কিশোরগঞ্জে সয়াবিন তেল উধাও : বিপাকে ভোক্তারা

কিশোরগঞ্জের বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও। কোথাও মিলছে না প্যাকেটজাত বা বোতলজাত তেল কোনটাই। শহরের নিউটাউন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মুক্তু জানিয়েছেন, তিনি দু’দিন আগে বাজারে গিয়ে কেবল প্যাকেটজাত তেল পেয়েছেন ১৮০ টাকা লিটার দামে। তখন কোন দোকানেই তিনি বোতলজাত তেল পাননি।

আবার অনেক দোকানে প্যাকেটজাত বা বোতলজাত, কোন তেলই নেই। এদিকে শহরের গৌরাঙ্গবাজার এলাকার ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি গত বৃহস্পতিবার বাজার তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও কোন তেলই পাননি। ফলে বাসার রান্নবান্না বন্ধ হওয়ার উপক্রম। বিভিন্ন খুচরা দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের কোন পাইকারি ব্যবসায়ী বা এজেন্টই তেল দিচ্ছেন না। যে কারণে তাদের দোকানে কোন তেল নেই। রমজানে বাসাবাড়িতে তেলের ব্যবহার বেশি হয়। তিনদিন পর ঈদুল ফিতর। ঈদেও তেলের প্রয়োজন। কিন্তু কিশোরগঞ্জে তেলের জন্য চলছে হাহাকার।

অনেক ভোক্তা মনে করেন, এসব মজুতদারি বা কারসাজির বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা দরকার এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, যেন ভবিষ্যতে কেউ ভোক্তাদের এভাবে জিম্মি করতে সাহস না করেন।

এদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (বাজার কর্মকর্তা) শিখা বেগম জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জের বড় ব্যবসায়ীরা তাকে জানিয়েছেন, তাদের আমদানিকারকরা তেল দিচ্ছেন না।

আবার দামও বেশি রাখছেন। যে কারণে তেলের সঙ্কট। আবার কোন কোন ব্যবসায়ী তাকে ধারণা দিয়েছেন, বাজারে খোলা তেলের সঙ্কট হওয়ার কথা নয়। কারও কারও কাছে তেল আছে, কিন্তু বিক্রি করছেন না।

আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জের কোন কোন বড় ব্যবসায়ী সকাল বেলায় তেল বিক্রি করে দেন। পরে আর পাওয়া যায় না। এ ব্যাপারে আরও খোঁজখবর নেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।

শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২ , ১৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল

কিশোরগঞ্জে সয়াবিন তেল উধাও : বিপাকে ভোক্তারা

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও। কোথাও মিলছে না প্যাকেটজাত বা বোতলজাত তেল কোনটাই। শহরের নিউটাউন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান মুক্তু জানিয়েছেন, তিনি দু’দিন আগে বাজারে গিয়ে কেবল প্যাকেটজাত তেল পেয়েছেন ১৮০ টাকা লিটার দামে। তখন কোন দোকানেই তিনি বোতলজাত তেল পাননি।

আবার অনেক দোকানে প্যাকেটজাত বা বোতলজাত, কোন তেলই নেই। এদিকে শহরের গৌরাঙ্গবাজার এলাকার ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি গত বৃহস্পতিবার বাজার তন্ন তন্ন করে খুঁজেও কোথাও কোন তেলই পাননি। ফলে বাসার রান্নবান্না বন্ধ হওয়ার উপক্রম। বিভিন্ন খুচরা দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাদের কোন পাইকারি ব্যবসায়ী বা এজেন্টই তেল দিচ্ছেন না। যে কারণে তাদের দোকানে কোন তেল নেই। রমজানে বাসাবাড়িতে তেলের ব্যবহার বেশি হয়। তিনদিন পর ঈদুল ফিতর। ঈদেও তেলের প্রয়োজন। কিন্তু কিশোরগঞ্জে তেলের জন্য চলছে হাহাকার।

অনেক ভোক্তা মনে করেন, এসব মজুতদারি বা কারসাজির বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা দরকার এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, যেন ভবিষ্যতে কেউ ভোক্তাদের এভাবে জিম্মি করতে সাহস না করেন।

এদিকে দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (বাজার কর্মকর্তা) শিখা বেগম জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জের বড় ব্যবসায়ীরা তাকে জানিয়েছেন, তাদের আমদানিকারকরা তেল দিচ্ছেন না।

আবার দামও বেশি রাখছেন। যে কারণে তেলের সঙ্কট। আবার কোন কোন ব্যবসায়ী তাকে ধারণা দিয়েছেন, বাজারে খোলা তেলের সঙ্কট হওয়ার কথা নয়। কারও কারও কাছে তেল আছে, কিন্তু বিক্রি করছেন না।

আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন, কিশোরগঞ্জের কোন কোন বড় ব্যবসায়ী সকাল বেলায় তেল বিক্রি করে দেন। পরে আর পাওয়া যায় না। এ ব্যাপারে আরও খোঁজখবর নেবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।