শক্তিশালী বিরোধী দলের খোঁজ

শংকর প্রসাদ দে

গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেছেন, তিনি শক্তিশালী বিরোধী দল পাচ্ছেন না। চলমান বাস্তবতায় এটি মূল্যবান উক্তি। বাস্তবতা হলো সমাজ আজ রাজনীতিশূন্য। বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি শূন্য। একটি সুস্থ সমাজব্যবস্থায় শক্তিশালী বিরোধী দল প্রধানতম শর্ত। প্রশ্ন হলো আমরা কোন বিরোধী দল চাইছি।

ইতিহাস বড় নিষ্ঠুর। সিপিবি, ন্যাপ (মোজাফ্ফর), ন্যাপ (ভাসানী), জাসদ, সর্বহারা বামপন্থী আর জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলামী, মুসলিম লীগের মতো রক্ষণশীল দল নিয়ে এদেশের যাত্রা শুরু। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার কারণে রক্ষণশীল দলগুলো স্বাধীনতার পর অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। চীনপন্থী সর্বহারা বিপ্লবীদেরও হয়েছিল একই অবস্থা।

আরো প্রশ্ন জাগে, মস্কোপন্থী ন্যাপ, সিপিবি কোন দুঃখে, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের বি টিম সাজতে গিয়েছিল। আসলে বঙ্গুবন্ধুর কাঁধে বন্দুক রেখে ন্যাপ (মস্কোপন্থী) সিপিবি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখে নিজেরা মরেছে, দেশকে ডুবিয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল, আমি আগে বাঙালি, তারপর মুসলমান। স্বাধীনতার অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা মাওলানা ভাসানী শিষ্যের বিরোধিতা করতে গিয়ে বললেন, আমি আগে মুসলমান, তারপর বাঙালি। মুক্তিযুদ্ধের মূল আদর্শ ধর্ম নিরপেক্ষতাকে আঘাত করতে গিয়ে ভাসানী সাহেব নিজে মরলেন, বঙ্গবন্ধুকেও মরার পথে ঠেলে দিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধু বললেন আমি শোষিতের পক্ষে, তাই তো সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি করলেন সমাজতন্ত্র। সিরাজুল আলম খান (দাদাভাই) বললেন, আমি গুরুর সমাজতন্ত্র মানি না। আমি বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েম করব। শেয়ালের মতো সমস্বরে চিৎকার করে উঠলেন, রব-জলিল আর তাহের, সৃষ্টি করলেন গণবাহিনী। জাসদ বঙ্গবন্ধু হত্যার চমৎকার এক পটভূমি রচনা করল। একবারও খেয়াল করল না যে, পর্দার অন্তরালে ঘাতকরা দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে প্রতিবিপ্লবের জন্য। রব-জলিল-দাদাভাই জেলে গেলেন। বঙ্গবন্ধু মরলেন, সঙ্গে মরল জাসদও।

অদম্য দেশপ্রেমিক তাহের গণবাহিনীর শাখা বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা নিয়ে বিপ্লবের ছক করলেন জিয়ার কাঁধে বন্দুক রেখে। বিপ্লবী সৈনিকরা হত্যা করল খালেদ-হুদা-হায়দারকে। হত্যা করা হল দুজন নারীসহ ১৩ জন নিরীহ সামরিক কর্মকর্তাকে। এবার জিয়া বললো, তাহের তুমি বিদেয় হও। আমি পাকিস্তানি বাংলাদেশ কায়েম করব। নাছোড়বান্দা তাহের ৭ থেকে ৯ নভেম্বর ১৯৭৫ ঢাকাকে বানালেন নরককুন্ড। ১০ নভেম্বর থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে জিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে এলো। এবার মুরগির বাচ্চার মতো করে তাহেরকে ফাঁসিতে ঝোলালেন জেনারেল জিয়া।

আজকের বিরোধী দল শূন্যের শুরু এখান থেকে। জিয়া এক নতুন জাতীয়তা চালিয়ে দিলেন। তার নাম বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষ্যে জন্ম দিলেন বিএনপি। দলটির প্রতিষ্ঠাতার হাতে বন্দুক। গঠনতন্ত্রের শিরোনামে ইসলামি মূল্যবোধ। ভারত হলো শত্রু নাম্বার এক। সুযোগসন্ধানী সব ধান্দাবাজরা ভিড়ে গেল জিয়ার বিএনপিতে। দলটি চার মেয়াদে ১৫ বছর দেশ শাসন করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের করেছে দেশ থেকে বহিষ্কার।

জিয়া নিজেই হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন দলটির চট্টগ্রাম ইউনিটের বিরোধ মেটাতে এসে। দলটির প্রধান বেগম জিয়া কখনো জেলে, কখনো গৃহবন্দী। ১০ জন কর্মী একটি মিছিল বের করতে ভয় পায়। এদের বোঝা উচিত আওয়ামী-ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিরুদ্ধে জিয়া-খালেদা-তারেক মামলা কম দেয়নি, গ্রেপ্তার কম করেনি। পাখির মতো লীগ কর্মী হত্যা করা হয়েছে। তারপরও লীগ কর্মীরা আঁচলের তলে লুকায়নি।

বাস্তব সত্য হলো, জনপ্রিয়তার বা সমর্থকের বিচারে এখনো বিএনপি একমাত্র শক্তিশালী বিরোধী দল। জাতীয় পার্টিকে যদি শেখ হাসিনার আঁচল থেকে বের করে দেয়া হয় তবে এটি আঞ্চলিক দলের মর্যাদাও হারাবে যে কোন মুহূর্ত্বে। দুটো দলই জন্ম নিয়েছে ক্যান্টনমেন্টে। এদের রাজনীতির মূল কথাই যখন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতা আর দ্বিজাতিতত্ত্ব প্রীতি, তখন মুক্তিযুদ্ধের এদেশে এদের রাজনীতি ঐতিহাসিক কারণে স্তিমিত হতে বাধ্য।

বর্তমান মন্ত্রিসভা গঠনের সময় শেখ হাসিনা শরিক জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি প্রতিনিধিদের পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করুন। বাস্তবতা হলো, যে গরু কাঁধে জোয়াল দেখার আগে শুয়ে পরে সেই গরু দিয়ে হালচাষ অসম্ভব। আমরা দেখলাম জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা পাজামা, পাঞ্জাবি পরে ড্রয়িংইরুমে বসে স্বপ্ন দেখছেন কখন শেখ হাসিনার মোবাইল থেকে ফোন আসে।

এই যখন অবস্থা, তখন নিশীথ রাতে হারিকেন নিয়ে গরু খুঁজলে গরু পাওয়া যাবে। রাজনীতিতে আজ নিশীথ অন্ধকার। বিরোধী দল পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। দল হয় মানুষের জন্য। মানুষের সুখ-দুঃখ নিয়ে কথা বলার জন্য। অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এগিয়ে নেয়ার জন্য। সমাজের বৈষম্য কমানোর দাবি নিয়ে, দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবি নিয়ে রাজপথ কাঁপাবে, জনতার মঞ্চ কাঁপাবে, মানুষের মনের দুয়ারে কাঁপন ধরাবে এমন নেতা কই? কর্মী কই? মুক্তিযুদ্ধের স্বাপ্নিক শোষণ মুক্তির দাবি নিয়ে হাজির হবে এমন অনলবর্ষী রাজনীতিক কই?

জেল-জুলুম অত্যাচারকে উপক্ষো করে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে কোন সে মহামানব বলবে, আমি শোষণের অবসান চাই, বৈসম্যের অবসান চাই, উন্নয়ন চাই এবং যে কোন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান চাই। জানি না কখন এমন একটি রাজনৈতিক শক্তির, রাজনৈতিক কর্মীর, রাজনৈতিক নেতার আবির্ভাব হবে। ততদিন শক্তিশালী বিরোধী দল খোঁজার মানে হবে অমাবস্যা রাতে আকাশে তারা খোঁজার নামান্তর।

[লেখক : আইনজীবী]

বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২২ , ১৫ বৈশাখ ১৪২৮ ২৬ রমাদ্বান ১৪৪৩

শক্তিশালী বিরোধী দলের খোঁজ

শংকর প্রসাদ দে

গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেছেন, তিনি শক্তিশালী বিরোধী দল পাচ্ছেন না। চলমান বাস্তবতায় এটি মূল্যবান উক্তি। বাস্তবতা হলো সমাজ আজ রাজনীতিশূন্য। বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি শূন্য। একটি সুস্থ সমাজব্যবস্থায় শক্তিশালী বিরোধী দল প্রধানতম শর্ত। প্রশ্ন হলো আমরা কোন বিরোধী দল চাইছি।

ইতিহাস বড় নিষ্ঠুর। সিপিবি, ন্যাপ (মোজাফ্ফর), ন্যাপ (ভাসানী), জাসদ, সর্বহারা বামপন্থী আর জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলামী, মুসলিম লীগের মতো রক্ষণশীল দল নিয়ে এদেশের যাত্রা শুরু। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার কারণে রক্ষণশীল দলগুলো স্বাধীনতার পর অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। চীনপন্থী সর্বহারা বিপ্লবীদেরও হয়েছিল একই অবস্থা।

আরো প্রশ্ন জাগে, মস্কোপন্থী ন্যাপ, সিপিবি কোন দুঃখে, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের বি টিম সাজতে গিয়েছিল। আসলে বঙ্গুবন্ধুর কাঁধে বন্দুক রেখে ন্যাপ (মস্কোপন্থী) সিপিবি বিপ্লবের স্বপ্ন দেখে নিজেরা মরেছে, দেশকে ডুবিয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিল, আমি আগে বাঙালি, তারপর মুসলমান। স্বাধীনতার অন্যতম স্বপ্নদ্রষ্টা মাওলানা ভাসানী শিষ্যের বিরোধিতা করতে গিয়ে বললেন, আমি আগে মুসলমান, তারপর বাঙালি। মুক্তিযুদ্ধের মূল আদর্শ ধর্ম নিরপেক্ষতাকে আঘাত করতে গিয়ে ভাসানী সাহেব নিজে মরলেন, বঙ্গবন্ধুকেও মরার পথে ঠেলে দিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধু বললেন আমি শোষিতের পক্ষে, তাই তো সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি করলেন সমাজতন্ত্র। সিরাজুল আলম খান (দাদাভাই) বললেন, আমি গুরুর সমাজতন্ত্র মানি না। আমি বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েম করব। শেয়ালের মতো সমস্বরে চিৎকার করে উঠলেন, রব-জলিল আর তাহের, সৃষ্টি করলেন গণবাহিনী। জাসদ বঙ্গবন্ধু হত্যার চমৎকার এক পটভূমি রচনা করল। একবারও খেয়াল করল না যে, পর্দার অন্তরালে ঘাতকরা দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে প্রতিবিপ্লবের জন্য। রব-জলিল-দাদাভাই জেলে গেলেন। বঙ্গবন্ধু মরলেন, সঙ্গে মরল জাসদও।

অদম্য দেশপ্রেমিক তাহের গণবাহিনীর শাখা বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা নিয়ে বিপ্লবের ছক করলেন জিয়ার কাঁধে বন্দুক রেখে। বিপ্লবী সৈনিকরা হত্যা করল খালেদ-হুদা-হায়দারকে। হত্যা করা হল দুজন নারীসহ ১৩ জন নিরীহ সামরিক কর্মকর্তাকে। এবার জিয়া বললো, তাহের তুমি বিদেয় হও। আমি পাকিস্তানি বাংলাদেশ কায়েম করব। নাছোড়বান্দা তাহের ৭ থেকে ৯ নভেম্বর ১৯৭৫ ঢাকাকে বানালেন নরককুন্ড। ১০ নভেম্বর থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে জিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে এলো। এবার মুরগির বাচ্চার মতো করে তাহেরকে ফাঁসিতে ঝোলালেন জেনারেল জিয়া।

আজকের বিরোধী দল শূন্যের শুরু এখান থেকে। জিয়া এক নতুন জাতীয়তা চালিয়ে দিলেন। তার নাম বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। বংশানুক্রমিক রাজতন্ত্র কায়েমের লক্ষ্যে জন্ম দিলেন বিএনপি। দলটির প্রতিষ্ঠাতার হাতে বন্দুক। গঠনতন্ত্রের শিরোনামে ইসলামি মূল্যবোধ। ভারত হলো শত্রু নাম্বার এক। সুযোগসন্ধানী সব ধান্দাবাজরা ভিড়ে গেল জিয়ার বিএনপিতে। দলটি চার মেয়াদে ১৫ বছর দেশ শাসন করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের করেছে দেশ থেকে বহিষ্কার।

জিয়া নিজেই হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন দলটির চট্টগ্রাম ইউনিটের বিরোধ মেটাতে এসে। দলটির প্রধান বেগম জিয়া কখনো জেলে, কখনো গৃহবন্দী। ১০ জন কর্মী একটি মিছিল বের করতে ভয় পায়। এদের বোঝা উচিত আওয়ামী-ছাত্রলীগ-যুবলীগের বিরুদ্ধে জিয়া-খালেদা-তারেক মামলা কম দেয়নি, গ্রেপ্তার কম করেনি। পাখির মতো লীগ কর্মী হত্যা করা হয়েছে। তারপরও লীগ কর্মীরা আঁচলের তলে লুকায়নি।

বাস্তব সত্য হলো, জনপ্রিয়তার বা সমর্থকের বিচারে এখনো বিএনপি একমাত্র শক্তিশালী বিরোধী দল। জাতীয় পার্টিকে যদি শেখ হাসিনার আঁচল থেকে বের করে দেয়া হয় তবে এটি আঞ্চলিক দলের মর্যাদাও হারাবে যে কোন মুহূর্ত্বে। দুটো দলই জন্ম নিয়েছে ক্যান্টনমেন্টে। এদের রাজনীতির মূল কথাই যখন মুক্তিযুদ্ধ বিরোধিতা আর দ্বিজাতিতত্ত্ব প্রীতি, তখন মুক্তিযুদ্ধের এদেশে এদের রাজনীতি ঐতিহাসিক কারণে স্তিমিত হতে বাধ্য।

বর্তমান মন্ত্রিসভা গঠনের সময় শেখ হাসিনা শরিক জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি প্রতিনিধিদের পরিষ্কার বলে দিয়েছেন, নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করুন। বাস্তবতা হলো, যে গরু কাঁধে জোয়াল দেখার আগে শুয়ে পরে সেই গরু দিয়ে হালচাষ অসম্ভব। আমরা দেখলাম জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা পাজামা, পাঞ্জাবি পরে ড্রয়িংইরুমে বসে স্বপ্ন দেখছেন কখন শেখ হাসিনার মোবাইল থেকে ফোন আসে।

এই যখন অবস্থা, তখন নিশীথ রাতে হারিকেন নিয়ে গরু খুঁজলে গরু পাওয়া যাবে। রাজনীতিতে আজ নিশীথ অন্ধকার। বিরোধী দল পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। দল হয় মানুষের জন্য। মানুষের সুখ-দুঃখ নিয়ে কথা বলার জন্য। অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম এগিয়ে নেয়ার জন্য। সমাজের বৈষম্য কমানোর দাবি নিয়ে, দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবি নিয়ে রাজপথ কাঁপাবে, জনতার মঞ্চ কাঁপাবে, মানুষের মনের দুয়ারে কাঁপন ধরাবে এমন নেতা কই? কর্মী কই? মুক্তিযুদ্ধের স্বাপ্নিক শোষণ মুক্তির দাবি নিয়ে হাজির হবে এমন অনলবর্ষী রাজনীতিক কই?

জেল-জুলুম অত্যাচারকে উপক্ষো করে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে কোন সে মহামানব বলবে, আমি শোষণের অবসান চাই, বৈসম্যের অবসান চাই, উন্নয়ন চাই এবং যে কোন ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান চাই। জানি না কখন এমন একটি রাজনৈতিক শক্তির, রাজনৈতিক কর্মীর, রাজনৈতিক নেতার আবির্ভাব হবে। ততদিন শক্তিশালী বিরোধী দল খোঁজার মানে হবে অমাবস্যা রাতে আকাশে তারা খোঁজার নামান্তর।

[লেখক : আইনজীবী]