পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন জল্পনা

গতকাল আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকে ঘিরে আবারও নতুন করে জল্পনা দানা বাঁধল রাজ্য রাজনীতিতে। সৌরভ-মমতা বৈঠকে কী কথা হলো এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি বলেন, ‘খেলনগরীতে ওরা আর একটা ক্রিকেট স্টেডিয়াম করবে বলে ঠিক করেছিল। আমরা জমি দিয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে কিছু সমস্যা রয়েছে। অন্য কোন বিকল্প জমি দেখা যায় কি-না সে নিয়েই কথা হয়েছে। ওকে বলেছি আমরা দেখে জানাব।’

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ও আমার কাছে কাজের জন্য আসেনি। আমরা দু’জনে কিছুক্ষণ গল্প করছিলাম।’ উল্লেখ্য, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে গিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সৌরভ-মমতা সাক্ষাৎ ঘিরেও চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। এই প্রেক্ষাপটে সৌরভ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ।

উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভালো সম্পর্কের সর্বজনবিদিত। গত বছর মহারাজের জন্মদিনে বেহালায় তার বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সৌরভকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি মহারাজের মা’কে প্রণামও করেছিলেন মমতা। প্রতি বছরই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সৌরভকে উপহার হিসেবে মিষ্টি ও পুষ্পস্তবক দিয়েছিলেন মমতা। সে’বার দীর্ঘক্ষণ দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছিল। গতবারই সম্ভবত প্রথম সৌরভের বাড়িতে গিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। যা নজর কাড়ে রাজনৈতিক মহলে। করোনা আক্রান্ত হয়ে যখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সৌরভ, সে সময়ও মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, একুশের বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের মুখে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে ছিল। বিশেষত, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই মহারাজের রাজনীতিতে যোগদানের জল্পনা শুরু হয়। বাংলায় বিজেপির মুখ করা হতে পারে সাবেক ভারত অধিনায়ককে, রাজনীতিতে এমন চর্চায় সরগরম ছিল। জল্পনা ছড়ায় যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চে দেখা যেতে পারে সৌরভকে। মমতার বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে সৌরভই বিজেপির অন্যতম ‘হাতিয়ার’ হতে পারতেন বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কিন্তু, যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে দেন সৌরভই। রাজনীতিতে যে তিনি যোগ দেবেন না, সে কথা কার্যত জানিয়ে দেন তিনি।

শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল ২০২২ , ১৬ বৈশাখ ১৪২৮ ২৭ রমাদ্বান ১৪৪৩

মমতা-সৌরভ বৈঠক

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে নতুন জল্পনা

দীপক মুখার্জী, কলকাতা

গতকাল আচমকাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকে ঘিরে আবারও নতুন করে জল্পনা দানা বাঁধল রাজ্য রাজনীতিতে। সৌরভ-মমতা বৈঠকে কী কথা হলো এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তিনি বলেন, ‘খেলনগরীতে ওরা আর একটা ক্রিকেট স্টেডিয়াম করবে বলে ঠিক করেছিল। আমরা জমি দিয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে কিছু সমস্যা রয়েছে। অন্য কোন বিকল্প জমি দেখা যায় কি-না সে নিয়েই কথা হয়েছে। ওকে বলেছি আমরা দেখে জানাব।’

এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ও আমার কাছে কাজের জন্য আসেনি। আমরা দু’জনে কিছুক্ষণ গল্প করছিলাম।’ উল্লেখ্য, এর আগেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নবান্নে গিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন সৌরভ-মমতা সাক্ষাৎ ঘিরেও চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতির অন্দরে। এই প্রেক্ষাপটে সৌরভ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ।

উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভালো সম্পর্কের সর্বজনবিদিত। গত বছর মহারাজের জন্মদিনে বেহালায় তার বাড়িতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সৌরভকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি মহারাজের মা’কে প্রণামও করেছিলেন মমতা। প্রতি বছরই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সৌরভকে উপহার হিসেবে মিষ্টি ও পুষ্পস্তবক দিয়েছিলেন মমতা। সে’বার দীর্ঘক্ষণ দু’জনের মধ্যে কথা হয়েছিল। গতবারই সম্ভবত প্রথম সৌরভের বাড়িতে গিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। যা নজর কাড়ে রাজনৈতিক মহলে। করোনা আক্রান্ত হয়ে যখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সৌরভ, সে সময়ও মুখ্যমন্ত্রী ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, একুশের বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের মুখে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তুঙ্গে ছিল। বিশেষত, বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই মহারাজের রাজনীতিতে যোগদানের জল্পনা শুরু হয়। বাংলায় বিজেপির মুখ করা হতে পারে সাবেক ভারত অধিনায়ককে, রাজনীতিতে এমন চর্চায় সরগরম ছিল। জল্পনা ছড়ায় যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চে দেখা যেতে পারে সৌরভকে। মমতার বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে সৌরভই বিজেপির অন্যতম ‘হাতিয়ার’ হতে পারতেন বলে মনে করেছিল রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কিন্তু, যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে দেন সৌরভই। রাজনীতিতে যে তিনি যোগ দেবেন না, সে কথা কার্যত জানিয়ে দেন তিনি।