ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সীমা তুলে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন সংখ্যার সীমা তুলে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে অনলাইন বা ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে যতবার খুশি তত লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহক। তবে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দৈনিক ও একক লেনদেনের (টাকার অঙ্ক) সর্বোচ্চ সীমা আগের অবস্থায় রয়েছে। এতদিন এ ব্যবস্থায় ব্যক্তি দৈনিক সর্বোচ্চ ১০টি এবং প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ২০টি লেনদেন করতে পারত। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন এক প্রজ্ঞাপন বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইন বা ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যাংক ব্যবস্থায় ব্যক্তির ক্ষেত্রে দৈনিক লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ লাখ টাকা এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। ব্যক্তি গ্রাহক একবারে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা লেনদেন করতে পারেন আর প্রতিষ্ঠান একবারে ৫ লাখ টাকার লেনদেন করতে পারে, যাকে একক লেনদেন বলা হয়। লেনদেনের পরিমাণের এ সীমা অপরিবর্তিত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তবে অনলাইনে বা ইন্টারনেটে একই ব্যাংকের এক হিসাব থেকে অন্য হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের সর্বোচ্চ সীমা ব্যাংক তার স্বীয় ঝুঁকি এবং গ্রাহকের লেনদেনের ইতিহাস বিবেচনায় নিজেই নির্ধারণ করবে বলে সার্কুলারে জানানো হয়। আগে এ সীমা নির্ধারণ করা ছিল না।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অনলাইন বা ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় পণ্য বা সেবামূল্য পরিশোধ বা আদায় (ই-কমার্সসহ), ইউটিলিটি বিল, ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ ইত্যাদির উদ্দেশে এক ব্যাংক হিসাব থেকে অন্য ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তর করা যাবে।

এতে আরও বলা হয়, ইন্টারনেট বা স্মার্টফোন ব্যবহার করে অনলাইন ব্যাংকিং লেনদেনের মাধ্যমে ই-কমার্সের পণ্য বা সেবার মূল্য পরিশোধ বা আদায় জনসাধারণের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এ ধরনের লেনদেন পদ্ধতি সহজ ও নিরাপদ করার জন্য অনলাইন বা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তরের সীমাও পুনর্নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।

শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২ , ১৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সীমা তুলে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ে লেনদেন সংখ্যার সীমা তুলে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে অনলাইন বা ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যাংকিংয়ে যতবার খুশি তত লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহক। তবে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের দৈনিক ও একক লেনদেনের (টাকার অঙ্ক) সর্বোচ্চ সীমা আগের অবস্থায় রয়েছে। এতদিন এ ব্যবস্থায় ব্যক্তি দৈনিক সর্বোচ্চ ১০টি এবং প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ২০টি লেনদেন করতে পারত। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুন এক প্রজ্ঞাপন বাংলাদেশ ব্যাংক অনলাইন বা ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যাংক ব্যবস্থায় ব্যক্তির ক্ষেত্রে দৈনিক লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ১০ লাখ টাকা এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। ব্যক্তি গ্রাহক একবারে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা লেনদেন করতে পারেন আর প্রতিষ্ঠান একবারে ৫ লাখ টাকার লেনদেন করতে পারে, যাকে একক লেনদেন বলা হয়। লেনদেনের পরিমাণের এ সীমা অপরিবর্তিত রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তবে অনলাইনে বা ইন্টারনেটে একই ব্যাংকের এক হিসাব থেকে অন্য হিসাবে অর্থ স্থানান্তরের সর্বোচ্চ সীমা ব্যাংক তার স্বীয় ঝুঁকি এবং গ্রাহকের লেনদেনের ইতিহাস বিবেচনায় নিজেই নির্ধারণ করবে বলে সার্কুলারে জানানো হয়। আগে এ সীমা নির্ধারণ করা ছিল না।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অনলাইন বা ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় পণ্য বা সেবামূল্য পরিশোধ বা আদায় (ই-কমার্সসহ), ইউটিলিটি বিল, ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধ ইত্যাদির উদ্দেশে এক ব্যাংক হিসাব থেকে অন্য ব্যাংক হিসাবে অর্থ স্থানান্তর করা যাবে।

এতে আরও বলা হয়, ইন্টারনেট বা স্মার্টফোন ব্যবহার করে অনলাইন ব্যাংকিং লেনদেনের মাধ্যমে ই-কমার্সের পণ্য বা সেবার মূল্য পরিশোধ বা আদায় জনসাধারণের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। এ ধরনের লেনদেন পদ্ধতি সহজ ও নিরাপদ করার জন্য অনলাইন বা ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তরের সীমাও পুনর্নির্ধারণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।