প্রধানমন্ত্রী দিলেন সমাধান

তেঁতুলতলার মাঠে থানা হচ্ছে না

রাজধানীর তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন হচ্ছে না। মাঠটি খেলার জায়গা হিসেবে থাকছে। ওই মাঠ নিয়ে গত কয়েকদিন পক্ষে ও বিপক্ষের আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাধান দিয়েছেন। তিনি তেঁতুলতলার এ মাঠে থানা ভবন না করে শিশুর খেলার জন্য রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওই এলাকায় খেলার কোন মাঠ নেই, শিশুদের খেলা বা বিনোদনের কোন জায়গায় নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন, এটা পুলিশের জায়গা, পুলিশের থাক। তবে আর যেন কোন কন্সট্রাকশন কাজ না হয়।’

মাঠ রক্ষা আন্দোলনের কর্মী সৈয়দা রতœা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল, আমাদের এই দাবির কথা প্রধানমন্ত্রীর কান পর্যন্ত পৌঁছালে তিনি মাঠের পক্ষে থাকবেন। আমি অনেক চেষ্টা করেছি, আমাদের কথাগুলো পৌঁছে দেয়ার জন্য। অবশেষে তার কাছে আমাদের কথাগুলো পৌঁছেছে। আমার বিশ্বাস সঠিক ছিল। লাভ ইউ বুবু। আপনাকে ধন্যবাদ।’

২৪ এপ্রিল খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে আন্দোলনে সংশ্লিষ্টতা এবং মাঠে থানা নির্মাণে বাধা দেয়ার অভিযোগে ‘তেঁতুলতলা মাঠ সুরক্ষা’ আন্দোলনের সমন্বয়ক সৈয়দা রতœা এবং তার ছেলে পিয়াংসুকে আটক করে পুলিশ। ১৩ ঘণ্টা আটক থাকার পর মুচলেকা দিয়ে তাদের মধ্যরাতে ছেড়ে দেয়া হয়।

গত কয়েকদিন ধরে পরিবেশবাদীসহ কয়েকটি সংগঠনের আন্দোলন, প্রতিবাদের পরও ওই মাঠে থানা ভবন নির্মাণ কাজ চলে। জায়গাটিকে মাঠ দাবি করে সেখানে থানার নির্মাণকাজ বন্ধের দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেন আন্দোলকারীরা।

গত বুধবার আন্দোলনকারীদের পক্ষে পরিবেশবাদী কয়েকটি সংগঠনের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে থানা ভবন তুলতে না করেন। কারণ এ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, তেঁতুলতলা কখনও মাঠ ছিল না, এটা পরিত্যক্ত সম্পত্তি ছিল, সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে থানা নির্মাণের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই কথার পর বুধবার রাতে ওই জায়গায় থানা ভবন প্রাচীরের নির্মাণ কাজ চলে। যা গতকাল সকালেও কাজটি অব্যাহত ছিল।

গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তেঁতুলতলা মাঠের জায়গাটা পুলিশের, সেটা পুলিশেরই থাকবে। তবে সেটা এতদিন যেভাবে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল, সেভাবে মাঠ হিসেবে ব্যবহার হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থানা ভবন কোথায় নির্মাণ হবে এটা পরে দেখা যাবে। তবে ওই জায়গায় এখন কোন নির্মাণ কাজ হবে না।

তেঁতুলতলা মাঠের সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী, বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনসহ নাগরিক প্লাটফর্ম। দুপুর আড়াইটার দিকে তেঁতুলতলা মাঠে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সময় তারা দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, রাশেদা কে. চৌধুরী, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সৈয়দা রতœা, প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মাঠটিকে পরিষ্কার করে শিশুদের খেলার উপযোগী করে দিতে হবে। স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, এই মাঠটিকে একটি আধুনিক মাঠ করার জন্য যা যা সহযোগিতা প্রয়োজন স্থপতিদের সংগঠন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট তা করবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা তা আবারো প্রমাণ করলেন। শিশু ও এলাকাবাসীর কথা বিবেচনা করে মাঠটি ছেড়ে দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি বলেন, ঈদের পর এই মাঠে এলাকাবাসীসহ সবাইকে নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করা হবে।

তেঁতুলতলার ওই জায়গাকে পুলিশ কলাবাগান থানা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ নিলে তার প্রতিবাদে নামে ওই এলাকার বাসিন্দা ও সংস্কৃতিকর্মী সৈয়দা রতœা। ওই জায়গাকে শিশুদের খেলার জন্য রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বস্তিবোধও করেছন তিনি।

রতœা বলেন, তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন না করে শিশুর খেলার জন্য রাখার যে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ‘বিষয়টি’ ভালোভাবেই দেখছি। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেয়ায় এখন আর ভয় নেই। তিনি বলেন, এই মাঠটিকে সদ্ব্যব্যহার করতে চাই বাচ্চাদের জন্য। বাচ্চারা যেন সত্যিকারের সাংস্কৃতিক, উদার মনোভাব নিয়ে বড় হতে পারে। ওদের বিকাশ যেন সঠিকভাবে হয়। এভাবেই যেন ব্যবহার করতে পারি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাঠটি শিশুদের খেলার জন্য থাকলেও মালিকানা পুলিশের হাতেই থাকবে। আপত্তি জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ আবার কোন কিছু করার চেষ্টা করবে। মাঠটিকে আমরা চাই একবারে মাঠ হিসেবে যেভাবে সরকারি মাঠ হিসেবে, স্বতন্ত্র মাঠ হিসেবে ঘোষণা হোক। যেভাবে থাকলে কেউ কখনও মাঠটিকে অন্য কোন বিকল্প ভাবার চিন্তা করবেন না। এভাবে যেন হয়- আর কখনও এই মাঠে হামলা না হয়, এই নিরাপত্তাটুকু আমরা চাই।

গত মঙ্গলবার তেঁতুলতলার জায়গা না ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে ওই এলাকার শিশুদের খেলাধুলার জন্য কলাবাগান ক্লাবের মাঠটি দেখিয়ে দিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কলাবাগান থানা নির্মাণের জন্য দেশের প্রচলিত সব আইনকানুন মেনে বরাদ্দ নিয়েছে। এক্ষেত্রে ডিএমপি কোন ব্যক্তি বা সংস্থার জমিতে বেআইনিভাবে থানা ভবন নির্মাণ করছে না। ওই এলাকার শিশু-কিশোরদের খেলার মাঠের দাবির প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকল্প খেলার মাঠ ব্যবস্থার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এখতিয়ারভুক্ত নয়। তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানাতে বুধবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান অধিকারকর্মী খুশী কবির, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থপতি ইকবাল হাবিব ও সঙ্গীতা ইমাম।

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

প্রধানমন্ত্রী দিলেন সমাধান

তেঁতুলতলার মাঠে থানা হচ্ছে না

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

তেঁতুলতলার মাঠে থানা হচ্ছে না, এই ঘোষণায় গতকাল মাঠে শিশু ও সাংস্কৃতিককর্মীদের আনন্দ উল্লাস, সঙ্গে পুলিশও যোগ দেয় -সংবাদ

রাজধানীর তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন হচ্ছে না। মাঠটি খেলার জায়গা হিসেবে থাকছে। ওই মাঠ নিয়ে গত কয়েকদিন পক্ষে ও বিপক্ষের আলোচনার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাধান দিয়েছেন। তিনি তেঁতুলতলার এ মাঠে থানা ভবন না করে শিশুর খেলার জন্য রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ওই এলাকায় খেলার কোন মাঠ নেই, শিশুদের খেলা বা বিনোদনের কোন জায়গায় নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন, এটা পুলিশের জায়গা, পুলিশের থাক। তবে আর যেন কোন কন্সট্রাকশন কাজ না হয়।’

মাঠ রক্ষা আন্দোলনের কর্মী সৈয়দা রতœা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস ছিল, আমাদের এই দাবির কথা প্রধানমন্ত্রীর কান পর্যন্ত পৌঁছালে তিনি মাঠের পক্ষে থাকবেন। আমি অনেক চেষ্টা করেছি, আমাদের কথাগুলো পৌঁছে দেয়ার জন্য। অবশেষে তার কাছে আমাদের কথাগুলো পৌঁছেছে। আমার বিশ্বাস সঠিক ছিল। লাভ ইউ বুবু। আপনাকে ধন্যবাদ।’

২৪ এপ্রিল খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে আন্দোলনে সংশ্লিষ্টতা এবং মাঠে থানা নির্মাণে বাধা দেয়ার অভিযোগে ‘তেঁতুলতলা মাঠ সুরক্ষা’ আন্দোলনের সমন্বয়ক সৈয়দা রতœা এবং তার ছেলে পিয়াংসুকে আটক করে পুলিশ। ১৩ ঘণ্টা আটক থাকার পর মুচলেকা দিয়ে তাদের মধ্যরাতে ছেড়ে দেয়া হয়।

গত কয়েকদিন ধরে পরিবেশবাদীসহ কয়েকটি সংগঠনের আন্দোলন, প্রতিবাদের পরও ওই মাঠে থানা ভবন নির্মাণ কাজ চলে। জায়গাটিকে মাঠ দাবি করে সেখানে থানার নির্মাণকাজ বন্ধের দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দেন আন্দোলকারীরা।

গত বুধবার আন্দোলনকারীদের পক্ষে পরিবেশবাদী কয়েকটি সংগঠনের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে থানা ভবন তুলতে না করেন। কারণ এ মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়ে বলেন, তেঁতুলতলা কখনও মাঠ ছিল না, এটা পরিত্যক্ত সম্পত্তি ছিল, সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে থানা নির্মাণের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই কথার পর বুধবার রাতে ওই জায়গায় থানা ভবন প্রাচীরের নির্মাণ কাজ চলে। যা গতকাল সকালেও কাজটি অব্যাহত ছিল।

গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তেঁতুলতলা মাঠের জায়গাটা পুলিশের, সেটা পুলিশেরই থাকবে। তবে সেটা এতদিন যেভাবে খেলার মাঠ হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিল, সেভাবে মাঠ হিসেবে ব্যবহার হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, থানা ভবন কোথায় নির্মাণ হবে এটা পরে দেখা যাবে। তবে ওই জায়গায় এখন কোন নির্মাণ কাজ হবে না।

তেঁতুলতলা মাঠের সিদ্ধান্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসী, বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনসহ নাগরিক প্লাটফর্ম। দুপুর আড়াইটার দিকে তেঁতুলতলা মাঠে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সময় তারা দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, রাশেদা কে. চৌধুরী, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সৈয়দা রতœা, প্রমুখ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মাঠটিকে পরিষ্কার করে শিশুদের খেলার উপযোগী করে দিতে হবে। স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, এই মাঠটিকে একটি আধুনিক মাঠ করার জন্য যা যা সহযোগিতা প্রয়োজন স্থপতিদের সংগঠন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট তা করবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা তা আবারো প্রমাণ করলেন। শিশু ও এলাকাবাসীর কথা বিবেচনা করে মাঠটি ছেড়ে দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি বলেন, ঈদের পর এই মাঠে এলাকাবাসীসহ সবাইকে নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করা হবে।

তেঁতুলতলার ওই জায়গাকে পুলিশ কলাবাগান থানা নির্মাণের জন্য বরাদ্দ নিলে তার প্রতিবাদে নামে ওই এলাকার বাসিন্দা ও সংস্কৃতিকর্মী সৈয়দা রতœা। ওই জায়গাকে শিশুদের খেলার জন্য রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে স্বস্তিবোধও করেছন তিনি।

রতœা বলেন, তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবন না করে শিশুর খেলার জন্য রাখার যে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ‘বিষয়টি’ ভালোভাবেই দেখছি। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেয়ায় এখন আর ভয় নেই। তিনি বলেন, এই মাঠটিকে সদ্ব্যব্যহার করতে চাই বাচ্চাদের জন্য। বাচ্চারা যেন সত্যিকারের সাংস্কৃতিক, উদার মনোভাব নিয়ে বড় হতে পারে। ওদের বিকাশ যেন সঠিকভাবে হয়। এভাবেই যেন ব্যবহার করতে পারি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাঠটি শিশুদের খেলার জন্য থাকলেও মালিকানা পুলিশের হাতেই থাকবে। আপত্তি জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ আবার কোন কিছু করার চেষ্টা করবে। মাঠটিকে আমরা চাই একবারে মাঠ হিসেবে যেভাবে সরকারি মাঠ হিসেবে, স্বতন্ত্র মাঠ হিসেবে ঘোষণা হোক। যেভাবে থাকলে কেউ কখনও মাঠটিকে অন্য কোন বিকল্প ভাবার চিন্তা করবেন না। এভাবে যেন হয়- আর কখনও এই মাঠে হামলা না হয়, এই নিরাপত্তাটুকু আমরা চাই।

গত মঙ্গলবার তেঁতুলতলার জায়গা না ছাড়ার ইঙ্গিত দিয়ে ওই এলাকার শিশুদের খেলাধুলার জন্য কলাবাগান ক্লাবের মাঠটি দেখিয়ে দিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কলাবাগান থানা নির্মাণের জন্য দেশের প্রচলিত সব আইনকানুন মেনে বরাদ্দ নিয়েছে। এক্ষেত্রে ডিএমপি কোন ব্যক্তি বা সংস্থার জমিতে বেআইনিভাবে থানা ভবন নির্মাণ করছে না। ওই এলাকার শিশু-কিশোরদের খেলার মাঠের দাবির প্রেক্ষাপটে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিকল্প খেলার মাঠ ব্যবস্থার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এখতিয়ারভুক্ত নয়। তেঁতুলতলা মাঠে থানা ভবনের নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানাতে বুধবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান অধিকারকর্মী খুশী কবির, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থপতি ইকবাল হাবিব ও সঙ্গীতা ইমাম।