ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও উত্তরাঞ্চল দখলে ব্যর্থ হওয়ার পর দক্ষিণে নজর দেয় রাশিয়া। পূর্বাঞ্চলেও হামলা বাড়িয়েছে মস্কো। তাদের লক্ষ্য দোনবাস, ক্রিমিয়া হয়ে মলদোভার ছোট বিচ্ছিন্ন প্রদেশ ট্রান্সনিস্ট্রিয়ায় পৌঁছানো। সেখানে রুশভাষীদের আধিক্য বেশি। এসব অঞ্চলের দখল নিয়ে মূলত কৃষ্ণ ও আজভ সাগরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় রাশিয়া। তবে তাতে কতটা সফল হবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, বিষয়টি এক প্রতিবেদনে তুলে ধরে আলজাজিরা।
দক্ষিণ-পশ্চিম ইউক্রেনের সঙ্গে রোমানিয়াকে সংযোগ করা একটি সেতু ধ্বংস করতে বেশ কয়েকটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে হয়েছে রাশিয়াকে। এ সেতুটি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিলহরোদ-দিনিস্ত্রোভস্কি এলাকায় দিনিয়েস্টার নদীর সেতুটিতে আঘাত করে; যা কিয়েভ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দূরে। যুদ্ধের খবরে সম্প্রতি অঞ্চলটি অনুপস্থিত থাকলেও অবস্থানগত কারণে রাশিয়ার নতুন যুদ্ধ কৌশলে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
কিয়েভ ও উত্তরাঞ্চল দখলে ব্যর্থ রুশ সেনারা এখন দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে মনোযোগ দিয়েছে; যা ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। তারা চাইছে সংখ্যাগরিষ্ঠ রুশ ভাষাভাষী অঞ্চলটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে। তাদের দাবি, এসব মানুষের রাশিয়ার সুরক্ষা প্রয়োজন।
প্যারাট্রুপারদের অবতরণ : ধ্বংস করা সেতুর আশপাশে সুরক্ষা দেয়াল তৈরি করেছিলেন রোমান সম্রাট ট্রাজান। এছাড়া বিধ্বস্ত দুর্গগুলো তৈরি করেছে মঙ্গল, অটোমান ও নাৎসি জার্মানরা। এই সেতু ধ্বংস করা ট্রান্সনিস্ট্রিয়াতে রাশিয়ার প্যারাট্রুপারদের অবতরণের ঘোষণা হতে পারে। ট্রান্সনিস্ট্রিয়া উত্তরে অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা অঞ্চলটিকে রুশ আক্রমণের সম্ভাব্য জায়গা হিসেবে বিবেচনা করে আসছিলেন।
‘বিচ্ছিন্ন ভাষা’: কিয়েভভিত্তিক বিশ্লেষক আলেকসি কুশচ বলছেন, ‘স্থল সংযোগ’ গড়ে তোলার পাশাপাশি মস্কো চায় কৃষ্ণসাগর থেকে পুরো ইউক্রেনকে বিচ্ছিন্ন এবং সম্ভাব্য রুশপন্থী সহযোগিতাকারীদের সমাবেশিত করতে। তিনি বলেন, তবে লক্ষ্যের এই গুরুত্বারোপ যারা কিয়েভের প্রতি অনুগত সেই স্থানীয় জনগণের ওপর কোন প্রভাব ফেলেনি।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে বহু ভাষাভাষী মানুষের বসবাস। এখানে রয়েছেন ইহুদি, গ্রিক, বুলগেরীয়, গাগাউজ ও রোমানিয়ার অভিবাসীরা, যারা রুশ ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করে।
শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২ , ১৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমাদ্বান ১৪৪৩
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ ও উত্তরাঞ্চল দখলে ব্যর্থ হওয়ার পর দক্ষিণে নজর দেয় রাশিয়া। পূর্বাঞ্চলেও হামলা বাড়িয়েছে মস্কো। তাদের লক্ষ্য দোনবাস, ক্রিমিয়া হয়ে মলদোভার ছোট বিচ্ছিন্ন প্রদেশ ট্রান্সনিস্ট্রিয়ায় পৌঁছানো। সেখানে রুশভাষীদের আধিক্য বেশি। এসব অঞ্চলের দখল নিয়ে মূলত কৃষ্ণ ও আজভ সাগরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় রাশিয়া। তবে তাতে কতটা সফল হবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, বিষয়টি এক প্রতিবেদনে তুলে ধরে আলজাজিরা।
দক্ষিণ-পশ্চিম ইউক্রেনের সঙ্গে রোমানিয়াকে সংযোগ করা একটি সেতু ধ্বংস করতে বেশ কয়েকটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করতে হয়েছে রাশিয়াকে। এ সেতুটি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে কয়েকশ কিলোমিটার দূরে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিলহরোদ-দিনিস্ত্রোভস্কি এলাকায় দিনিয়েস্টার নদীর সেতুটিতে আঘাত করে; যা কিয়েভ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দূরে। যুদ্ধের খবরে সম্প্রতি অঞ্চলটি অনুপস্থিত থাকলেও অবস্থানগত কারণে রাশিয়ার নতুন যুদ্ধ কৌশলে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
কিয়েভ ও উত্তরাঞ্চল দখলে ব্যর্থ রুশ সেনারা এখন দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী অঞ্চলে মনোযোগ দিয়েছে; যা ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। তারা চাইছে সংখ্যাগরিষ্ঠ রুশ ভাষাভাষী অঞ্চলটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে। তাদের দাবি, এসব মানুষের রাশিয়ার সুরক্ষা প্রয়োজন।
প্যারাট্রুপারদের অবতরণ : ধ্বংস করা সেতুর আশপাশে সুরক্ষা দেয়াল তৈরি করেছিলেন রোমান সম্রাট ট্রাজান। এছাড়া বিধ্বস্ত দুর্গগুলো তৈরি করেছে মঙ্গল, অটোমান ও নাৎসি জার্মানরা। এই সেতু ধ্বংস করা ট্রান্সনিস্ট্রিয়াতে রাশিয়ার প্যারাট্রুপারদের অবতরণের ঘোষণা হতে পারে। ট্রান্সনিস্ট্রিয়া উত্তরে অবস্থিত। দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা অঞ্চলটিকে রুশ আক্রমণের সম্ভাব্য জায়গা হিসেবে বিবেচনা করে আসছিলেন।
‘বিচ্ছিন্ন ভাষা’: কিয়েভভিত্তিক বিশ্লেষক আলেকসি কুশচ বলছেন, ‘স্থল সংযোগ’ গড়ে তোলার পাশাপাশি মস্কো চায় কৃষ্ণসাগর থেকে পুরো ইউক্রেনকে বিচ্ছিন্ন এবং সম্ভাব্য রুশপন্থী সহযোগিতাকারীদের সমাবেশিত করতে। তিনি বলেন, তবে লক্ষ্যের এই গুরুত্বারোপ যারা কিয়েভের প্রতি অনুগত সেই স্থানীয় জনগণের ওপর কোন প্রভাব ফেলেনি।
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে বহু ভাষাভাষী মানুষের বসবাস। এখানে রয়েছেন ইহুদি, গ্রিক, বুলগেরীয়, গাগাউজ ও রোমানিয়ার অভিবাসীরা, যারা রুশ ভাষায় কথা বলতে পছন্দ করে।