পটিয়ায় নির্বাচনকালীন দ্বন্দ্বের জের

আ’লীগ নেতাকে গাছে বেঁধে পেটালো ইউপি চেয়ারম্যানের কর্মীরা

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নে ইফতার মাহফিলে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা পূজা কমিটির সাবেক সভাপতি জিতেন কান্তি গুহকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থকরা।

তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

গতকাল জুমার নামাজ শেষে হাইদগাঁও ব্রাহ্মণঘাটায় অবস্থিত গাউছিয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায় হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্তৃক ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় গাউছিয়া কমিউনিটি সেন্টারে। ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিমকে ইফতারে মাহফিলে দাওয়াত না দেয়ায় মূলত ঝামেলার সৃষ্টি হয়।

হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম জুলু জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ উনাকে ইফতার মাহফিলে দাওয়াত দেয়নি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ৩০/৪০ জন লোক নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে এসে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মাহমুদুল হক হাফেজসহ বিভিন্নজনকে গালাগালি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ইন্দ্রজিৎ লিও নামের সাবেক একজন মেম্বার জিতেন গুহকে ঘুসি মেরে দেন। এ সময় উনার সঙ্গে থাকা বাকি লোকজন জিতেন গুহকে টেনে হিচড়ে বাইরে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে রক্তাক্ত করে ফেলে।

হাইদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিমের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিতেন গুহ সভাপতি থাকার সময় সরকারি ঘর, টিওবওয়েল, চাকরি দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করেছে।

ওই লোকগুলো তাকে পেয়ে টাকা ফেরত দিতে বলে মারধর করে। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকায় জিতেনকে বাঁচাতে পেরেছি। আমি না থাকলে অবস্থা খারাপ হয়ে যেত। এ বিষয়ে হাইদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল হাসনাত মোহাম্মদ ফয়সাল জানান আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন কান্তি গুহকে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা বিএম জসিমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার জানান হামলার খবর আমরা পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।

শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২ , ১৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

পটিয়ায় নির্বাচনকালীন দ্বন্দ্বের জের

আ’লীগ নেতাকে গাছে বেঁধে পেটালো ইউপি চেয়ারম্যানের কর্মীরা

প্রতিনিধি, পটিয়া (চট্টগ্রাম)

image

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নে ইফতার মাহফিলে পূর্বশত্রুতার জের ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা পূজা কমিটির সাবেক সভাপতি জিতেন কান্তি গুহকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সমর্থকরা।

তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।

গতকাল জুমার নামাজ শেষে হাইদগাঁও ব্রাহ্মণঘাটায় অবস্থিত গাউছিয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। জানা যায় হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্তৃক ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় গাউছিয়া কমিউনিটি সেন্টারে। ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিমকে ইফতারে মাহফিলে দাওয়াত না দেয়ায় মূলত ঝামেলার সৃষ্টি হয়।

হাইদগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুল ইসলাম জুলু জানান, বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ উনাকে ইফতার মাহফিলে দাওয়াত দেয়নি। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ৩০/৪০ জন লোক নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে এসে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মাহমুদুল হক হাফেজসহ বিভিন্নজনকে গালাগালি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ইন্দ্রজিৎ লিও নামের সাবেক একজন মেম্বার জিতেন গুহকে ঘুসি মেরে দেন। এ সময় উনার সঙ্গে থাকা বাকি লোকজন জিতেন গুহকে টেনে হিচড়ে বাইরে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে রক্তাক্ত করে ফেলে।

হাইদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান বিএম জসিমের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জিতেন গুহ সভাপতি থাকার সময় সরকারি ঘর, টিওবওয়েল, চাকরি দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করেছে।

ওই লোকগুলো তাকে পেয়ে টাকা ফেরত দিতে বলে মারধর করে। আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকায় জিতেনকে বাঁচাতে পেরেছি। আমি না থাকলে অবস্থা খারাপ হয়ে যেত। এ বিষয়ে হাইদগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল হাসনাত মোহাম্মদ ফয়সাল জানান আওয়ামী লীগ নেতা জিতেন কান্তি গুহকে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা বিএম জসিমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম মজুমদার জানান হামলার খবর আমরা পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি।