বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। উভয় দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈকিত সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির বড় বাজার। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য শ্রম আইন সংশোধন করে বিশ^মানের করেছে। দেশের কারখানাগুলো নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করা হয়েছে। বিল্ডিং ও ইলেকট্রিসিটি সেইফটি নিশ্চিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. ঘাসের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন। এটি নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর প্রথম সাক্ষাৎ।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাককর্মীরা এখন নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছে। বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিড গ্রিন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সনদপ্রাপ্ত ১৫৭টি ফ্যাক্টরি রয়েছে। বিশে^র প্রথম ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেশেই ৯টি। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের উৎপাদন খরচ বাড়লেও ক্রেতারা সে তুলনায় মূল্য বৃদ্ধি করেনি। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ন্যায্যমূল্য (ফেয়ার প্রাইজ) নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস বলেন, ‘বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। উভয় দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির জন্য পিটিএ বা এফটিএ-এর মতো বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এতে সাময়িকভাবে বাংলাদেশ শুল্ক হারালেও দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশ লাভবান হবে।’

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি-২) মো. আবদুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক

বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। উভয় দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈকিত সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির বড় বাজার। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য শ্রম আইন সংশোধন করে বিশ^মানের করেছে। দেশের কারখানাগুলো নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করা হয়েছে। বিল্ডিং ও ইলেকট্রিসিটি সেইফটি নিশ্চিত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. ঘাসের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন। এটি নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর প্রথম সাক্ষাৎ।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের তৈরি পোশাককর্মীরা এখন নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছে। বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিড গ্রিন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সনদপ্রাপ্ত ১৫৭টি ফ্যাক্টরি রয়েছে। বিশে^র প্রথম ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেশেই ৯টি। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের উৎপাদন খরচ বাড়লেও ক্রেতারা সে তুলনায় মূল্য বৃদ্ধি করেনি। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ন্যায্যমূল্য (ফেয়ার প্রাইজ) নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।’

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস বলেন, ‘বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। উভয় দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির জন্য পিটিএ বা এফটিএ-এর মতো বাণিজ্যচুক্তি স্বাক্ষর করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এতে সাময়িকভাবে বাংলাদেশ শুল্ক হারালেও দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশ লাভবান হবে।’

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি-২) মো. আবদুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।