হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে শুরু হয়েছে তীব্র দাবদাহ। গত কয়েকদিনের দিনের গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন জনসাধারণ। নেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা! বয়ে যাচ্ছে মৌসুমের তাপপ্রবাহ। প্রকৃতির এখন যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। তেতে ওঠা রোদ্দুরে যেন আগুনের হল্কা ঝরছে। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া ও আমাশয়ের প্রাদুর্ভাব। তার উপর পবিত্র রমজান মাস। এত গরমের মধ্যে বিদ্যুতের আসা যাওয়ায় পরিস্থিতি আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আর বেলা বারার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তাপ ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্টের সীমা যেন শেষ নেই । দুপুর ১১ টার পর বাইরে বের হওয়াই মহা দায় হয়ে উঠেছে। দিনমজুর শ্রমিক আর রিক্সা চালক এই রোদের মধ্যে কাজ করতে পারছে না। দিনে কোনো গাছ বা বাড়ির ছায়াকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন এসব শ্রমজীবী মানুষেরা। তার উপর পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখে বাজারে আসতে সাহস পান না মানুষ। কিন্তু আর কিছু দিন পরই রোজার ঈদ। এই গরমেও ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষ। অক্লান্ত মানুষ একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে আখের রস, ডাবের পানি, বরফের পানি, লেবুর শরবত, ফ্রিজের ঠান্ডা, আর আইসক্রিম জাতীয় দ্রব্য কিনে খেতে দেখা যাচ্ছে। গরমে বেশি কষ্টে আছেন শিশু ও বৃদ্ধ বয়সীরা। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, জন্ডিস, হিটস্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। চুনারুঘাট হাসপাতালের টিএইচও ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এই গরমে ডায়রিয়া, আমাশয়, হিটস্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই বাইরে খোলা খাবার না খওয়া, ঝাল -মসলা জাতীয় জিনিস বাদ দেয়াসহ তরল বা লেবুর শরবত, বেলের শরবত এবং ওর স্যালাইন বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন।
শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমাদ্বান ১৪৪৩
প্রতিনিধি, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ)
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে শুরু হয়েছে তীব্র দাবদাহ। গত কয়েকদিনের দিনের গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন জনসাধারণ। নেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা! বয়ে যাচ্ছে মৌসুমের তাপপ্রবাহ। প্রকৃতির এখন যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। তেতে ওঠা রোদ্দুরে যেন আগুনের হল্কা ঝরছে। দেখা দিচ্ছে ডায়রিয়া ও আমাশয়ের প্রাদুর্ভাব। তার উপর পবিত্র রমজান মাস। এত গরমের মধ্যে বিদ্যুতের আসা যাওয়ায় পরিস্থিতি আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আর বেলা বারার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের তাপ ক্রমেই বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্টের সীমা যেন শেষ নেই । দুপুর ১১ টার পর বাইরে বের হওয়াই মহা দায় হয়ে উঠেছে। দিনমজুর শ্রমিক আর রিক্সা চালক এই রোদের মধ্যে কাজ করতে পারছে না। দিনে কোনো গাছ বা বাড়ির ছায়াকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন এসব শ্রমজীবী মানুষেরা। তার উপর পবিত্র রমজান মাসে রোজা রেখে বাজারে আসতে সাহস পান না মানুষ। কিন্তু আর কিছু দিন পরই রোজার ঈদ। এই গরমেও ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে কেনাকাটায় ব্যস্ত মানুষ। অক্লান্ত মানুষ একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে আখের রস, ডাবের পানি, বরফের পানি, লেবুর শরবত, ফ্রিজের ঠান্ডা, আর আইসক্রিম জাতীয় দ্রব্য কিনে খেতে দেখা যাচ্ছে। গরমে বেশি কষ্টে আছেন শিশু ও বৃদ্ধ বয়সীরা। নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, জন্ডিস, হিটস্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। চুনারুঘাট হাসপাতালের টিএইচও ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এই গরমে ডায়রিয়া, আমাশয়, হিটস্ট্রোকসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই বাইরে খোলা খাবার না খওয়া, ঝাল -মসলা জাতীয় জিনিস বাদ দেয়াসহ তরল বা লেবুর শরবত, বেলের শরবত এবং ওর স্যালাইন বেশি করে খাওয়া প্রয়োজন।