একাত্তরের ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধ যেমন চলছে তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তান তীব্র চাপের মুখে পড়তে থাকে।
একাত্তরের এ দিনে মার্কিন সিনেটর উইলিয়াম সেক্সবি মার্কিন সিনেটে একটি চিঠি পাঠ করেন। চিঠিটি তাকে পাঠিয়েছিলেন ঢাকায় নিয়োজিত ডা. জন ই. রড। তিনি ঢাকায় চিকিৎসক ও উন্নয়নকর্মী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এই চিঠিতে ডা. রড ২৫ মার্চ থেকে পরবর্তীতে বহু গণহত্যার চিত্র তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন কীভাবে নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। শিশু এবং বৃদ্ধরাও নির্যাতন ও গণহত্যার হাত থেকে বাঁচতে পারছে না। পৈশাচিক নির্যাতন, গণহত্যা, নিপীড়নের বাস্তব প্রমাণ ছিল চিঠির ভাষ্যে।
ব্রিটিশ হাউজ অব কমেন্সের সদস্য, লেবার পার্টির নেতা বরুস ডগলাসম্যান এদিন ভারতের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে লন্ডনে পৌঁছান। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকরা কেবল পূর্ববঙ্গের মাটি চায়, জনগণকে চায় না। ওরা সব বাঙালিকে গণহত্যা চালিয়ে খুন করছে। কোন বাঙালিই ওই মাটিতে তারা রাখতে দেবে না। আমার মতে বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতির বিষয়ে ব্রিটেনের উচিত পদক্ষেপ নেয়া। কারণ প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার সম্পূর্ণ বৈধ এবং তাদের দলটিই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্ট বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের দুর্দশা দূর করতে জাতিসংঘ এখনও পাকিস্তান সরকারের উপযুক্ত দায়িত্বে বিশ্বাস করে। জাতিসংঘ মনে করে পাকিস্তানের মানুষের পরিস্থিতি ও জাতিসংঘ কিভাবে সাহায্য করবে তা পাকিস্তান সরকারের ওপর নির্ভর করে তারা কিভাবে গ্রহণ করবে।’
শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমাদ্বান ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
একাত্তরের ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধযুদ্ধ যেমন চলছে তেমনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পাকিস্তান তীব্র চাপের মুখে পড়তে থাকে।
একাত্তরের এ দিনে মার্কিন সিনেটর উইলিয়াম সেক্সবি মার্কিন সিনেটে একটি চিঠি পাঠ করেন। চিঠিটি তাকে পাঠিয়েছিলেন ঢাকায় নিয়োজিত ডা. জন ই. রড। তিনি ঢাকায় চিকিৎসক ও উন্নয়নকর্মী হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। এই চিঠিতে ডা. রড ২৫ মার্চ থেকে পরবর্তীতে বহু গণহত্যার চিত্র তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন কীভাবে নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। শিশু এবং বৃদ্ধরাও নির্যাতন ও গণহত্যার হাত থেকে বাঁচতে পারছে না। পৈশাচিক নির্যাতন, গণহত্যা, নিপীড়নের বাস্তব প্রমাণ ছিল চিঠির ভাষ্যে।
ব্রিটিশ হাউজ অব কমেন্সের সদস্য, লেবার পার্টির নেতা বরুস ডগলাসম্যান এদিন ভারতের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির পরিদর্শন শেষে লন্ডনে পৌঁছান। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকরা কেবল পূর্ববঙ্গের মাটি চায়, জনগণকে চায় না। ওরা সব বাঙালিকে গণহত্যা চালিয়ে খুন করছে। কোন বাঙালিই ওই মাটিতে তারা রাখতে দেবে না। আমার মতে বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতির বিষয়ে ব্রিটেনের উচিত পদক্ষেপ নেয়া। কারণ প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার সম্পূর্ণ বৈধ এবং তাদের দলটিই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছিল।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব উ থান্ট বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের দুর্দশা দূর করতে জাতিসংঘ এখনও পাকিস্তান সরকারের উপযুক্ত দায়িত্বে বিশ্বাস করে। জাতিসংঘ মনে করে পাকিস্তানের মানুষের পরিস্থিতি ও জাতিসংঘ কিভাবে সাহায্য করবে তা পাকিস্তান সরকারের ওপর নির্ভর করে তারা কিভাবে গ্রহণ করবে।’