চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা

সীতাকুন্ডে চাঁদা না দেয়ায় মো. হারুন (৪৪) নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা ও হারুনুর রশিদ (৪১) নামে অন্য একজনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত হারুন উপজেলা ড্রাম ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। আর আহত হারুনুর রশিদ ড্রামট্রাক ব্যবসায়ী। গত মঙ্গলবার রাতে পৌরসভার ওয়াপদা গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের দাবি হারুন হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে।

আহত হারুনুর রশিদের শ্যালক জাহেদুল ইসলাম রোমন জানান, নিহত হারুন ও আহত হারুনুর রশিদসহ আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী ড্রামট্রাক সমিতির অফিসে বসে প্রতিদিনের মতো গাড়ির হিসাব-নিকাশ ও অন্যান্য কাজ সারছিলেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী তাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। ব্যবসায়ীরা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা মো. হারুনকে পেটানো শুরু করলে তিনি বেঁহুশ হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর হুঁশ ফিরলে মো. হারুন নিজ বাড়ি চলে যান। বাড়িতে গিয়ে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়।

একই সময় তারা হারুনুর রশিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথায়, হাতে ও পায়ে মারাত্মক জখম করে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সীতাকুন্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, নিহত হারুনকে মারার কথা তার ছেলে কিংবা অন্য কেউ স্বীকার করছে না। তবুও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। অন্য ঘটনায় আহতের স্বজনরা থানায় মামলা করেছে।

বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২ , ১৫ বৈশাখ ১৪২৮ ২৬ রমাদ্বান ১৪৪৩

সীতাকুন্ডে

চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা

প্রতিনিধি, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম)

সীতাকুন্ডে চাঁদা না দেয়ায় মো. হারুন (৪৪) নামে এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা ও হারুনুর রশিদ (৪১) নামে অন্য একজনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত হারুন উপজেলা ড্রাম ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক। আর আহত হারুনুর রশিদ ড্রামট্রাক ব্যবসায়ী। গত মঙ্গলবার রাতে পৌরসভার ওয়াপদা গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের দাবি হারুন হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে।

আহত হারুনুর রশিদের শ্যালক জাহেদুল ইসলাম রোমন জানান, নিহত হারুন ও আহত হারুনুর রশিদসহ আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী ড্রামট্রাক সমিতির অফিসে বসে প্রতিদিনের মতো গাড়ির হিসাব-নিকাশ ও অন্যান্য কাজ সারছিলেন। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী তাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। ব্যবসায়ীরা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা মো. হারুনকে পেটানো শুরু করলে তিনি বেঁহুশ হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর হুঁশ ফিরলে মো. হারুন নিজ বাড়ি চলে যান। বাড়িতে গিয়ে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়।

একই সময় তারা হারুনুর রশিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মাথায়, হাতে ও পায়ে মারাত্মক জখম করে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সীতাকুন্ড থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, নিহত হারুনকে মারার কথা তার ছেলে কিংবা অন্য কেউ স্বীকার করছে না। তবুও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। অন্য ঘটনায় আহতের স্বজনরা থানায় মামলা করেছে।