ঈদ সামনে, ফের দাম বেড়েছে গরুর মাংস ও মুরগিতে

ঈদ সামনে রেখে গরুর মাংস ও মুরগির দাম ফের বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে যে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকায় পাওয়া যেত, সেই গরুর মাংস গতকাল ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে বেড়েছে মুরগির দামও। প্রায় সব ধরনের মুরগির দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। এছাড়া ঈদ সামনে রেখে ফের অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে ভোজ্যতেলের দাম। রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা দরে যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকায়। আর ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা যা ৭ দিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ১৭০ টাকায়। বেড়েছে সোনালি মুরগির দামও। বর্তমানে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা যা গত শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিক্রি হয়েছিল ২৮০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।

এছাড়া ফের বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। এখন প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ টাকা। আর দুই লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়।

অন্যদিকে সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। এখনও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, আর গোল বেগুন ১২০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বটবটি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল কেজি ৬০ টাকা, মটরশুটি কেজি ১২০ টাকা। এছাড়া চাল কুমড়া প্রতি পিস ৪০ টাকা এবং লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা এবং লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। তবে আলুর দামে কোন হেরফের নেই। আলু আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। পেঁয়াজও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা কেজি।

বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং দেশি রসুন ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৮০ টাকা, আর চায়না আদার দাম কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি খোলা সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এছাড়া সাদা প্যাকেট চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়া এসব বাজারে দেশি মশুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা।

এদিকে অপরিবর্তিত আছে ডিমের দাম। লাল ডিম প্রতি ডজন ১০০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২০০ টাকা।

এদিকে মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা।

শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২ , ১৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

ঈদ সামনে, ফের দাম বেড়েছে গরুর মাংস ও মুরগিতে

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

ঈদ সামনে রেখে গরুর মাংস ও মুরগির দাম ফের বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহে যে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকায় পাওয়া যেত, সেই গরুর মাংস গতকাল ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে বেড়েছে মুরগির দামও। প্রায় সব ধরনের মুরগির দাম প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা। এছাড়া ঈদ সামনে রেখে ফের অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে ভোজ্যতেলের দাম। রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা যায়, গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা দরে যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকায়। আর ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা যা ৭ দিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ১৭০ টাকায়। বেড়েছে সোনালি মুরগির দামও। বর্তমানে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা যা গত শুক্রবার (২২ এপ্রিল) বিক্রি হয়েছিল ২৮০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।

এছাড়া ফের বেড়েছে ভোজ্যতেলের দাম। এখন প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ টাকা। আর দুই লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকায়।

অন্যদিকে সবজি বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। এখনও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি ৮০ টাকা, আর গোল বেগুন ১২০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, বটবটি কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল কেজি ৬০ টাকা, মটরশুটি কেজি ১২০ টাকা। এছাড়া চাল কুমড়া প্রতি পিস ৪০ টাকা এবং লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা এবং লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। তবে আলুর দামে কোন হেরফের নেই। আলু আগের মতোই বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। পেঁয়াজও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা কেজি।

বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং দেশি রসুন ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৮০ টাকা, আর চায়না আদার দাম কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

বাজারে প্রতি কেজি খোলা সাদা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এছাড়া সাদা প্যাকেট চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়া এসব বাজারে দেশি মশুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা।

এদিকে অপরিবর্তিত আছে ডিমের দাম। লাল ডিম প্রতি ডজন ১০০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২০০ টাকা।

এদিকে মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে তেমন পরিবর্তন আসেনি। রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা।