সেতুর মাঝে গর্ত! ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল

নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক-ছাতিয়াইন আঞ্চলিক সড়কে ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুড়া গ্রামের একটি সেতু ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি জেনেও এ সেতুর দিয়েই মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় এক মাস ধরে সেতুটির এক পাশে ভেঙ্গে গর্ত হয়ে গেছে। রাতে এই সেতুতে চলাচল করা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত সেতুটি সংস্কার না করলে যেকোন সময় বড় দুর্ঘটনার ঘটতে পারে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা অফিস বলছে, সেতুটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নেই। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির ওপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ইট ও মাটিবোঝাই ট্রাক, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ, রিকশা, ভ্যানসহ মানুষ চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সেতু দিয়ে আতুকুড়া গ্রামের লোকজন আতুকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী যাতায়াত করে। তাছাড়া মাটি ও বালু বোঝাই অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক্টর ও যান চলাচল করে এই সেতুতে। সেতুটি যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। তাই সেতুটি দ্রুত মেরামত করা দরকার। আতুকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাজমুল হুদা জানান, সেতুটি ব্যবহার করে নাসিরনগর উপজেলা থেকে হবিগঞ্জ, সিলেট, শ্রীমঙ্গল ও সুনামগঞ্জ যাতায়াত করে এখানকার মানুষ। মাঝেমধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হলে এ সড়ক ব্যবহার করে মানুষ প্রয়োজনীয় গন্তব্যে যায়। তাই সেতুটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।

ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক বলেন, সেতুতে গর্ত হওয়ার বিষয়টি আমাদের এলাকার সবাই জানেন। বিষয়টি আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, আতুকুড়া গ্রামের কাছে একটি সেতুতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সেতুটি সংস্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নেই। আমরা সরেজমিন সেতুটি দেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।

রবিবার, ০১ মে ২০২২ , ১৮ বৈশাখ ১৪২৮ ২৯ রমাদ্বান ১৪৪৩

সেতুর মাঝে গর্ত! ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল

প্রতিনিধি, নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

image

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : আতুকুড়া গ্রামে গর্ত সৃষ্টি হওয়া সেতু -সংবাদ

নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক-ছাতিয়াইন আঞ্চলিক সড়কে ফান্দাউক ইউনিয়নের আতুকুড়া গ্রামের একটি সেতু ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মারাত্মক ঝুঁকি জেনেও এ সেতুর দিয়েই মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় এক মাস ধরে সেতুটির এক পাশে ভেঙ্গে গর্ত হয়ে গেছে। রাতে এই সেতুতে চলাচল করা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত সেতুটি সংস্কার না করলে যেকোন সময় বড় দুর্ঘটনার ঘটতে পারে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা অফিস বলছে, সেতুটি সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নেই। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেতুটি সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির ওপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে ইট ও মাটিবোঝাই ট্রাক, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ, রিকশা, ভ্যানসহ মানুষ চলাচল করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই সেতু দিয়ে আতুকুড়া গ্রামের লোকজন আতুকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফান্দাউক পন্ডিতরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী যাতায়াত করে। তাছাড়া মাটি ও বালু বোঝাই অতিরিক্ত ওজনের ট্রাক্টর ও যান চলাচল করে এই সেতুতে। সেতুটি যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। তাই সেতুটি দ্রুত মেরামত করা দরকার। আতুকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাজমুল হুদা জানান, সেতুটি ব্যবহার করে নাসিরনগর উপজেলা থেকে হবিগঞ্জ, সিলেট, শ্রীমঙ্গল ও সুনামগঞ্জ যাতায়াত করে এখানকার মানুষ। মাঝেমধ্যে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হলে এ সড়ক ব্যবহার করে মানুষ প্রয়োজনীয় গন্তব্যে যায়। তাই সেতুটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।

ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামান ফারুক বলেন, সেতুতে গর্ত হওয়ার বিষয়টি আমাদের এলাকার সবাই জানেন। বিষয়টি আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।’

এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, আতুকুড়া গ্রামের কাছে একটি সেতুতে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। সেতুটি সংস্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নেই। আমরা সরেজমিন সেতুটি দেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।