

বিশেষ করে দিনমজুর, রিক্সাভ্যান চালক এবং যারা খোলা আকাশের নিচে শ্রম দেন তারা তাদের দিনের কাজ গুলি করতে পারছেন না। ধান কাটা মৌসুমে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে দিনমজুরের জন্য। কোন কোন স্থানে দেখা যাচ্ছে রোজার মাসে সেহরী খাওয়ার পরপর মাঠে যেয়ে ধান কেটে দিনমজুররা বেলা নয়টা থেকে দশটার মধ্যে বাড়ি ফিরে আসছে। তাছাড়া গৃহপালিত পশুর অবস্থাও খারাপ।

যাত্রীসাধারণের যথেষ্ট কমতির কারণে গণপরিবহনগুলো দুপুরের দিকে চলাচল করছে খুবই অল্প।

গত ১৫ দিন মেহেরপুরের ৩৬ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পারদ উঠানামা করছে। আসলে প্রায় একমাস ধরে মেহেরপুরে চলছে খরা এবং দিনের মধ্যভাগে রাস্তাঘাট থাকছে প্রায় জনশূন্য। খুব জরুরী কাজ না থাকলে মানুষকে রাস্তায় খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। কিছু ছাত্র যারা গ্রাম থেকে শহরে লেখা পড়ার জন্য আসে তারা এই প্রতিবেদকে হতাশার সঙ্গে বলে এই প্রচ- গরমে তাদের লেখাপড়া করতে যথেষ্ট কষ্ট হচ্ছে।

কারণ গ্রামে বিদ্যুতের ভোল্টেজ থাকছে না এবং তার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে লোডশেডিং। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ জন বয়স্ক মানুষ ও ১৫ জন শিশু পানি শূন্যতা ও শ^াস কষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।