বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দেখে গেলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী। গতকাল দিনব্যাপী তিনটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ৫০ বছর বয়সী রাজকুমারী মেরী এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন।
সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার ৫ নম্বর ক্যাম্পে পাহাড় ভাঙন রোধ ও পরিবেশ রক্ষায় ড্যানিশ রিফিউজি কাউন্সিলের বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি যান ক্যাম্প এইচডব্লিউতে। সেখানে সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে ক্যাম্প পরিস্থিতি অবলোকন করেন। তখন হাত নেড়ে রোহিঙ্গাদের শুভেচ্ছা জানান।
এরপর ক্যাম্প ‘ছ’য়ে রাজপ্রাসাদের রাজকুমারী মেরী নেমে যান পথের ধারে। পায়ে হাঁটেন প্রায় এক কিলোমিটার পথ। আর হাঁটতে হাঁটতে কথা বলেন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে। কখনওবা কোন নারীর কান্নায় কখনওবা শিশুদের হাসিতে যেন হারিয়ে যায় রাজকুমারী মেরী।
এরই ফাঁকে ক্যাম্প এইচডব্লিউর রোহিঙ্গা কো-অর্ডিনেশন অফিস, আরসিওতে একটি সেন্ডউইচ আর এক কাপ কফিতে লাঞ্চ সারেন মেরী।
সবশেষ আরসিওতে উপকারভোগী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ড্যানিশ রাজকুমারী মেরী সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসিত।
সমন্বিত উদ্যোগের মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন রাজকুমারী।
এ সময় রাজকুমারী মেরী, ডেনমার্কের উন্নয়ন সহায়তামন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মরটেনসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রপ পিটারসন আরসিওতে বৃক্ষরোপণ করেন।
পরে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলতে রাজকুমারী যান উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের পাতাবাড়ি গ্রামের আবদুল হকের বাড়িতে। বাড়ির আঙিনায় অনুষ্ঠিত হয় উঠান বৈঠক। ড্যানিশ রাজ পরিবারের এ সদস্য মাটিতে বিছানো পাটিতে বসেই অংশ নেয় স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনায়, যেখানে স্থানীয়দের নানা বিষয়ে তাকে অবহিত করা হয়।
এই উঠান বৈঠকের মধ্য দিয়ে শেষ হয় রাজকুমারী মেরীর কক্সবাজার সফরের আনুষ্ঠানিকতা। আজ সকালে হেলিকপ্টারযোগে সাতক্ষীরা সফরের কথা রয়েছে মেরীর। সেখানে তিনি হেঁটে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন।
বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২ , ১৪ বৈশাখ ১৪২৮ ২৫ রমাদ্বান ১৪৪৩
জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দেখে গেলেন ডেনমার্কের রাজকুমারী। গতকাল দিনব্যাপী তিনটি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন ৫০ বছর বয়সী রাজকুমারী মেরী এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন।
সকালে কক্সবাজারের উখিয়ার ৫ নম্বর ক্যাম্পে পাহাড় ভাঙন রোধ ও পরিবেশ রক্ষায় ড্যানিশ রিফিউজি কাউন্সিলের বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি যান ক্যাম্প এইচডব্লিউতে। সেখানে সুউচ্চ ওয়াচ টাওয়ারে দাঁড়িয়ে ক্যাম্প পরিস্থিতি অবলোকন করেন। তখন হাত নেড়ে রোহিঙ্গাদের শুভেচ্ছা জানান।
এরপর ক্যাম্প ‘ছ’য়ে রাজপ্রাসাদের রাজকুমারী মেরী নেমে যান পথের ধারে। পায়ে হাঁটেন প্রায় এক কিলোমিটার পথ। আর হাঁটতে হাঁটতে কথা বলেন রোহিঙ্গাদের সঙ্গে। কখনওবা কোন নারীর কান্নায় কখনওবা শিশুদের হাসিতে যেন হারিয়ে যায় রাজকুমারী মেরী।
এরই ফাঁকে ক্যাম্প এইচডব্লিউর রোহিঙ্গা কো-অর্ডিনেশন অফিস, আরসিওতে একটি সেন্ডউইচ আর এক কাপ কফিতে লাঞ্চ সারেন মেরী।
সবশেষ আরসিওতে উপকারভোগী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ড্যানিশ রাজকুমারী মেরী সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসিত।
সমন্বিত উদ্যোগের মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন রাজকুমারী।
এ সময় রাজকুমারী মেরী, ডেনমার্কের উন্নয়ন সহায়তামন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মরটেনসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রপ পিটারসন আরসিওতে বৃক্ষরোপণ করেন।
পরে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কথা বলতে রাজকুমারী যান উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের পাতাবাড়ি গ্রামের আবদুল হকের বাড়িতে। বাড়ির আঙিনায় অনুষ্ঠিত হয় উঠান বৈঠক। ড্যানিশ রাজ পরিবারের এ সদস্য মাটিতে বিছানো পাটিতে বসেই অংশ নেয় স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনায়, যেখানে স্থানীয়দের নানা বিষয়ে তাকে অবহিত করা হয়।
এই উঠান বৈঠকের মধ্য দিয়ে শেষ হয় রাজকুমারী মেরীর কক্সবাজার সফরের আনুষ্ঠানিকতা। আজ সকালে হেলিকপ্টারযোগে সাতক্ষীরা সফরের কথা রয়েছে মেরীর। সেখানে তিনি হেঁটে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন।