ডায়রিয়া : দ্রুত সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন সরকার

ঢাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। এর সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন সরকার। দেশ থেকে যারা সৌদি আরব, কুয়েত ও কাতার যাচ্ছে তাদের অনেকের শরীরে ডায়রিয়ার জীবাণু শনাক্ত হচ্ছে বলে ওইসব দেশ থেকে সরকারকে জানানো হয়েছে। কলেরার সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওয়াসাকে (ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ) নির্দেশ দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের ধারণা, গ্রামাঞ্চলের পানিতে ডায়রিয়ার জীবাণু নেই, ঢাকা থেকেই ডায়রিয়ার প্রকোপ ছড়াচ্ছে। গত ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে ঢাকায় এখন সবচেয়ে বেশি ডায়রিয়া ছড়াচ্ছে। ঢাকা ওয়াসা বলছে, উৎপত্তি স্থলের পানিতে কোন দূষণ পাওয়া যায়নি। ওয়াসার লাইন থেকে বাসাবাড়িতে লাইন নেয়ার সময় হয়তো জীবাণু ঢুকছে।

ঢাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপের বিষয়টি গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকেও আলোচনায় উঠে আসে। ডায়রিয়ার বিস্তার ঠেকাতে আগামী ১৫ মে’র মধ্যে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশকে ৭৫ লাখ ডোজ কলেরার টিকা দিচ্ছে বলে মন্ত্রিসভায় জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

গ্রামের পানিতে ‘ব্যাকটেরিয়া নেই’ দাবি করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার থেকে জানানো হয়েছে, তোমাদের লোকজন যারা আসে, তাদের অনেকের মধ্যে আমরা ডায়রিয়ার জীবাণু পাচ্ছি।’

‘টেকনিক্যাল লোকজন’ বা চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা বিদেশে যান তারা এয়ারপোর্টের আশপাশে ২/৩ দিন থাকেন, ছোটখাটো হোটেলগুলোতে। আমরা গত ১০ থেকে ১২ দিন ধরে.....এরইমধ্যে ইন্সট্রাকশন দিয়ে দিয়েছি, এখন তারা অপারেশন চালাচ্ছেন। ওয়াসার টিম গিয়ে দেখছে, হোটেলের পানিগুলো কেমন।’

যারা বাসায় নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করছেন তাদের মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কম উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ওয়াসার টিম গিয়ে দেখছে, হোটেলের পানি কেমন। আক্রান্তের একটি বড় অংশ কিন্তু যারা বাহিরে খায়, মেসে খায়, তারই বেশি এফেকটেড হচ্ছে।’

সাধারণত গরমের মৌসুমের শুরুতে প্রতি বছর দেশে কম-বেশি ডায়রিয়া হয়। এবার মার্চের শুরুতেই বাড়তে থাকে, মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজধানীতে ডায়রিয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। মার্চের শেষ দিকে দেশে দৈনিক গড়ে প্রায় রেকর্ড ১৩শ’ রোগী ভর্তি হয়েছে ঢাকার আইসিডিডিআরবির কলেরা হাসপাতালে। মার্চেই দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক লাখ ৭০ হাজার ২৩৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৬ হাজার ৯১২ জন।

মন্ত্রিসভা বৈঠকে নির্ধারিত আলোচনার বাইরে বর্তমান ‘কলেরা সিনারিও’ নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এটা কেন হলো, এটা আমিও ব্যক্তিগতভাবে ১০ থেকে ১২ দিন ধরে ট্র্যাক করছি। আইসিডিডিআরবি, আইইডিসিআর, ডিজি হেলথ, তারপর ওয়াসা, তাদের সঙ্গে আমি পার্সোনালি কথা বলেছি। মেইনলি আমরা যেটা দেখলাম, ঢাকাতে গত ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে সম্ভবত এ রকম ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যায়নি।’

ঢাকা ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে কোন জীবাণু নেই দাবি করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমরা চেক করে দেখলাম, ওয়াসা যে পানি দেয়, সোর্সে কোথাও ব্যাকটেরিয়া নেই। কিন্তু পানিটা আসছে অনেক জায়গায় লিক আছে, এখন মানুষ কী করছে, লাইন নিজেরা কেটে পাম্প বসিয়ে পানি টেনে নিয়ে আসছে। এখন যেখানে কাটছে সেখানে তো লিক থেকে যাচ্ছে। সেখান দিয়ে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করছে। এটা অন্যতম একটা কারণ।’

ঢাকার প্রায় সব ‘জায়গায়’ ডায়রিয়া ছড়িয়েছে উল্লেখ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকটি জায়গায় এবার একটু বেশি হলো। আরেকটি বিষয় যেটা বিশেষজ্ঞরা আমাদের বলেছেন, কয়েকটি জায়গায় তারা পানি টেস্ট করে দেখেছেন, ক্লোরিন কম আছে। এটাও এই পরিস্থিতির একটি বড় কারণ। এটা সঙ্গে সঙ্গে ওয়াসাকে পয়েন্ট আউট করার ফলে তারা গিয়ে ক্লোরিন বাড়িয়েছে, এটা এখন ঠিক হয়ে গিয়েছে।’

মানুষ নিজেদের বাসার পানির ট্যাংক নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণেও ডায়রিয়ার প্রকোপ ছড়াচ্ছে বলে ধারণা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রিকোয়েস্ট করেছেন, মানুষ যেন ট্যাংকগুলো পরিষ্কার করে। এই রিজার্ভারগুলো ৩ মাস বা ৬ মাস পর পরিষ্কার না করলে ব্যাকটেরিয়া ডেভেলপ করবে। এটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।’

সবাইকে ‘একটু মোটিভেট’ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওয়াসাকে বলা হয়েছে, আমরা পিআইডিকেও বলে দিচ্ছি, তারা এখন থেকেই ম্যাসিভ প্রোমোশন ক্যাম্পেইন করবে।’ ওয়াসাকে অবৈধ পানির লাইন বন্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ডব্লিউএইচও (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন (৭৫ লাখ) কলেরা ভ্যাকসিন দেবে। এটার দুটো ডোজ নিলে তিন বছর পর্যন্ত কলেরা বা ডায়রিয়া থেকে নিরাপদ থাকা যাবে। এটা আগামী ১০ থেকে ১৫ মে’র মধ্যে দেশে পৌঁছাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

ডায়রিয়া : দ্রুত সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন সরকার

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ঢাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ দ্রুত বাড়ছে। এর সংক্রমণ বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন সরকার। দেশ থেকে যারা সৌদি আরব, কুয়েত ও কাতার যাচ্ছে তাদের অনেকের শরীরে ডায়রিয়ার জীবাণু শনাক্ত হচ্ছে বলে ওইসব দেশ থেকে সরকারকে জানানো হয়েছে। কলেরার সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওয়াসাকে (ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ) নির্দেশ দিয়েছেন।

স্বাস্থ্য বিভাগের ধারণা, গ্রামাঞ্চলের পানিতে ডায়রিয়ার জীবাণু নেই, ঢাকা থেকেই ডায়রিয়ার প্রকোপ ছড়াচ্ছে। গত ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে ঢাকায় এখন সবচেয়ে বেশি ডায়রিয়া ছড়াচ্ছে। ঢাকা ওয়াসা বলছে, উৎপত্তি স্থলের পানিতে কোন দূষণ পাওয়া যায়নি। ওয়াসার লাইন থেকে বাসাবাড়িতে লাইন নেয়ার সময় হয়তো জীবাণু ঢুকছে।

ঢাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপের বিষয়টি গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকেও আলোচনায় উঠে আসে। ডায়রিয়ার বিস্তার ঠেকাতে আগামী ১৫ মে’র মধ্যে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশকে ৭৫ লাখ ডোজ কলেরার টিকা দিচ্ছে বলে মন্ত্রিসভায় জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

গ্রামের পানিতে ‘ব্যাকটেরিয়া নেই’ দাবি করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার থেকে জানানো হয়েছে, তোমাদের লোকজন যারা আসে, তাদের অনেকের মধ্যে আমরা ডায়রিয়ার জীবাণু পাচ্ছি।’

‘টেকনিক্যাল লোকজন’ বা চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘যারা বিদেশে যান তারা এয়ারপোর্টের আশপাশে ২/৩ দিন থাকেন, ছোটখাটো হোটেলগুলোতে। আমরা গত ১০ থেকে ১২ দিন ধরে.....এরইমধ্যে ইন্সট্রাকশন দিয়ে দিয়েছি, এখন তারা অপারেশন চালাচ্ছেন। ওয়াসার টিম গিয়ে দেখছে, হোটেলের পানিগুলো কেমন।’

যারা বাসায় নিয়মিত খাওয়া-দাওয়া করছেন তাদের মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কম উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ওয়াসার টিম গিয়ে দেখছে, হোটেলের পানি কেমন। আক্রান্তের একটি বড় অংশ কিন্তু যারা বাহিরে খায়, মেসে খায়, তারই বেশি এফেকটেড হচ্ছে।’

সাধারণত গরমের মৌসুমের শুরুতে প্রতি বছর দেশে কম-বেশি ডায়রিয়া হয়। এবার মার্চের শুরুতেই বাড়তে থাকে, মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে রাজধানীতে ডায়রিয়া ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। মার্চের শেষ দিকে দেশে দৈনিক গড়ে প্রায় রেকর্ড ১৩শ’ রোগী ভর্তি হয়েছে ঢাকার আইসিডিডিআরবির কলেরা হাসপাতালে। মার্চেই দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এক লাখ ৭০ হাজার ২৩৭ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৬ হাজার ৯১২ জন।

মন্ত্রিসভা বৈঠকে নির্ধারিত আলোচনার বাইরে বর্তমান ‘কলেরা সিনারিও’ নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এটা কেন হলো, এটা আমিও ব্যক্তিগতভাবে ১০ থেকে ১২ দিন ধরে ট্র্যাক করছি। আইসিডিডিআরবি, আইইডিসিআর, ডিজি হেলথ, তারপর ওয়াসা, তাদের সঙ্গে আমি পার্সোনালি কথা বলেছি। মেইনলি আমরা যেটা দেখলাম, ঢাকাতে গত ২০ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে সম্ভবত এ রকম ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা যায়নি।’

ঢাকা ওয়াসার সরবরাহ করা পানিতে কোন জীবাণু নেই দাবি করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমরা চেক করে দেখলাম, ওয়াসা যে পানি দেয়, সোর্সে কোথাও ব্যাকটেরিয়া নেই। কিন্তু পানিটা আসছে অনেক জায়গায় লিক আছে, এখন মানুষ কী করছে, লাইন নিজেরা কেটে পাম্প বসিয়ে পানি টেনে নিয়ে আসছে। এখন যেখানে কাটছে সেখানে তো লিক থেকে যাচ্ছে। সেখান দিয়ে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করছে। এটা অন্যতম একটা কারণ।’

ঢাকার প্রায় সব ‘জায়গায়’ ডায়রিয়া ছড়িয়েছে উল্লেখ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েকটি জায়গায় এবার একটু বেশি হলো। আরেকটি বিষয় যেটা বিশেষজ্ঞরা আমাদের বলেছেন, কয়েকটি জায়গায় তারা পানি টেস্ট করে দেখেছেন, ক্লোরিন কম আছে। এটাও এই পরিস্থিতির একটি বড় কারণ। এটা সঙ্গে সঙ্গে ওয়াসাকে পয়েন্ট আউট করার ফলে তারা গিয়ে ক্লোরিন বাড়িয়েছে, এটা এখন ঠিক হয়ে গিয়েছে।’

মানুষ নিজেদের বাসার পানির ট্যাংক নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণেও ডায়রিয়ার প্রকোপ ছড়াচ্ছে বলে ধারণা করছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা চালানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রিকোয়েস্ট করেছেন, মানুষ যেন ট্যাংকগুলো পরিষ্কার করে। এই রিজার্ভারগুলো ৩ মাস বা ৬ মাস পর পরিষ্কার না করলে ব্যাকটেরিয়া ডেভেলপ করবে। এটাও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।’

সবাইকে ‘একটু মোটিভেট’ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ওয়াসাকে বলা হয়েছে, আমরা পিআইডিকেও বলে দিচ্ছি, তারা এখন থেকেই ম্যাসিভ প্রোমোশন ক্যাম্পেইন করবে।’ ওয়াসাকে অবৈধ পানির লাইন বন্ধ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ডব্লিউএইচও (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন (৭৫ লাখ) কলেরা ভ্যাকসিন দেবে। এটার দুটো ডোজ নিলে তিন বছর পর্যন্ত কলেরা বা ডায়রিয়া থেকে নিরাপদ থাকা যাবে। এটা আগামী ১০ থেকে ১৫ মে’র মধ্যে দেশে পৌঁছাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।