কলকাতায় পণ্যবাহী জাহাজডুবি, ১৫ বাংলাদেশি নাবিক উদ্ধার

মুক্তির বার্তা দিয়ে ভিডিওতে

ভারতের কলকাতার নেতাজী সুবাস চন্দ্র ডকে (পণ্য খালাস স্থান) জাহাজে পণ্য বোঝাইয়ের সময় ডুবে যায় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি মেরিন ট্রাস্ট। এ সময় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান ১৫ বাংলাদেশি নাবিক। সেই থেকে কলকাতায় আটকা পড়েছেন তারা। এক ভিডিও বার্তায় বন্দীদশা থেকে মুক্তির আকুতি জানিয়েছেন নাবিকেরা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তারা।

জানা যায়, গত ২৪ মার্চ এমভি মেরিন ট্রাস্ট নামের একটি কার্গো জাহাজ কলকাতা পোর্টে ডুবে গেলে ওই ১৫ নাবিককে উদ্ধার করে কলকাতা মেরিন ক্লাবে থাকার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে বর্তমানে তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তায় গত বৃহস্পতিবার তারা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ সরকার বা ভারত কর্তৃপক্ষ কেউই তাদের দেশে ফেরাতে উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ সময় সেখানে ডুবে যাওয়া জাহাজ এমভি মেরিন ট্রাস্ট-১ এর প্রধান প্রকৌশলী বক্তব্য দেন। পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন অন্য ১৪ নাবিক। দেশে ফিরিয়ে নেয়ার আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা বাঁচতে চাই, আমাদের বাঁচান।

ভিডিও বার্তায় প্রধান প্রকৌশলী ফাহিম ফয়সাল বলেন, গত ২০ মার্চ ১৫ জন নাবিক চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজ নিয়ে কলকাতায় যান। সেখানে ২৩ মার্চ পৌঁছান। ২৪ মার্চ পণ্যবাহী কন্টেইনার তোলা শেষে একপাশে কাত হয়ে জাহাজটি উল্টে যায়। এ সময় নাবিকেরা দ্রুত দৌড়ে নেমে পড়েন। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ে মেরিন ক্লাব হোটেল (সি-ম্যান হোস্টেল) রাখে। সেখানে দীর্ঘ এক মাস ধরে তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। তাদের পাসপোর্ট নিয়ে নেয়া হয়েছে।

ফাহিম ফয়সাল বলেন, তারা কলকাতা ও বাংলাদেশে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু দেশে ফেরাতে কেউ কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। দেশের মালিকপক্ষ নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিলেও কয়েক দিন ধরে আর কোন যোগাযোগ করছে না। হোস্টেলে যেকোন সময় খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। নাবিকদের সবাই দেশে ফিরতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আকুতি জানাতে থাকেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোলকাতায় উপ-দূতাবাসের প্রধান আন্দালিব ইলিয়াস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ওই নাবিকরা কলকাতা মেরিন ক্লাবে অবস্থান করছেন। তাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা এখানকার স্থানীয় শিপিং এজেন্ট করছে। আমরা বৃহস্পতিবার তাদের ফেরত পাঠানোতে সহায়তা করার জন্য কলকাতা পোর্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি।

ভালো থাকলে কেন নাবিকরা তাদের কষ্টের কথা জানিয়ে লাইভ করল জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি তারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে জাহাজের মাস্টার আমাদের জানিয়েছেন তাদের থাকা-খাওয়ার সমস্যা নেই।

শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২ , ১৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

কলকাতায় পণ্যবাহী জাহাজডুবি, ১৫ বাংলাদেশি নাবিক উদ্ধার

মুক্তির বার্তা দিয়ে ভিডিওতে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

ভারতের কলকাতার নেতাজী সুবাস চন্দ্র ডকে (পণ্য খালাস স্থান) জাহাজে পণ্য বোঝাইয়ের সময় ডুবে যায় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি মেরিন ট্রাস্ট। এ সময় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান ১৫ বাংলাদেশি নাবিক। সেই থেকে কলকাতায় আটকা পড়েছেন তারা। এক ভিডিও বার্তায় বন্দীদশা থেকে মুক্তির আকুতি জানিয়েছেন নাবিকেরা। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন তারা।

জানা যায়, গত ২৪ মার্চ এমভি মেরিন ট্রাস্ট নামের একটি কার্গো জাহাজ কলকাতা পোর্টে ডুবে গেলে ওই ১৫ নাবিককে উদ্ধার করে কলকাতা মেরিন ক্লাবে থাকার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে বর্তমানে তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তায় গত বৃহস্পতিবার তারা অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ সরকার বা ভারত কর্তৃপক্ষ কেউই তাদের দেশে ফেরাতে উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ সময় সেখানে ডুবে যাওয়া জাহাজ এমভি মেরিন ট্রাস্ট-১ এর প্রধান প্রকৌশলী বক্তব্য দেন। পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন অন্য ১৪ নাবিক। দেশে ফিরিয়ে নেয়ার আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘আমরা বাঁচতে চাই, আমাদের বাঁচান।

ভিডিও বার্তায় প্রধান প্রকৌশলী ফাহিম ফয়সাল বলেন, গত ২০ মার্চ ১৫ জন নাবিক চট্টগ্রাম বন্দর থেকে জাহাজ নিয়ে কলকাতায় যান। সেখানে ২৩ মার্চ পৌঁছান। ২৪ মার্চ পণ্যবাহী কন্টেইনার তোলা শেষে একপাশে কাত হয়ে জাহাজটি উল্টে যায়। এ সময় নাবিকেরা দ্রুত দৌড়ে নেমে পড়েন। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ে মেরিন ক্লাব হোটেল (সি-ম্যান হোস্টেল) রাখে। সেখানে দীর্ঘ এক মাস ধরে তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। তাদের পাসপোর্ট নিয়ে নেয়া হয়েছে।

ফাহিম ফয়সাল বলেন, তারা কলকাতা ও বাংলাদেশে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু দেশে ফেরাতে কেউ কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। দেশের মালিকপক্ষ নাবিকদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দিলেও কয়েক দিন ধরে আর কোন যোগাযোগ করছে না। হোস্টেলে যেকোন সময় খাবার সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে। নাবিকদের সবাই দেশে ফিরতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আকুতি জানাতে থাকেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোলকাতায় উপ-দূতাবাসের প্রধান আন্দালিব ইলিয়াস সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ওই নাবিকরা কলকাতা মেরিন ক্লাবে অবস্থান করছেন। তাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা এখানকার স্থানীয় শিপিং এজেন্ট করছে। আমরা বৃহস্পতিবার তাদের ফেরত পাঠানোতে সহায়তা করার জন্য কলকাতা পোর্ট কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি।

ভালো থাকলে কেন নাবিকরা তাদের কষ্টের কথা জানিয়ে লাইভ করল জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি তারাই ভালো বলতে পারবেন। তবে জাহাজের মাস্টার আমাদের জানিয়েছেন তাদের থাকা-খাওয়ার সমস্যা নেই।