হজযাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইটে ওঠার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে নিতে হবে। এছাড়া করোনা টিকা গ্রহণ করলেই চলবে না, টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গতকাল হজে যেতে ইচ্ছুক ও সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুষ্ঠুভাবে হজ অনুষ্ঠানে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তি এবং হজ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সবার অবগতি এবং প্রস্তুতি গ্রহণের লক্ষ্যে দেয়া নির্দেশনাসমূহ হলোÑ ক. পাসপোর্ট অনুযায়ী যাদের জন্মতারিখ ১ জুলাই ১৯৫৭ সাল এবং পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ৬৫ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিরাই শুধু হজ পালনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। খ. ২০২০ সালে সব সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত হজযাত্রী এবার হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

গ. ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে নিবন্ধিত হজযাত্রী বা নিবন্ধিত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের কেউ হজে যেতে চাইলে শূন্য কোটায় তিনি অগ্রাধিকার পাবেন। সে ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ঢাকার হজ অফিসের পরিচালকের কাছে অতিসত্বর বদলি হজযাত্রীর পাসপোর্টসহ আবেদন করতে হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আগ্রহীদের নিজ নিজ হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। দুই ক্ষেত্রেই প্রস্তাবিত ব্যক্তির প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে। ঘ. ২০২২ সালের হজে যেতে আগ্রহীদের স্বল্প সময়ের মধ্যে নতুনভাবে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করে ভিসা আবেদনের পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

এজন্য কিছু বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে তাদের। এগুলোর মধ্যে আছেÑ ১. ২০২০ সালের নিবন্ধিত সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ২০২২ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণার ৩ কার্যদিবসের মধ্যে যেকোন নিবন্ধনকেন্দ্র থেকে প্যাকেজ স্থানান্তর শেষ করতে হবে। এজন্য ২০২০ সালে পরিশোধিত প্যাকেজ মূল্য সমন্বয় করে ২০২২ সালের যেকোন একটি প্যাকেজের অবশিষ্ট অর্থ ভাউচারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে জমা করতে হবে। প্যাকেজ স্থানান্তর/নিবন্ধনের তিন দিনের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের পাসপোর্ট নিজ দায়িত্বে ঢাকার হজ অফিসে জমা দিতে হবে।

২. বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০২০ সালের নিবন্ধিত হজযাত্রীরা নিজ নিজ এজেন্সি ঘোষিত প্যাকেজ (সরকারি ব্যবস্থাপনার সর্বনিম্ন প্যাকেজের নিম্নে নয়) দ্রুত নির্ধারণ ও অবশিষ্ট অর্থ পরিশোধ করে এজেন্সির সহায়তায় হজে গমনের কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।

৩. নিবন্ধন নিশ্চিত করার জন্য সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমনেচ্ছুদের পাসপোর্টে কমপক্ষে ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদ থাকতে হবে। যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা নতুন করে পাসপোর্ট করতে হবে, তাদের ‘অতীব জরুরি’ ভিত্তিতে পাসপোর্ট করাতে হবে। ৪. হজের সময়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের নিয়মানুযায়ী প্রতিটি স্থানে গ্রুপভিত্তিক চলাচল করতে হবে।

৫. হজ সফরের প্রতিটি ক্ষেত্রে সৌদি সরকারের প্রবর্তিত নিয়মানুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ৬. কোভিড ভ্যাকসিন এবং ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেয়ার সনদ হজের পুরো সফরে ব্যবহারের জন্য একাধিক কপি বা আইডি কার্ড আকারে লেমিনেট করে রাখতে হবে।

৭. নিবন্ধন ছাড়া টিকা নিয়ে থাকলে অথবা ‘সুরক্ষা’ অ্যাপে টিকা নেয়ার তথ্য যুক্ত নেই এমন হজযাত্রীকে টিকা নেয়ার তথ্য ‘সুরক্ষা’ অ্যাপে যুক্ত করে সনদ নিতে হবে। অর্থাৎ, টিকা নিলেই হবে না, টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে। ৮. হজে গমনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে নিতে হবে।

৯. হজযাত্রীদের মধ্যে যারা নিয়মিত সেবন করেন এমন কোন ওষুধ সৌদি আরবে নেয়ার প্রয়োজন থাকলে তা অবশ্যই রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের/হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র সঙ্গে করে লাগেজে নিতে হবে। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোন ওষুধ সঙ্গে নেয়া যাবে না।

১০. হজযাত্রী, গাইড বা সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি জর্দা, গুলসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য সঙ্গে নিতে পারবেন না। ১১. সৌদি সরকারের নিয়মানুযায়ী সৌদি আরব থেকে প্রত্যাগমনের সময় ৬০ হাজার সৌদি রিয়ালের বেশি নগদ অর্থ বা সমমূল্যের স্বর্ণালঙ্কার বা মূল্যবান কোন দ্রব্য বহন করলে ওই যাত্রীকে সৌদি স্থানীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে এবং মূল্যবান দ্রব্য কেনার ইলেকট্রিক্যাল ভাউচার দেখাতে হবে।

১২. হজের বিষয়ে কোন তথ্য জানার জন্য ঢাকার হজ অফিসের কল সেন্টার ০৯৬০২৬৬৬৭০৭ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। হজের বিষয়ে এর বাইরে কোন তথ্য জানার প্রয়োজন হলে হজ অনুবিভাগের ফোকাল পয়েন্ট উপ-সচিব (হজ-১) আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীনের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়, যা ০১৭২০-২০৯৫৯৯ মোবাইল নম্বরে পাওয়া যাবে। এছাড়া akm.shaheen@gmail.com-এ ই-মেইল পাঠিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২ , ১৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

হজযাত্রীদের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইটে ওঠার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে নিতে হবে। এছাড়া করোনা টিকা গ্রহণ করলেই চলবে না, টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। গতকাল হজে যেতে ইচ্ছুক ও সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সুষ্ঠুভাবে হজ অনুষ্ঠানে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হজে গমনেচ্ছু ব্যক্তি এবং হজ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সবার অবগতি এবং প্রস্তুতি গ্রহণের লক্ষ্যে দেয়া নির্দেশনাসমূহ হলোÑ ক. পাসপোর্ট অনুযায়ী যাদের জন্মতারিখ ১ জুলাই ১৯৫৭ সাল এবং পরবর্তী সময়ে অর্থাৎ ৬৫ বছরের কম বয়সী ব্যক্তিরাই শুধু হজ পালনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। খ. ২০২০ সালে সব সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধিত হজযাত্রী এবার হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

গ. ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে নিবন্ধিত হজযাত্রী বা নিবন্ধিত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের কেউ হজে যেতে চাইলে শূন্য কোটায় তিনি অগ্রাধিকার পাবেন। সে ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে ঢাকার হজ অফিসের পরিচালকের কাছে অতিসত্বর বদলি হজযাত্রীর পাসপোর্টসহ আবেদন করতে হবে। বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আগ্রহীদের নিজ নিজ হজ এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। দুই ক্ষেত্রেই প্রস্তাবিত ব্যক্তির প্রাক-নিবন্ধন করতে হবে। ঘ. ২০২২ সালের হজে যেতে আগ্রহীদের স্বল্প সময়ের মধ্যে নতুনভাবে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করে ভিসা আবেদনের পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

এজন্য কিছু বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে তাদের। এগুলোর মধ্যে আছেÑ ১. ২০২০ সালের নিবন্ধিত সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের ২০২২ সালের হজ প্যাকেজ ঘোষণার ৩ কার্যদিবসের মধ্যে যেকোন নিবন্ধনকেন্দ্র থেকে প্যাকেজ স্থানান্তর শেষ করতে হবে। এজন্য ২০২০ সালে পরিশোধিত প্যাকেজ মূল্য সমন্বয় করে ২০২২ সালের যেকোন একটি প্যাকেজের অবশিষ্ট অর্থ ভাউচারের মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকে জমা করতে হবে। প্যাকেজ স্থানান্তর/নিবন্ধনের তিন দিনের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের পাসপোর্ট নিজ দায়িত্বে ঢাকার হজ অফিসে জমা দিতে হবে।

২. বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০২০ সালের নিবন্ধিত হজযাত্রীরা নিজ নিজ এজেন্সি ঘোষিত প্যাকেজ (সরকারি ব্যবস্থাপনার সর্বনিম্ন প্যাকেজের নিম্নে নয়) দ্রুত নির্ধারণ ও অবশিষ্ট অর্থ পরিশোধ করে এজেন্সির সহায়তায় হজে গমনের কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।

৩. নিবন্ধন নিশ্চিত করার জন্য সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমনেচ্ছুদের পাসপোর্টে কমপক্ষে ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদ থাকতে হবে। যাদের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে বা নতুন করে পাসপোর্ট করতে হবে, তাদের ‘অতীব জরুরি’ ভিত্তিতে পাসপোর্ট করাতে হবে। ৪. হজের সময়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের নিয়মানুযায়ী প্রতিটি স্থানে গ্রুপভিত্তিক চলাচল করতে হবে।

৫. হজ সফরের প্রতিটি ক্ষেত্রে সৌদি সরকারের প্রবর্তিত নিয়মানুসারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ৬. কোভিড ভ্যাকসিন এবং ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেয়ার সনদ হজের পুরো সফরে ব্যবহারের জন্য একাধিক কপি বা আইডি কার্ড আকারে লেমিনেট করে রাখতে হবে।

৭. নিবন্ধন ছাড়া টিকা নিয়ে থাকলে অথবা ‘সুরক্ষা’ অ্যাপে টিকা নেয়ার তথ্য যুক্ত নেই এমন হজযাত্রীকে টিকা নেয়ার তথ্য ‘সুরক্ষা’ অ্যাপে যুক্ত করে সনদ নিতে হবে। অর্থাৎ, টিকা নিলেই হবে না, টিকা গ্রহণের সার্টিফিকেট অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে। ৮. হজে গমনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট সঙ্গে নিতে হবে।

৯. হজযাত্রীদের মধ্যে যারা নিয়মিত সেবন করেন এমন কোন ওষুধ সৌদি আরবে নেয়ার প্রয়োজন থাকলে তা অবশ্যই রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের/হাসপাতালের ব্যবস্থাপত্র সঙ্গে করে লাগেজে নিতে হবে। ব্যবস্থাপত্র ছাড়া কোন ওষুধ সঙ্গে নেয়া যাবে না।

১০. হজযাত্রী, গাইড বা সংশ্লিষ্ট কোন ব্যক্তি জর্দা, গুলসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য সঙ্গে নিতে পারবেন না। ১১. সৌদি সরকারের নিয়মানুযায়ী সৌদি আরব থেকে প্রত্যাগমনের সময় ৬০ হাজার সৌদি রিয়ালের বেশি নগদ অর্থ বা সমমূল্যের স্বর্ণালঙ্কার বা মূল্যবান কোন দ্রব্য বহন করলে ওই যাত্রীকে সৌদি স্থানীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে এবং মূল্যবান দ্রব্য কেনার ইলেকট্রিক্যাল ভাউচার দেখাতে হবে।

১২. হজের বিষয়ে কোন তথ্য জানার জন্য ঢাকার হজ অফিসের কল সেন্টার ০৯৬০২৬৬৬৭০৭ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। হজের বিষয়ে এর বাইরে কোন তথ্য জানার প্রয়োজন হলে হজ অনুবিভাগের ফোকাল পয়েন্ট উপ-সচিব (হজ-১) আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীনের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়, যা ০১৭২০-২০৯৫৯৯ মোবাইল নম্বরে পাওয়া যাবে। এছাড়া akm.shaheen@gmail.com-এ ই-মেইল পাঠিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।