ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমানোর উদ্যোগ নিন

পরিবহনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ গ্রামে যাবেন। গার্মেন্ট শিল্প-কারখানা ও সরকারি অফিসে একসঙ্গে ছুটি হওয়ায় শেষ দিকে যাত্রীর চাপও বাড়বে কয়েক গুণ। এছাড়া ঈদযাত্রায় মহাসড়কে দুর্ভোগ সহ্য করতে হবে। কারণ ঢাকা থেকে বের হওয়ার অধিকাংশ সড়কে খানাখন্দ। বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলমান থাকায় তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ সিরাজগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কাঁচপুর সেতু, বঙ্গবন্ধু সেতু, শিমুলিয়া ফেরিঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোয় ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে। নৌপথে যাত্রীদের চাহিদা মেটাতে এবার বাড়তি লঞ্চ ছাড়ার প্রস্তুতি চলছে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করা দেশের সাধারণ মানুষের সহজাত প্রত্যাশা। এ প্রত্যাশা পূরণে যাত্রীরা যাতে ভোগান্তির শিকার না হন সেদিকে নজর রাখতে হবে।

ঈদে বাড়ি ফেরা, ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা। ঈদযাত্রা আর ঈদ শেষে ফিরতি যাত্রার ভোগান্তি যেন এক অনিবার্য নিয়তি দেশের মানুষের। গণপরিবহনের সংকট, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ, স্বাভাবিকের তুলনায় তিন-চার-পাঁচগুণ ভাড়া গুনতে বাধ্য হওয়া এমনকি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াও মানুষকে কষ্টকর এই ঈদযাত্রা থেকে বিরত রাখতে পারে না। এমনকি এই প্রাণঘাতী করোনা মহামারির কালেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।

সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচল নির্বিঘœ হবেÑএটাই প্রত্যাশিত। দুঃখজনক হলো, এ নিয়ম বাস্তবে দেশের কোথাও পরিলক্ষিত হয় না। রাস্তার ওপর ও ফুটপাতে দোকানপাট, অপরিকল্পিত ট্রাফিক ব্যবস্থা ও ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি, খেয়ালখুশি মতো যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, মহাসড়কের ওপর ম্যাক্সি-টেম্পোস্ট্যান্ডসহ রাস্তার মাঝখানে ডাস্টবিন ও হাটবাজার স্থাপন করে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করে রাখা হয়। ফলে ঈদের সময় বাড়তি মানুষের চাপে সড়কপথগুলো স্থবির হয়ে পড়ে।

সড়ক-মহাসড়কগুলো এবারও যাতে একই রূপ ধারণ না করে, সেজন্য আগে থেকেই পদক্ষেপ নেয়া উচিত। ঈদের সময় অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের কারণে নৌপথে দুর্ঘটনা ঘটে। সুষ্ঠু তদারকির অভাব ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারসাজিতে বছরের পর বছর ধরে নৌপথে বিদ্যমান এ অনিয়মের দায় শোধ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, নিজেদের জীবনের বিনিময়ে।

আর কে চৌধুরী

শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২ , ১৭ বৈশাখ ১৪২৮ ২৮ রমাদ্বান ১৪৪৩

ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি কমানোর উদ্যোগ নিন

পরিবহনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষ গ্রামে যাবেন। গার্মেন্ট শিল্প-কারখানা ও সরকারি অফিসে একসঙ্গে ছুটি হওয়ায় শেষ দিকে যাত্রীর চাপও বাড়বে কয়েক গুণ। এছাড়া ঈদযাত্রায় মহাসড়কে দুর্ভোগ সহ্য করতে হবে। কারণ ঢাকা থেকে বের হওয়ার অধিকাংশ সড়কে খানাখন্দ। বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলমান থাকায় তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কসহ সিরাজগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কাঁচপুর সেতু, বঙ্গবন্ধু সেতু, শিমুলিয়া ফেরিঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোয় ভোগান্তি আরও বাড়তে পারে। নৌপথে যাত্রীদের চাহিদা মেটাতে এবার বাড়তি লঞ্চ ছাড়ার প্রস্তুতি চলছে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করা দেশের সাধারণ মানুষের সহজাত প্রত্যাশা। এ প্রত্যাশা পূরণে যাত্রীরা যাতে ভোগান্তির শিকার না হন সেদিকে নজর রাখতে হবে।

ঈদে বাড়ি ফেরা, ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা। ঈদযাত্রা আর ঈদ শেষে ফিরতি যাত্রার ভোগান্তি যেন এক অনিবার্য নিয়তি দেশের মানুষের। গণপরিবহনের সংকট, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ, স্বাভাবিকের তুলনায় তিন-চার-পাঁচগুণ ভাড়া গুনতে বাধ্য হওয়া এমনকি দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াও মানুষকে কষ্টকর এই ঈদযাত্রা থেকে বিরত রাখতে পারে না। এমনকি এই প্রাণঘাতী করোনা মহামারির কালেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি।

সড়ক-মহাসড়কে যান চলাচল নির্বিঘœ হবেÑএটাই প্রত্যাশিত। দুঃখজনক হলো, এ নিয়ম বাস্তবে দেশের কোথাও পরিলক্ষিত হয় না। রাস্তার ওপর ও ফুটপাতে দোকানপাট, অপরিকল্পিত ট্রাফিক ব্যবস্থা ও ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি, খেয়ালখুশি মতো যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, মহাসড়কের ওপর ম্যাক্সি-টেম্পোস্ট্যান্ডসহ রাস্তার মাঝখানে ডাস্টবিন ও হাটবাজার স্থাপন করে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করে রাখা হয়। ফলে ঈদের সময় বাড়তি মানুষের চাপে সড়কপথগুলো স্থবির হয়ে পড়ে।

সড়ক-মহাসড়কগুলো এবারও যাতে একই রূপ ধারণ না করে, সেজন্য আগে থেকেই পদক্ষেপ নেয়া উচিত। ঈদের সময় অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের কারণে নৌপথে দুর্ঘটনা ঘটে। সুষ্ঠু তদারকির অভাব ও কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর কারসাজিতে বছরের পর বছর ধরে নৌপথে বিদ্যমান এ অনিয়মের দায় শোধ করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, নিজেদের জীবনের বিনিময়ে।

আর কে চৌধুরী