ঈদের ছুটিতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার পথে ভারী যানবাহনের চালকদের পদ্মা নদী পার হতে শিমুলিয়ার পরিবর্তে পাটুরিয়া ঘাট ব্যবহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যতগুলো ঘাট আছে সব মিলে ৪৯টি ফেরি চলছে। এর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়ায় চলছে ১০টি, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় ২১টি ও আরিচায় চারটি। পদ্মা সেতুর সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি চিন্তা করে শিমুলিয়ায় ১০টি ভালোমানের ফেরি রাখা হয়েছে।

গতকাল সরেজমিন মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ার ফেরি ঘাট, লঞ্চ ঘাট, স্পিডবোট ঘাট ঘুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় অন্যদের মধ্যে বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম?্যান শামীম আল রাজী, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম?্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।

ঈদে ঘরমুখো মানুষকে নিরাপদে ও নির্বিঘেœ পারাপারে প্রস্তুতির কোন অভাব নেই উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিমুলিয়ায় যাত্রীদের নিরাপদে পারাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। আমরা যাত্রী সাধারণকে বলেছি, পাটুরিয়া ঘাটকে ব্যবহার করতে। আমরা এই পথে ভারী কোন যানবাহন চলতে দিচ্ছি না। এখানে সব হালকা যান চলছে।’

‘তবে ঘাটে মানুষের চাপ আজকে বেশি। চাপের কারণে মাঝে মাঝে একটু অসুবিধা আছে। বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা শবে কদরের ইবাদত বন্দেগি করেও মানুষের সেবায় সচেষ্ট রয়েছে। মানুষ আনন্দের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছেন’, বলেন প্রতিমন্ত্রী।

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘এখানে পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা জোর দিয়ে দেখছি। সবকিছু চিন্তা করে আমরা এই পথে যে ফেরিগুলো চালাচ্ছি সেগুলো চলার মতো।’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার সুযোগ নেই। ঘাটে ম?্যাজিস্ট্রেট রয়েছে, তারা বিষয়টি দেখছেন।