ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা কানাডার

ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে কানাডা। কানাডার আইনপ্রণেতারা পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রুশ হামলাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করতে সর্বসম্মতভাবে ভোট দেন। এছাড়া ইউক্রেনে মস্কো কর্তৃক সংঘটিত পদ্ধতিগত ও ব্যাপক যুদ্ধাপরাধের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেছে কানাডীয় পার্লামেন্ট সদস্যরা। ২৮ এপ্রিল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

কানাডিয়ান হাউস অব কমন্সের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের মধ্যে ব্যাপক নৃশংসতা, ইউক্রেনীয় নাগরিকদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা, মৃতদেহের অপবিত্রতা, ইউক্রেনীয় শিশুদের জোরপূর্বক স্থানান্তর, নির্যাতন, শারীরিক ক্ষতি, মানসিক ক্ষতি এবং ধর্ষণ রয়েছে। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকা-কে গণহত্যা হিসাবে আখ্যায়িত করা ‘পুরোপুরি সঠিক’ ছিল। এর একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলেছিলেন। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝিতে দেয়া এক বক্তব্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনে গণহত্যা চালাচ্ছেন রুশ এই ‘একনায়ক’ প্রেসিডেন্ট।

পরে নিজের ওই মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, (ইউক্রেনে) গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে কি না তা নির্ধারণ আইনজীবীদের ওপর নির্ভর করবে। তবে এটি অবশ্যই আমার কাছে গণহত্যা বলে মনে হচ্ছে।

অন্যদিকে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চলছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। এমনকি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে দেশটিতে বসবাসরত রুশ-ভাষীদের ওপর গণহত্যা চালানোর পাল্টা অভিযোগ এনেছে মস্কো। অবশ্য মস্কোর এই অভিযোগকে অর্থহীন দাবি করে প্রত্যাখ্যান করেছে কিয়েভ।

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা কানাডার

ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে কানাডা। কানাডার আইনপ্রণেতারা পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রুশ হামলাকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করতে সর্বসম্মতভাবে ভোট দেন। এছাড়া ইউক্রেনে মস্কো কর্তৃক সংঘটিত পদ্ধতিগত ও ব্যাপক যুদ্ধাপরাধের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেছে কানাডীয় পার্লামেন্ট সদস্যরা। ২৮ এপ্রিল এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

কানাডিয়ান হাউস অব কমন্সের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাপরাধের মধ্যে ব্যাপক নৃশংসতা, ইউক্রেনীয় নাগরিকদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা, মৃতদেহের অপবিত্রতা, ইউক্রেনীয় শিশুদের জোরপূর্বক স্থানান্তর, নির্যাতন, শারীরিক ক্ষতি, মানসিক ক্ষতি এবং ধর্ষণ রয়েছে। এর আগে চলতি মাসের শুরুতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছিলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকা-কে গণহত্যা হিসাবে আখ্যায়িত করা ‘পুরোপুরি সঠিক’ ছিল। এর একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলেছিলেন। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝিতে দেয়া এক বক্তব্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনে গণহত্যা চালাচ্ছেন রুশ এই ‘একনায়ক’ প্রেসিডেন্ট।

পরে নিজের ওই মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, (ইউক্রেনে) গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে কি না তা নির্ধারণ আইনজীবীদের ওপর নির্ভর করবে। তবে এটি অবশ্যই আমার কাছে গণহত্যা বলে মনে হচ্ছে।

অন্যদিকে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান চলছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। এমনকি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে দেশটিতে বসবাসরত রুশ-ভাষীদের ওপর গণহত্যা চালানোর পাল্টা অভিযোগ এনেছে মস্কো। অবশ্য মস্কোর এই অভিযোগকে অর্থহীন দাবি করে প্রত্যাখ্যান করেছে কিয়েভ।