মাদারীপুরে আতশবাজি ফুটানোর প্রতিবাদে হামলা : আহত ৫

মাদারীপুরে পটকাবাজি ফুটানোর প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের চারটি পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় নারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন।

আহতরা হলেন- কালাগাছিলা এলাকার অখিল বৈদ্য (৪০) ও তার স্ত্রী মনিকা বৈদ্য (৩২), একই এলাকার কালাচাঁন বৈদ্যর ছেলে রিংকু বৈদ্য (২৫) সহদেব বাড়ৈর ছেলে শুভ বাড়ৈ (২৩) ও রনজিৎ বৈদ্যর ছেলে রাজীব বৈদ্য (২৫)। আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদের উৎসব উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে কলাগাছিয়া এলাকায় পটকা বাজি ফুটানো শুরু করে স্থানীয় কয়েকজন কিশোর। এ সময় অখিল বৈদ্যর ঘরের চালার ওপর কয়েকটি বাজি ফুটানো হয়। এরই প্রতিবাদ করেন অখিল বৈদ্যর স্ত্রী মনিকা বৈদ্য। পরে স্থানীয়রা কয়েকজন কিশোরকে ধরে স্থানীয় ইউপি সদস্য দীপক সরকারের কাছে নিয়ে যান।

পরে দীপক সরকার কিশোরদের বুঝিয়ে ছেড়ে দেন। এরপর রাত ১০টার দিকে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মনিকা বৈদ্যর বাড়িতে হামলা চালায় ওই কিশোররা। হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে আহত হন মনিকা বৈদ্যসহ আরও পাঁচজন। খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

কলাগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা সুমন কীর্তনিয়া বলেন, আমাদের এলাকায় বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাঁলাচান হাওলাদারের ছেলে কামাল হাওলাদার, জামাল হাওলাদার ও মনির হাওলাদার ও তারই নাতি রবিনসহ তিনজন বাজি ফুটানো শুরু করে। আমাদের বাড়ির লোকজন তাদের নিষেধ করলে তারা এতদিন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করত। কিন্তু এখন তারা আমাদের উচ্ছেদ করতে হামলা চালানো শুরু করেছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। হামলার শিকার শুভ বাড়ৈ বলেন, প্রতিদিন স্থানীয় কয়েকজন কিশোর আমাদের লক্ষ করে বাজি ফুটায়। টিনের চালে বাজি ছুড়ে মারে। আমরা কখনো কখনো বাজির বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। ওদের বাজি ফুটানোয় বারবার নিষেধ করা হলেও তারা তা শুনে না। বরং আরও বেশি করে বাজি ফুটানো শুরু করে। অভিযোগের বিষয় কামাল হাওলাদার বলেন, সামনে ঈদ। তাই ছেলেরা বাজি ফুটাইছে। তবে কারো ক্ষতি করে তারা বাজি ফুটায় নাই। এখানে আমাদের নামে ভুল অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে মাদারীপুর সদর থানার ওসি বলেন, বাজি ফুনোর প্রতিবাদ করায় কয়েকজন ওপর হামলা হয়েছে। এ খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।

শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২ , ১৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

মাদারীপুরে আতশবাজি ফুটানোর প্রতিবাদে হামলা : আহত ৫

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, মাদারীপুর

মাদারীপুরে পটকাবাজি ফুটানোর প্রতিবাদ করায় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের চারটি পরিবারের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় নারীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন।

আহতরা হলেন- কালাগাছিলা এলাকার অখিল বৈদ্য (৪০) ও তার স্ত্রী মনিকা বৈদ্য (৩২), একই এলাকার কালাচাঁন বৈদ্যর ছেলে রিংকু বৈদ্য (২৫) সহদেব বাড়ৈর ছেলে শুভ বাড়ৈ (২৩) ও রনজিৎ বৈদ্যর ছেলে রাজীব বৈদ্য (২৫)। আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আসন্ন ঈদের উৎসব উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে কলাগাছিয়া এলাকায় পটকা বাজি ফুটানো শুরু করে স্থানীয় কয়েকজন কিশোর। এ সময় অখিল বৈদ্যর ঘরের চালার ওপর কয়েকটি বাজি ফুটানো হয়। এরই প্রতিবাদ করেন অখিল বৈদ্যর স্ত্রী মনিকা বৈদ্য। পরে স্থানীয়রা কয়েকজন কিশোরকে ধরে স্থানীয় ইউপি সদস্য দীপক সরকারের কাছে নিয়ে যান।

পরে দীপক সরকার কিশোরদের বুঝিয়ে ছেড়ে দেন। এরপর রাত ১০টার দিকে দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মনিকা বৈদ্যর বাড়িতে হামলা চালায় ওই কিশোররা। হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে আহত হন মনিকা বৈদ্যসহ আরও পাঁচজন। খবর পেয়ে মাদারীপুর সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

কলাগাছিয়া এলাকার বাসিন্দা সুমন কীর্তনিয়া বলেন, আমাদের এলাকায় বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কাঁলাচান হাওলাদারের ছেলে কামাল হাওলাদার, জামাল হাওলাদার ও মনির হাওলাদার ও তারই নাতি রবিনসহ তিনজন বাজি ফুটানো শুরু করে। আমাদের বাড়ির লোকজন তাদের নিষেধ করলে তারা এতদিন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করত। কিন্তু এখন তারা আমাদের উচ্ছেদ করতে হামলা চালানো শুরু করেছে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। হামলার শিকার শুভ বাড়ৈ বলেন, প্রতিদিন স্থানীয় কয়েকজন কিশোর আমাদের লক্ষ করে বাজি ফুটায়। টিনের চালে বাজি ছুড়ে মারে। আমরা কখনো কখনো বাজির বিকট শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। ওদের বাজি ফুটানোয় বারবার নিষেধ করা হলেও তারা তা শুনে না। বরং আরও বেশি করে বাজি ফুটানো শুরু করে। অভিযোগের বিষয় কামাল হাওলাদার বলেন, সামনে ঈদ। তাই ছেলেরা বাজি ফুটাইছে। তবে কারো ক্ষতি করে তারা বাজি ফুটায় নাই। এখানে আমাদের নামে ভুল অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে মাদারীপুর সদর থানার ওসি বলেন, বাজি ফুনোর প্রতিবাদ করায় কয়েকজন ওপর হামলা হয়েছে। এ খবর পাওয়া মাত্রই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি।