হেলমেট বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

যে কোন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন যখন দুষ্কৃতকারীদের জন্য রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করে তখন শিকার হন সাধারণ মানুষ। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জাননো, সমাবেশ করা, বাক্স্বাধীনতা, সরকারের সমালোচনা করা এসবই প্রত্যেক মানুষের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার। কিন্তু বারবার দেখা যায় যেকোন আন্দোলন আস্তে আস্তে মারামারিতে পরিণত হয়। সেখানে এক শ্রেণীর মানুষ দেখা যায়, যাদের মাথায় থাকে হেলমেট, হাতে থাকে দেশীয় অস্ত্র।

বিশেষ করে ছাত্র রাজনীতি ও আন্দোলন এই হেলমেট বাহিনীদের দেখা যায়। যাদের কাজই হচ্ছে পরিস্থিতি ভয়াবহ রণক্ষেত্র তৈরি করা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে, কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করেন, তখন দেখা যায় সব হেলমেট বাহিনীর লোকজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের বলে ঘোষণা করা হয়। অনেক সময় নিরপরাধ মানুষ ঘাড়ে এই দোষ চাপানো হচ্ছে। প্রকৃত অপরাধী বিচারের বইরে থেকে যায়। যার ফলে ন্যায়বিচার বারবার হুমকির সম্মুখীন হয়। তাই যে কোন আন্দোলনে এই হেলমেট বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেেেশ বা আন্দোলনে যাতে জনসাধারণ কেউ হেলমেট না পরে। কেননা একজনের দোষ অন্যজনের ওপর চাপানো কখনোই কোন রাজনৈতিক নীতি হতে পারে না।

সম্প্রতি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীর যে সংঘর্ষ হয় সেখানে দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণীর হেলমেট বাহিনীই মূলত পরিস্থিতি স্বাভাবিকের জন্য অন্তরায় হয়েছিল। একজন হেলমেট পরা লোক নাহিদ নামে এক পথচারীকে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলে। এদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ভবিষ্যতে যেন হেলমেট পরে লোকচক্ষু ফাঁকি দিয়ে দিবালোকে সন্ত্রাসি কর্মকা- করতে না পারে সেই লক্ষ্যে হেলমেট বাহিনীকে নিষিদ্ধ করা হোক।

রাকিব হাসান

বুধবার, ২৭ এপ্রিল ২০২২ , ১৪ বৈশাখ ১৪২৮ ২৫ রমাদ্বান ১৪৪৩

হেলমেট বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

image

যে কোন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন যখন দুষ্কৃতকারীদের জন্য রণক্ষেত্রের রূপ ধারণ করে তখন শিকার হন সাধারণ মানুষ। শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জাননো, সমাবেশ করা, বাক্স্বাধীনতা, সরকারের সমালোচনা করা এসবই প্রত্যেক মানুষের গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার। কিন্তু বারবার দেখা যায় যেকোন আন্দোলন আস্তে আস্তে মারামারিতে পরিণত হয়। সেখানে এক শ্রেণীর মানুষ দেখা যায়, যাদের মাথায় থাকে হেলমেট, হাতে থাকে দেশীয় অস্ত্র।

বিশেষ করে ছাত্র রাজনীতি ও আন্দোলন এই হেলমেট বাহিনীদের দেখা যায়। যাদের কাজই হচ্ছে পরিস্থিতি ভয়াবহ রণক্ষেত্র তৈরি করা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে, কাউকে কাউকে গ্রেপ্তার করেন, তখন দেখা যায় সব হেলমেট বাহিনীর লোকজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের বলে ঘোষণা করা হয়। অনেক সময় নিরপরাধ মানুষ ঘাড়ে এই দোষ চাপানো হচ্ছে। প্রকৃত অপরাধী বিচারের বইরে থেকে যায়। যার ফলে ন্যায়বিচার বারবার হুমকির সম্মুখীন হয়। তাই যে কোন আন্দোলনে এই হেলমেট বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক। শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেেেশ বা আন্দোলনে যাতে জনসাধারণ কেউ হেলমেট না পরে। কেননা একজনের দোষ অন্যজনের ওপর চাপানো কখনোই কোন রাজনৈতিক নীতি হতে পারে না।

সম্প্রতি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীর যে সংঘর্ষ হয় সেখানে দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণীর হেলমেট বাহিনীই মূলত পরিস্থিতি স্বাভাবিকের জন্য অন্তরায় হয়েছিল। একজন হেলমেট পরা লোক নাহিদ নামে এক পথচারীকে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলে। এদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ভবিষ্যতে যেন হেলমেট পরে লোকচক্ষু ফাঁকি দিয়ে দিবালোকে সন্ত্রাসি কর্মকা- করতে না পারে সেই লক্ষ্যে হেলমেট বাহিনীকে নিষিদ্ধ করা হোক।

রাকিব হাসান