কানেকটিভিটি বাড়াতে চায় ভারত-বাংলাদেশ

‘কানেকটিভিটি’ বাড়াতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বিশেষ করে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হওয়া বিভিন্ন যোগাযোগ রুট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বিকেলে গণভবনে যান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সাক্ষাতের পর তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। ‘কানেকটিভিটি’ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বিশেষ করে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হওয়া বিভিন্ন যোগাযোগ রুট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যেকার বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন দু’জনই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সাহায্য করছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সন্তোষজনক অগ্রগতি হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা এবং কুশিয়ারা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।

কোভিড মহামারী বিষয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই এর একটি প্রভাব পড়েছে। তবে সময়মতো পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার ফলে বাংলাদেশে পরিস্থিতি অনেক ভালো এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

জয়শঙ্কর বলেন, ভারতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে এবং পর্যটকরাও যাচ্ছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের একটা প্রভাব পড়ছে। তবে এ বছর ভারতে খুব ভালো গম উৎপাদন উৎপাদন হয়েছে বলে তিনি জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে গতকাল দুপুরে একদিনের সফরে ঢাকা এসে পৌঁছানোর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বিমানবন্দরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর স্বাগত জানান। বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বৈঠকে বসেন।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্কর বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করা সুযোগ পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীকে আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার ব্যক্তিগত বার্তা ও শুভেচ্ছা পৌঁছে দিয়েছি। তাকে আরও বলেছি, তার আসন্ন ভারতের সফরের জন্য আমরা মুখিয়ে আছি। আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বাইরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতেও আলাপ করেছি। কানেকটিভিটি বাড়তে চায় উভয় দেশ

ভারতের কানেকটিভিটি বর্তমানে কোভিড-পূর্ববর্তী পর্যায়ে রয়েছে। বাস ও রেল সার্ভিস দ্রুত শুরু করার পরিকল্পনা করছে দেশটি। জয়শঙ্কর বলেন, ‘দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন Ñ ১৮টি রাজধানীতে মৈত্রী দিবস উদযাপন করা হবে। ভারতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ও বাপু জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

বাণিজ্য, বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণদান, বিনিয়োগ, ভ্রমণসেবা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। কোভিডে যেটি কমে গিয়েছিল, সেটি আবারও ফেরত এসেছে বলে তিনি জানান। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অনেক নতুন প্রকল্প শুরু করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোভিড আমাদের শিখিয়েছে আঞ্চলিকভাবে সাপ্লাই চেইন এবং ভ্যালু চেইন বজায় রাখা কতটুকু জরুরি।’

উপ-আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি খাতে আরও বড় ধরনের সহযোগিতা চায় ভারত জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘জলবিদ্যুৎ খাতে দুই দেশের জন্য এবং আঞ্চলিকভাবে সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে। এই খাতে বিবিআইএন কাঠামোতে আমরা কাজ করতে চাই। এ খাতে উৎপাদন ও বাণিজ্য করার জন্য ভারত এ অঞ্চলে কাজ করে যাবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সোনালি অধ্যায় চলছে। বড় বড় সমস্যা আমরা সমাধান করেছি। যে ছোটখাটো সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধানের অঙ্গীকার করেছি।’

র‌্যাব ইস্যুতে জয়শঙ্করের কৌশলী জবাব

র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতের সহযোগিতার বিষয়ে কৌশলী জবাব দিয়েছেন ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, এটার উত্তর আপনাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (ড. এ কে আবদুল মোমেন) দেবেন। এ সময় পাশ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।

জয়শঙ্করের সফরের উদ্দেশ

এক বছর পর ঢাকা এসেছেন এস জয়শঙ্কর। কিন্তু কোভিড চ্যালেঞ্জের সময়েও ঢাকার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। জয়শঙ্কর বলেন, ‘গত বছর প্রথমবারের মতো ভারতের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফর করেছেন। আমার সফরের উদ্দেশ হচ্ছে আমাদের সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধি করার প্রয়াস অব্যাহত রাখা।’

প্রতিবেশী হিসেবে আমরা নিয়মিত, অনানুষ্ঠানিক এবং উষ্ণতার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখি এবং এটি দুই দেশের মধ্যে যে বিশ্বাস আছে, সেটির প্রতিফলন বলে তিনি জানান।

image

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ও এ কে আবদুল মোমেন সংবাদ সম্মেলনে -সংবাদ

আরও খবর
ডায়রিয়া : দ্রুত সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বিগ্ন সরকার
পাকিস্তানের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে
বিএনপি গণতন্ত্র ও প্রগতির অন্তরায় ওবায়দুল কাদের
দেড় মাস পর সুপ্রিম কোর্ট বারের ফলাফল
ঈদযাত্রা, ভাড়া নৈরাজ্য যাত্রী হয়রানি
ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির মূল হোতা রেজাউল গ্রেপ্তার
‘পার্বত্য অঞ্চলের দুই জেলায় আনসার নিয়োগে অর্থের লেনদেন’
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন জল্পনা
দু’মাসেই এতিম, নিঃস্ব দুই শিশু : ঈদের পোশাক নিয়ে পাশে দাঁড়ালেন নির্বাহী কর্মকর্তা
কৃষিপণ্যের রপ্তানি বাড়াতে প্রচেষ্টা চলছে : কৃষিমন্ত্রী

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

কানেকটিভিটি বাড়াতে চায় ভারত-বাংলাদেশ

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

image

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর ও এ কে আবদুল মোমেন সংবাদ সম্মেলনে -সংবাদ

‘কানেকটিভিটি’ বাড়াতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বিশেষ করে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হওয়া বিভিন্ন যোগাযোগ রুট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বিকেলে গণভবনে যান ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সাক্ষাতের পর তাদের আলোচনার বিষয়বস্তু সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানোসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। ‘কানেকটিভিটি’ বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বিশেষ করে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হওয়া বিভিন্ন যোগাযোগ রুট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যেকার বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন দু’জনই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সাহায্য করছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সন্তোষজনক অগ্রগতি হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা এবং কুশিয়ারা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।

কোভিড মহামারী বিষয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই এর একটি প্রভাব পড়েছে। তবে সময়মতো পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়ার ফলে বাংলাদেশে পরিস্থিতি অনেক ভালো এবং নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

জয়শঙ্কর বলেন, ভারতেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে এবং পর্যটকরাও যাচ্ছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের একটা প্রভাব পড়ছে। তবে এ বছর ভারতে খুব ভালো গম উৎপাদন উৎপাদন হয়েছে বলে তিনি জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে গতকাল দুপুরে একদিনের সফরে ঢাকা এসে পৌঁছানোর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বিমানবন্দরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর স্বাগত জানান। বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বৈঠকে বসেন।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্কর বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করা সুযোগ পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীকে আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার ব্যক্তিগত বার্তা ও শুভেচ্ছা পৌঁছে দিয়েছি। তাকে আরও বলেছি, তার আসন্ন ভারতের সফরের জন্য আমরা মুখিয়ে আছি। আমরা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বাইরে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতেও আলাপ করেছি। কানেকটিভিটি বাড়তে চায় উভয় দেশ

ভারতের কানেকটিভিটি বর্তমানে কোভিড-পূর্ববর্তী পর্যায়ে রয়েছে। বাস ও রেল সার্ভিস দ্রুত শুরু করার পরিকল্পনা করছে দেশটি। জয়শঙ্কর বলেন, ‘দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন Ñ ১৮টি রাজধানীতে মৈত্রী দিবস উদযাপন করা হবে। ভারতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ও বাপু জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

বাণিজ্য, বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণদান, বিনিয়োগ, ভ্রমণসেবা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। কোভিডে যেটি কমে গিয়েছিল, সেটি আবারও ফেরত এসেছে বলে তিনি জানান। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অনেক নতুন প্রকল্প শুরু করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোভিড আমাদের শিখিয়েছে আঞ্চলিকভাবে সাপ্লাই চেইন এবং ভ্যালু চেইন বজায় রাখা কতটুকু জরুরি।’

উপ-আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি খাতে আরও বড় ধরনের সহযোগিতা চায় ভারত জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘জলবিদ্যুৎ খাতে দুই দেশের জন্য এবং আঞ্চলিকভাবে সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে। এই খাতে বিবিআইএন কাঠামোতে আমরা কাজ করতে চাই। এ খাতে উৎপাদন ও বাণিজ্য করার জন্য ভারত এ অঞ্চলে কাজ করে যাবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সোনালি অধ্যায় চলছে। বড় বড় সমস্যা আমরা সমাধান করেছি। যে ছোটখাটো সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধানের অঙ্গীকার করেছি।’

র‌্যাব ইস্যুতে জয়শঙ্করের কৌশলী জবাব

র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ভারতের সহযোগিতার বিষয়ে কৌশলী জবাব দিয়েছেন ঢাকা সফররত ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, এটার উত্তর আপনাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (ড. এ কে আবদুল মোমেন) দেবেন। এ সময় পাশ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।

জয়শঙ্করের সফরের উদ্দেশ

এক বছর পর ঢাকা এসেছেন এস জয়শঙ্কর। কিন্তু কোভিড চ্যালেঞ্জের সময়েও ঢাকার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। জয়শঙ্কর বলেন, ‘গত বছর প্রথমবারের মতো ভারতের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফর করেছেন। আমার সফরের উদ্দেশ হচ্ছে আমাদের সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধি করার প্রয়াস অব্যাহত রাখা।’

প্রতিবেশী হিসেবে আমরা নিয়মিত, অনানুষ্ঠানিক এবং উষ্ণতার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখি এবং এটি দুই দেশের মধ্যে যে বিশ্বাস আছে, সেটির প্রতিফলন বলে তিনি জানান।