৩০০ কোটি নিট মুনাফার রেকর্ড গড়লো জনতা ব্যাংক

আগের প্রায় সব সংকটকে অতিক্রম করে জনতা ব্যাংকের সব সূচক এখন ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে। ব্যাংক খাত বিশ্লেষকদের মতে এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে ব্যাংকটি আবার আগের অবস্থানে ফিরে যাবে ব্যাংকটি। ২০২১ সালের ব্যাংকের অনুমোদিত চূড়ান্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, জনতা ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকার বেশি নিট মুনাফা অর্জন করেছে যা ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবার নিট মুনাফায় এ রেকর্ড গড়ল। এছাড়া ব্যাংকের অপারেটিং প্রফিট (পরিচালন মুনাফা) এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২০১২ সালের পর অপারেটিং প্রফিটে আবার ব্যাংকটি এ অবস্থান ফিরে পেয়েছে। ব্যাংকের লোকসানি ৫১টি শাখা থেকে কমে এখন ৩৯টি শাখায় দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালে ব্যাংকটির ইপিএস যেখানে ছিল শতকরা ০.৬২ ভাগ ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৯৮ ভাগ। শ্রেণীকৃত ঋণ হ্রাসে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখিয়েছে জনতা ব্যাংক। গত বছরের চেয়ে শ্রেণীকৃত ঋণ শতকরা ৫ দশমিক ০৮ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। ১৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা থেকে এখন ব্যাংকটির মোট শ্রেণীকৃত ঋণ ১২ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

ব্যাংকটির মোট আমানত বেড়ে এখন ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এছাড়া অ্যাডভান্স, রপ্তানি, স্প্রেড এবং ইল্ড অব অ্যাডভান্স (ঋণ থেকে আয়) বৃদ্ধি এবং কস্ট অব ফান্ড হ্রাস পেয়েছে। ব্যাংকের অন্য সূচকগুলোতেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। গত শনিবার এসব বিষয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

শনিবার, ০৭ মে ২০২২ , ২৩ বৈশাখ ১৪২৮ ০৪ শাওয়াল ১৪৪৩

৩০০ কোটি নিট মুনাফার রেকর্ড গড়লো জনতা ব্যাংক

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

image

আগের প্রায় সব সংকটকে অতিক্রম করে জনতা ব্যাংকের সব সূচক এখন ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে। ব্যাংক খাত বিশ্লেষকদের মতে এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে ব্যাংকটি আবার আগের অবস্থানে ফিরে যাবে ব্যাংকটি। ২০২১ সালের ব্যাংকের অনুমোদিত চূড়ান্ত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, জনতা ব্যাংক ৩০০ কোটি টাকার বেশি নিট মুনাফা অর্জন করেছে যা ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার পর প্রথমবার নিট মুনাফায় এ রেকর্ড গড়ল। এছাড়া ব্যাংকের অপারেটিং প্রফিট (পরিচালন মুনাফা) এক হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ২০১২ সালের পর অপারেটিং প্রফিটে আবার ব্যাংকটি এ অবস্থান ফিরে পেয়েছে। ব্যাংকের লোকসানি ৫১টি শাখা থেকে কমে এখন ৩৯টি শাখায় দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালে ব্যাংকটির ইপিএস যেখানে ছিল শতকরা ০.৬২ ভাগ ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২.৯৮ ভাগ। শ্রেণীকৃত ঋণ হ্রাসে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখিয়েছে জনতা ব্যাংক। গত বছরের চেয়ে শ্রেণীকৃত ঋণ শতকরা ৫ দশমিক ০৮ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। ১৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা থেকে এখন ব্যাংকটির মোট শ্রেণীকৃত ঋণ ১২ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

ব্যাংকটির মোট আমানত বেড়ে এখন ১ লাখ ২ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এছাড়া অ্যাডভান্স, রপ্তানি, স্প্রেড এবং ইল্ড অব অ্যাডভান্স (ঋণ থেকে আয়) বৃদ্ধি এবং কস্ট অব ফান্ড হ্রাস পেয়েছে। ব্যাংকের অন্য সূচকগুলোতেও উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। গত শনিবার এসব বিষয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়।