বাংলাদেশে এ বছর ৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে : আইএমএফ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, চলতি ২০২২ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর এটিই হবে সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপিতে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে, যা ২০২৭ সালে বেড়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ উঠতে পারে। আইএমএফ অবশ্য পঞ্জিকাবর্ষ (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।

বিশ্বব্যাংক ও এডিবি অর্থবছর তথা জুলাই-জুন ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়। বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। আর এডিবি দিয়েছে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস।

দেশের মূল্যস্ফীতি কেমন হবে, সেই পূর্বাভাসও দিয়েছে আইএমএফ। সে অনুযায়ী, বছরজুড়েই উচ্চ মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকবে। পুরো বছরের গড় মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে আগামী ২০২৩ সালে তা কিছুটা কমে ৫ দশমিক ৯ শতাংশে নামতে পারে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী করোনাপরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি কমে গেছে। ফলে চলতি বছরে বিশ্বের গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। আইএমএফ বলছে, চলতি ২০২২ সালে এই অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে ভারতের। এছাড়া ভুটানে ৪ দশমিক ৪, নেপালে ৪ দশমিক এক, পাকিস্তান ৪ ও শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

বাংলাদেশে এ বছর ৬.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে : আইএমএফ

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলছে, চলতি ২০২২ সালে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পর এটিই হবে সর্বোচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এই পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপিতে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে, যা ২০২৭ সালে বেড়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ উঠতে পারে। আইএমএফ অবশ্য পঞ্জিকাবর্ষ (জানুয়ারি-ডিসেম্বর) ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।

বিশ্বব্যাংক ও এডিবি অর্থবছর তথা জুলাই-জুন ধরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়। বিশ্বব্যাংক বলেছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। আর এডিবি দিয়েছে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস।

দেশের মূল্যস্ফীতি কেমন হবে, সেই পূর্বাভাসও দিয়েছে আইএমএফ। সে অনুযায়ী, বছরজুড়েই উচ্চ মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকবে। পুরো বছরের গড় মূল্যস্ফীতি হতে পারে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে আগামী ২০২৩ সালে তা কিছুটা কমে ৫ দশমিক ৯ শতাংশে নামতে পারে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী করোনাপরবর্তী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি কমে গেছে। ফলে চলতি বছরে বিশ্বের গড় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। আইএমএফ বলছে, চলতি ২০২২ সালে এই অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে ভারতের। এছাড়া ভুটানে ৪ দশমিক ৪, নেপালে ৪ দশমিক এক, পাকিস্তান ৪ ও শ্রীলঙ্কায় ২ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে।