৭ শর্তে মুন্সীগঞ্জ ভিড়ছে না ১৭ লঞ্চের ১৫টি! দুর্ভোগে যাত্রীরা

মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ নৌ রুটে গত ২১ মার্চ থেকে বন্ধ হওয়া সানকেন ডেস্ক বিশিষ্ট লঞ্চ পুনরায় রুট পারমিট দেওয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) সাত শর্তে ১৮ টি লঞ্চের রুট পারমিট দেওয়া হয়। চাঁদপুর-মুন্সীগঞ্জ- নারায়ণগঞ্জ নৌরুটে দারাশিকো সহ আরো ৪ নৌরুটে ১৮ টি লঞ্চ কে শর্তে বলা হয় প্রতিটি নৌযান কে মুন্সীগঞ্জ ঘাট ধরে গন্তব্যের উদ্দেশ্য ছাড়তে হবে। কিন্তু সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ঘাটের ভিন্ন চিত্র যাত্রীরা অপেক্ষা করলেও লঞ্চ ঘাটে ভীড়ছে না এই লঞ্চগুলো। এতে ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের হয়রানি দ্বিগুন হারে বেড়েছে।

নারায়ণগঞ্জ গামী একজন যাএী ক্ষোভ ঝেরে বলেন ঘাটে এসে সময় মতো লঞ্চ যদি না পাই তাহলে এ ধরনের তামাশার দরকার কি? চোখের সামনে ওপার দিয়ে লঞ্চ গুলো চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছে আর আমরা মুন্সীগঞ্জ ঘাটে সময় নষ্ট করছি। ভোগান্তির শিকার আরেক যাত্রী ফাতেমা বলেন, কেনা কাটার জন্য নারায়ণগঞ্জে যাবো কিন্তু শুনেছি দারাশিকো লঞ্চ ছেড়ে গেছে সকালে তার পর থেকে ঘাটে লঞ্চ নেই লঞ্চ ভীড়ছেও না। তাই এখনি আমরা মুক্তারপুর হয়ে নারায়নগঞ্জে যেতে বাধ্য হচ্ছি।

মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে মাত্র তিনটি লঞ্চ এম এল শাহাবুদ্দিন, এম এল আরিফ, এম এল দারাশিকো। এই তিনটি লঞ্চই মুন্সীগঞ্জ থেকে নারায়নগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু চাঁদপুর থেকে নারায়নগঞ্জগামী লঞ্চগুলো মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে নোঙর করার কথা থাকলেও বাকি ১৫ টি ভিড়ছে না লঞ্চঘাটে। এতে যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রাজিব চন্দ্র রায় জানান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কতৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) রুটপারমিট দেওয়ার পর সময়সূচি অনুযায়ী গত সোমবার থেকে মুন্সীগঞ্জ- নারায়ণগঞ্জ নৌরুটে দারাশিকো’ যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে। দিনে দুই ট্রিপ দিচ্ছে বাকী ১৭ টি লঞ্চের মধ্যে মাত্র ২ টি লঞ্চ মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে ভীড়ছে। বাকি লঞ্চ গুলো ভীড়ানো হচ্ছে না এ বিষয়ে আমি রিপোর্ট করেছি আমার অফিস কে জানিয়েছি পরবর্তী নির্দেষ অফিস থেকে আসবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে কথা হয় নারায়ণগঞ্জে ঘাটের বাবু লাল বৈদ্য উপ পরিচালক ভারপ্রাপ্ত নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যাবস্তাপনা বিভাগ। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখনো আমরা রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট পেলে দুই এক দিনের মধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজিব এ বিষয়ে রিপোর্ট করে থাকলে আমাদের ডাইরেক্টর স্যার ব্যাবস্থার নির্দেশ দেবেন। ডাইরেক্টর স্যার নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তো আমরা কিছু করতে পারবো না।

উল্লেখ্য, ৭ শর্তে মেনে নারায়ণগঞ্জ থেকে চাদপুর, রামচন্দ্রপুর, নড়িয়া, মতলব ও মুন্সীগঞ্জ নৌরুটে চলাচলের রুটপারমিট দেওয়া হয় ১৮ লঞ্চ কে। যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ -চাঁদপুর নৌ রুটে চলবে ১৩ টি নারায়ণগঞ্জ -রামচন্দ্র ২ টি নারায়ণগঞ্জ নড়িয়া রুটে ১ টি নারায়ণগঞ্জ মতলব নৌরুটে ও মুন্সীগঞ্জ - নারায়ণগঞ্জ নৌরুটে একটি করে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে ঘাট ইজারাদার এর সঙ্গে কথা হলে ইজারাদার দ্বীল মোহাম্মদ কম্পানী বলেন গত মঙ্গলবার সকালে এম এল দারাশিকো ঘাট ছেড়ে গেছে সকালে, শাহাবুদ্দিন, আরিফ তিন টি লঞ্চ মুন্সীগঞ্জ ঘাটে ভীড়েছে। যদি নারায়ণগঞ্জ চাঁদপুর ১৫ টি লঞ্চ যদি ঘাটে ভীড়তো তাহলে যাত্রীদের ভোগান্তি ও কিছু টা কমতো , বাকি লঞ্চ গুলো ঘাটে না ভেড়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটার যারা দায়িত্বে রয়েছে তারা জানেন। মনে হয় দুই এক দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

৭ শর্তে মুন্সীগঞ্জ ভিড়ছে না ১৭ লঞ্চের ১৫টি! দুর্ভোগে যাত্রীরা

প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ

মুন্সীগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ নৌ রুটে গত ২১ মার্চ থেকে বন্ধ হওয়া সানকেন ডেস্ক বিশিষ্ট লঞ্চ পুনরায় রুট পারমিট দেওয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ গত শনিবার (২৩ এপ্রিল) সাত শর্তে ১৮ টি লঞ্চের রুট পারমিট দেওয়া হয়। চাঁদপুর-মুন্সীগঞ্জ- নারায়ণগঞ্জ নৌরুটে দারাশিকো সহ আরো ৪ নৌরুটে ১৮ টি লঞ্চ কে শর্তে বলা হয় প্রতিটি নৌযান কে মুন্সীগঞ্জ ঘাট ধরে গন্তব্যের উদ্দেশ্য ছাড়তে হবে। কিন্তু সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় ঘাটের ভিন্ন চিত্র যাত্রীরা অপেক্ষা করলেও লঞ্চ ঘাটে ভীড়ছে না এই লঞ্চগুলো। এতে ঈদ যাত্রায় যাত্রীদের হয়রানি দ্বিগুন হারে বেড়েছে।

নারায়ণগঞ্জ গামী একজন যাএী ক্ষোভ ঝেরে বলেন ঘাটে এসে সময় মতো লঞ্চ যদি না পাই তাহলে এ ধরনের তামাশার দরকার কি? চোখের সামনে ওপার দিয়ে লঞ্চ গুলো চাঁদপুর থেকে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছে আর আমরা মুন্সীগঞ্জ ঘাটে সময় নষ্ট করছি। ভোগান্তির শিকার আরেক যাত্রী ফাতেমা বলেন, কেনা কাটার জন্য নারায়ণগঞ্জে যাবো কিন্তু শুনেছি দারাশিকো লঞ্চ ছেড়ে গেছে সকালে তার পর থেকে ঘাটে লঞ্চ নেই লঞ্চ ভীড়ছেও না। তাই এখনি আমরা মুক্তারপুর হয়ে নারায়নগঞ্জে যেতে বাধ্য হচ্ছি।

মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে মাত্র তিনটি লঞ্চ এম এল শাহাবুদ্দিন, এম এল আরিফ, এম এল দারাশিকো। এই তিনটি লঞ্চই মুন্সীগঞ্জ থেকে নারায়নগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। কিন্তু চাঁদপুর থেকে নারায়নগঞ্জগামী লঞ্চগুলো মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে নোঙর করার কথা থাকলেও বাকি ১৫ টি ভিড়ছে না লঞ্চঘাটে। এতে যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রাজিব চন্দ্র রায় জানান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কতৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) রুটপারমিট দেওয়ার পর সময়সূচি অনুযায়ী গত সোমবার থেকে মুন্সীগঞ্জ- নারায়ণগঞ্জ নৌরুটে দারাশিকো’ যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে। দিনে দুই ট্রিপ দিচ্ছে বাকী ১৭ টি লঞ্চের মধ্যে মাত্র ২ টি লঞ্চ মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটে ভীড়ছে। বাকি লঞ্চ গুলো ভীড়ানো হচ্ছে না এ বিষয়ে আমি রিপোর্ট করেছি আমার অফিস কে জানিয়েছি পরবর্তী নির্দেষ অফিস থেকে আসবে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে কথা হয় নারায়ণগঞ্জে ঘাটের বাবু লাল বৈদ্য উপ পরিচালক ভারপ্রাপ্ত নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যাবস্তাপনা বিভাগ। তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখনো আমরা রিপোর্ট পাইনি। রিপোর্ট পেলে দুই এক দিনের মধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজিব এ বিষয়ে রিপোর্ট করে থাকলে আমাদের ডাইরেক্টর স্যার ব্যাবস্থার নির্দেশ দেবেন। ডাইরেক্টর স্যার নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তো আমরা কিছু করতে পারবো না।

উল্লেখ্য, ৭ শর্তে মেনে নারায়ণগঞ্জ থেকে চাদপুর, রামচন্দ্রপুর, নড়িয়া, মতলব ও মুন্সীগঞ্জ নৌরুটে চলাচলের রুটপারমিট দেওয়া হয় ১৮ লঞ্চ কে। যার মধ্যে নারায়ণগঞ্জ -চাঁদপুর নৌ রুটে চলবে ১৩ টি নারায়ণগঞ্জ -রামচন্দ্র ২ টি নারায়ণগঞ্জ নড়িয়া রুটে ১ টি নারায়ণগঞ্জ মতলব নৌরুটে ও মুন্সীগঞ্জ - নারায়ণগঞ্জ নৌরুটে একটি করে চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে ঘাট ইজারাদার এর সঙ্গে কথা হলে ইজারাদার দ্বীল মোহাম্মদ কম্পানী বলেন গত মঙ্গলবার সকালে এম এল দারাশিকো ঘাট ছেড়ে গেছে সকালে, শাহাবুদ্দিন, আরিফ তিন টি লঞ্চ মুন্সীগঞ্জ ঘাটে ভীড়েছে। যদি নারায়ণগঞ্জ চাঁদপুর ১৫ টি লঞ্চ যদি ঘাটে ভীড়তো তাহলে যাত্রীদের ভোগান্তি ও কিছু টা কমতো , বাকি লঞ্চ গুলো ঘাটে না ভেড়ার কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটার যারা দায়িত্বে রয়েছে তারা জানেন। মনে হয় দুই এক দিনের মধ্যে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।