মারিউপোলের বেসামরিকদের সরানোর কাজ চলছে : গুতেরেস

মারিউপোলের আজভস্তাইল লৌহ ও ইস্পাত কারখানায় আটকা পড়ে থাকা বেসামরিকদের সরানোর কাজ একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

ইউক্রেনের বন্দরনগরীটির বিশাল ওই কারখানার ভূগর্ভস্থ টানেল ও বাংকারে কয়েক হাজার সামরিক, বেসামরিক ও আহত সেনারা আটকা পড়ে আছে আর তাদের রসদও ফুরিয়ে এসেছে বলে খবর হয়েছে।

যুদ্ধে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া মারিউপোল এখন রাশিয়ার বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু ১১ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ভূগর্ভস্থ টানেল আর ওয়ার্কশপের গোলকধাঁধায় পূর্ণ আজভস্তাইল ইস্পাত কারখানা এখনও তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে আছে। আজভ সাগরের এই বন্দরটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়া মস্কোর প্রধান লক্ষ্যগুলোর একটি।

বিবিসি জানিয়েছে, এখন ইউক্রেন সফরে থাকা জাতিসংঘ মহাসচিব পর্তুগিজ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ওই ইস্পাত কারখানা থেকে কয়েকশ বেসামরিককে সরিয়ে নিতে একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। এটি খুব জটিল একটি কাজ। পুতিন নীতিগতভাবে এতে রাজি হয়েছেন। এখন যেসব বৈঠক হচ্ছে সেখানে এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে, এমন সমঝোতা হয়েছে, বলেছেন তিনি।

তাদের নিজ বাড়িতে আছে বা কোন জনসমাগমস্থলে আছে, এমন লোকজনদের নিয়ে কাজ করছি না আমরা, খুবই নাটকীয় পরিস্থিতিতে বাংকারে আটকা পড়ে থাকা লোকজনকে নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে যা অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। আমাদের লক্ষ্য শুক্রবারই অভিযানটি করা, কিন্তু এটি করতে হলে

স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে থাকতে হবে, বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

গুতেরেস মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার সন্ধ্যায় পোল্যান্ড হয়ে ইউক্রেনে পৌঁছেছেন। ‘শান্তির বার্তাবাহক’ হয়েই তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেন সফর করছেন বলে এর আগে জানিয়েছেন বিশ্বের অভিভাবক সংস্থাটি প্রধান।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কিছু জায়গা পরিদর্শন করেছেন গুতেরেস। কিয়েভের উত্তরাঞ্চলীয় বোরোদিয়াঙ্কায় গোলা ও বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন গুতেরেস।

এ সময় গুতেরেস বলেন, ‘আমি যখন বিধ্বস্ত ভবন দেখছি, সেই বিধ্বস্ত বাড়িতে আমি আমার পরিবারকে কল্পনা করলাম, সব অন্ধকার। আমি দেখছি, আমার নাতি-নাতনিরা আতঙ্কের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

মারিউপোলের বেসামরিকদের সরানোর কাজ চলছে : গুতেরেস

মারিউপোলের আজভস্তাইল লৌহ ও ইস্পাত কারখানায় আটকা পড়ে থাকা বেসামরিকদের সরানোর কাজ একটি পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

ইউক্রেনের বন্দরনগরীটির বিশাল ওই কারখানার ভূগর্ভস্থ টানেল ও বাংকারে কয়েক হাজার সামরিক, বেসামরিক ও আহত সেনারা আটকা পড়ে আছে আর তাদের রসদও ফুরিয়ে এসেছে বলে খবর হয়েছে।

যুদ্ধে প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া মারিউপোল এখন রাশিয়ার বাহিনীগুলোর নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু ১১ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ভূগর্ভস্থ টানেল আর ওয়ার্কশপের গোলকধাঁধায় পূর্ণ আজভস্তাইল ইস্পাত কারখানা এখনও তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে আছে। আজভ সাগরের এই বন্দরটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয়া মস্কোর প্রধান লক্ষ্যগুলোর একটি।

বিবিসি জানিয়েছে, এখন ইউক্রেন সফরে থাকা জাতিসংঘ মহাসচিব পর্তুগিজ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ওই ইস্পাত কারখানা থেকে কয়েকশ বেসামরিককে সরিয়ে নিতে একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। এটি খুব জটিল একটি কাজ। পুতিন নীতিগতভাবে এতে রাজি হয়েছেন। এখন যেসব বৈঠক হচ্ছে সেখানে এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে, এমন সমঝোতা হয়েছে, বলেছেন তিনি।

তাদের নিজ বাড়িতে আছে বা কোন জনসমাগমস্থলে আছে, এমন লোকজনদের নিয়ে কাজ করছি না আমরা, খুবই নাটকীয় পরিস্থিতিতে বাংকারে আটকা পড়ে থাকা লোকজনকে নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে যা অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। আমাদের লক্ষ্য শুক্রবারই অভিযানটি করা, কিন্তু এটি করতে হলে

স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে থাকতে হবে, বলেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।

গুতেরেস মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর বুধবার সন্ধ্যায় পোল্যান্ড হয়ে ইউক্রেনে পৌঁছেছেন। ‘শান্তির বার্তাবাহক’ হয়েই তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেন সফর করছেন বলে এর আগে জানিয়েছেন বিশ্বের অভিভাবক সংস্থাটি প্রধান।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কিছু জায়গা পরিদর্শন করেছেন গুতেরেস। কিয়েভের উত্তরাঞ্চলীয় বোরোদিয়াঙ্কায় গোলা ও বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেছেন গুতেরেস।

এ সময় গুতেরেস বলেন, ‘আমি যখন বিধ্বস্ত ভবন দেখছি, সেই বিধ্বস্ত বাড়িতে আমি আমার পরিবারকে কল্পনা করলাম, সব অন্ধকার। আমি দেখছি, আমার নাতি-নাতনিরা আতঙ্কের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।’