ঈশ্বরদীতে পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে তদন্তের নির্দেশ আদালতের

ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়ন ও লক্ষ¥ীকুন্ডাসহ লালপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে প্রয়াজেনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বালু উত্তোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক মো. আবু সাঈদ পিবিআই এর পুলিশ সুপারকে এই নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ঈশ^রদী ও লালপুরের অপর নদীগুলো থেকে বালু উত্তোলন, করা হলেও এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতের কার্য সহকারী রাজু আহমেদ মিডিয়াকে জানান, আগামী ৫ জুনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। একটি সূত্রে জানা গেছে, গণমাধ্যমে পদ্মা নদীতে লাখ লাখ টাকার বালু লুট হওয়ার সংবাদ প্রচার হলে তা আদালতের দৃষ্টিগোচর হয় এবং তা আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত মামলা। গ্রহণ করেন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ। প্রাথমিক অনুসন্ধানে করা বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্তকালে আসামিদের শনাক্ত, সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচিপত্র প্রস্তুতের পাশাপাশি অবৈধ বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পাওয়া গেলে তা জব্দ করার নির্দেশ দেন। আদালতের আমলে নেওয়া গণমাধ্যম প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রভাবশালীরা নদী থেকে প্রতিদিন অন্তত শতাধিক ড্রাম ট্রাকে করে বালু তুলে নিচ্ছে এবং বালু পরিবহনের জন্য চরের কৃষি জমি নষ্ট করে ৪ কিলোমিটার লম্বা রাস্তাও বানানো হয়েছে। এ ছাড়াও বালু উত্তোলনের কারণে আগামী বর্ষায় কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা।

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে, অপরদিকে পরিবর্তন হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে নদীর গতিপথেও। অনেক সময় সরকারি প্রকল্পে বালু ভরাটের নামে লিজ ছাড়াই নদী থেকে বালু তুলে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। পিবিআই পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘আদালতের আদেশের কপি এখনও হাতে পাইনি। আদেশের কপি হাতে পেলে তদন্ত কাজ শুরু করা হবে। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘আদালতের আদেশ দু’একদিন পর হাতে পেতে পারি। আদেশ পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

ঈশ্বরদীতে পদ্মায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে তদন্তের নির্দেশ আদালতের

প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা)

ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়ন ও লক্ষ¥ীকুন্ডাসহ লালপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে প্রয়াজেনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বালু উত্তোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের বিচারক মো. আবু সাঈদ পিবিআই এর পুলিশ সুপারকে এই নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ঈশ^রদী ও লালপুরের অপর নদীগুলো থেকে বালু উত্তোলন, করা হলেও এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতের কার্য সহকারী রাজু আহমেদ মিডিয়াকে জানান, আগামী ৫ জুনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। একটি সূত্রে জানা গেছে, গণমাধ্যমে পদ্মা নদীতে লাখ লাখ টাকার বালু লুট হওয়ার সংবাদ প্রচার হলে তা আদালতের দৃষ্টিগোচর হয় এবং তা আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত মামলা। গ্রহণ করেন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সাঈদ। প্রাথমিক অনুসন্ধানে করা বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্তকালে আসামিদের শনাক্ত, সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচিপত্র প্রস্তুতের পাশাপাশি অবৈধ বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পাওয়া গেলে তা জব্দ করার নির্দেশ দেন। আদালতের আমলে নেওয়া গণমাধ্যম প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রভাবশালীরা নদী থেকে প্রতিদিন অন্তত শতাধিক ড্রাম ট্রাকে করে বালু তুলে নিচ্ছে এবং বালু পরিবহনের জন্য চরের কৃষি জমি নষ্ট করে ৪ কিলোমিটার লম্বা রাস্তাও বানানো হয়েছে। এ ছাড়াও বালু উত্তোলনের কারণে আগামী বর্ষায় কৃষি জমি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা।

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে, অপরদিকে পরিবর্তন হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে নদীর গতিপথেও। অনেক সময় সরকারি প্রকল্পে বালু ভরাটের নামে লিজ ছাড়াই নদী থেকে বালু তুলে নিচ্ছেন প্রভাবশালীরা। পিবিআই পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘আদালতের আদেশের কপি এখনও হাতে পাইনি। আদেশের কপি হাতে পেলে তদন্ত কাজ শুরু করা হবে। নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, আদালতের আদেশ অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ‘আদালতের আদেশ দু’একদিন পর হাতে পেতে পারি। আদেশ পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।