সংকট কাটেনি সয়াবিন তেলের পুরনো তেলে নিচ্ছে বাড়তি দাম

গতকাল সয়াবিন তেল কিনতে সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার যান পুরানা পল্টনের বাসিন্দা আলামিন কবীর। তার ধারণা, সম্প্রতি দাম বাড়ানো হয়েছে, আগে তেল না কিনলে দাম হয়ত আরও বেড়ে যাবে। এমনও হতে পারে তেল পাওয়াও যেতে না পারে। কিন্তু গতকালই তিনি বাজারে তেল সংকট দেখতে পান। বাজার ঘুরে কোন দোকানে তিনি তেল পাননি। শুধু আলামিনই নয়, এমন চিত্র গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে অনেকেই দেখেছেন। এদের কেউ তেল পাননি, আবার কেউ তেল পেলেও বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে। এছাড়া অন্য কাঁচাপণ্যের বাজারে দেখা যায়, ঈদের পর চতুর্থ দিনে সবজি ও মুরগির দাম বেড়েছে।

ঈদের আগেই বাজারে তেল সংকট ছিল। ঈদের পর এই অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি দাম লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ানোর পরও দোকানে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বোতলে নতুন দাম লাগানো স্টিকার সাঁটানো তেল এখনও আসেনি। যেসব দোকানে তেল আছে, তাতে আগের গায়ের দাম লেখা। কিন্তু তারা দাম নিচ্ছেন নতুন দরে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। এই কয়েক দিনে বোতলের গায়ে লেখা বেশি দামের তেল আসতে শুরু করবে। অন্যদিকে ভোক্তারা অভিযোগ করছেন, যে তেলগুলো আগে বাজারজাত করা হয়েছে সেগুলো কেন নতুন বাড়তি দামে কিনতে হবে? সেগুলো তো আগের দামে পাওয়ার কথা।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরেই বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী আর বাংলাদেশ তার চাহিদার সিংহভাগ তেলই আমদানি করে থাকে। ফেব্রুয়ারির শেষে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর সরবরাহ পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। এর মধ্যে পাম তেলের বড় সরবরাহকারী ইন্দোনেশিয়া তেল রপ্তানির সিদ্ধান্ত স্থগিতের কথা জানালে বাজার আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়।

ঈদের আগে আমদানিতে ৫ শতাংশ রেখে ভোজ্যতেলে সব ধরনের ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রত্যাহারের পর তেলের দাম লিটারে কমানো হয়েছিল ৮ টাকা। তবে ঈদ শেষে প্রথম কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বোতলজাত তেল লিটারে ৩৮ টাকা আর খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানোর কথা জানানো হয়।

বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে মিলমালিকদের বৈঠকের পর এই বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৮ ও খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে। এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮৫ টাকা। একই সঙ্গে প্রতি লিটার পাম অয়েল বিক্রি হবে ১৭২ টাকায়। এর আগে গত ২১ মার্চ বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে ১৬০ টাকা আর খোলা তেল ১৩৬ টাকা ঠিক করা হয়।

সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৮০ টাকা। ২০২১ সালের ৫ মে বোতলজাত সয়াবিনের দাম ছিল ১১৮ টাকা।

ঈদের আগে তেলের তীব্র সংকট দেখা দেয়। তখন খুচরা বিক্রেতারা কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে না বলে অভিযোগ করছিলেন। আর তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বলেছিল, ঈদের পর তেলের দাম বাড়তে পারে, এ জন্য খুচরা বিক্রেতারা তেল মজুদ করছেন। কিন্তু দাম বাড়ার ঘোষণার পরও বাজারে তেলের সরবরাহ সংকট কাটেনি। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে তেল পাওয়া যায়নি। সরিষা তেল থাকলেও দাম চড়া। এক লিটার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকায়। কারওয়ান বাজারেও সয়াবিন তেলের দেখা নেই বললেই চলে। দু-একটি দোকানে আগের কিছু তেল আছে। সেটা বিক্রি করছেন নতুন দামে। তবে গায়ে লেখা আগের দাম। কিছু দোকানে ধানের কুঁড়ার তেল বা রাইস ব্রান ও সানফ্লাওয়ার অয়েল পাওয়া গেছে।

পাঁচ লিটারের বোতলজাত সানফ্লাওয়ারের দাম ১ হাজার ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে, যা ঈদের আগের দিনেই পাওয়া গেছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। অর্থাৎ সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর সানফ্লাওয়ারের দামও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পাঁচ লিটারের রাইস ব্রান অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৯৬৫ টাকায়। ঈদের আগে এই তেল পাওয়া গেছে ৯০০ টাকায়। কারওয়ান বাজারে বোতলের গায়ের চেয়ে কিছুটা কমে তেল পাওয়া যায়। তবে এখন দোকানিরা সেভাবে কমাতে চাইছেন না।

এছাড়া ঈদের চতুর্থ দিনে বাজারে দাম বেড়েছে সবজি ও মুরগির। এখনও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। এসব বাজারে শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১০০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বরবটির কেজি ৬০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা, মটরশুঁটির কেজি ১২০ টাকা।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। পেঁয়াজও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি।

বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৮০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়া এসব বাজারে দেশি মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা।

বাজারে আগের দামের ডিম বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা। এসব বাজারে হাঁসের ডিম ও দেশি মুরগির ডিমের সরবরাহ নেই। বাজারে ঈদের সময়ের দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা। লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেই দাম ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।

শনিবার, ০৭ মে ২০২২ , ২৩ বৈশাখ ১৪২৮ ০৪ শাওয়াল ১৪৪৩

সংকট কাটেনি সয়াবিন তেলের পুরনো তেলে নিচ্ছে বাড়তি দাম

অর্থনৈতিক বার্তা পরিবেশক

গতকাল সয়াবিন তেল কিনতে সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার যান পুরানা পল্টনের বাসিন্দা আলামিন কবীর। তার ধারণা, সম্প্রতি দাম বাড়ানো হয়েছে, আগে তেল না কিনলে দাম হয়ত আরও বেড়ে যাবে। এমনও হতে পারে তেল পাওয়াও যেতে না পারে। কিন্তু গতকালই তিনি বাজারে তেল সংকট দেখতে পান। বাজার ঘুরে কোন দোকানে তিনি তেল পাননি। শুধু আলামিনই নয়, এমন চিত্র গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে অনেকেই দেখেছেন। এদের কেউ তেল পাননি, আবার কেউ তেল পেলেও বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে। এছাড়া অন্য কাঁচাপণ্যের বাজারে দেখা যায়, ঈদের পর চতুর্থ দিনে সবজি ও মুরগির দাম বেড়েছে।

ঈদের আগেই বাজারে তেল সংকট ছিল। ঈদের পর এই অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। সম্প্রতি দাম লিটারে ৩৮ টাকা বাড়ানোর পরও দোকানে তেল পাওয়া যাচ্ছে না। দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার পর বোতলে নতুন দাম লাগানো স্টিকার সাঁটানো তেল এখনও আসেনি। যেসব দোকানে তেল আছে, তাতে আগের গায়ের দাম লেখা। কিন্তু তারা দাম নিচ্ছেন নতুন দরে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক হতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে। এই কয়েক দিনে বোতলের গায়ে লেখা বেশি দামের তেল আসতে শুরু করবে। অন্যদিকে ভোক্তারা অভিযোগ করছেন, যে তেলগুলো আগে বাজারজাত করা হয়েছে সেগুলো কেন নতুন বাড়তি দামে কিনতে হবে? সেগুলো তো আগের দামে পাওয়ার কথা।

এক বছরেরও বেশি সময় ধরেই বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী আর বাংলাদেশ তার চাহিদার সিংহভাগ তেলই আমদানি করে থাকে। ফেব্রুয়ারির শেষে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর সরবরাহ পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। এর মধ্যে পাম তেলের বড় সরবরাহকারী ইন্দোনেশিয়া তেল রপ্তানির সিদ্ধান্ত স্থগিতের কথা জানালে বাজার আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়।

ঈদের আগে আমদানিতে ৫ শতাংশ রেখে ভোজ্যতেলে সব ধরনের ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রত্যাহারের পর তেলের দাম লিটারে কমানো হয়েছিল ৮ টাকা। তবে ঈদ শেষে প্রথম কর্মদিবস বৃহস্পতিবার বোতলজাত তেল লিটারে ৩৮ টাকা আর খোলা সয়াবিন তেল লিটারে ৪৪ টাকা বাড়ানোর কথা জানানো হয়।

বাণিজ্য সচিবের সঙ্গে মিলমালিকদের বৈঠকের পর এই বিজ্ঞপ্তি দেয় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স ও বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। নতুন নির্ধারিত দাম অনুযায়ী, ভোক্তাপর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৮ ও খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮০ টাকায় বিক্রি হবে। এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৮৫ টাকা। একই সঙ্গে প্রতি লিটার পাম অয়েল বিক্রি হবে ১৭২ টাকায়। এর আগে গত ২১ মার্চ বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে ১৬০ টাকা আর খোলা তেল ১৩৬ টাকা ঠিক করা হয়।

সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অফ বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৮০ টাকা। ২০২১ সালের ৫ মে বোতলজাত সয়াবিনের দাম ছিল ১১৮ টাকা।

ঈদের আগে তেলের তীব্র সংকট দেখা দেয়। তখন খুচরা বিক্রেতারা কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে না বলে অভিযোগ করছিলেন। আর তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বলেছিল, ঈদের পর তেলের দাম বাড়তে পারে, এ জন্য খুচরা বিক্রেতারা তেল মজুদ করছেন। কিন্তু দাম বাড়ার ঘোষণার পরও বাজারে তেলের সরবরাহ সংকট কাটেনি। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে তেল পাওয়া যায়নি। সরিষা তেল থাকলেও দাম চড়া। এক লিটার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকায়। কারওয়ান বাজারেও সয়াবিন তেলের দেখা নেই বললেই চলে। দু-একটি দোকানে আগের কিছু তেল আছে। সেটা বিক্রি করছেন নতুন দামে। তবে গায়ে লেখা আগের দাম। কিছু দোকানে ধানের কুঁড়ার তেল বা রাইস ব্রান ও সানফ্লাওয়ার অয়েল পাওয়া গেছে।

পাঁচ লিটারের বোতলজাত সানফ্লাওয়ারের দাম ১ হাজার ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে, যা ঈদের আগের দিনেই পাওয়া গেছে ১ হাজার ২০০ টাকায়। অর্থাৎ সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর সানফ্লাওয়ারের দামও বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পাঁচ লিটারের রাইস ব্রান অয়েল বিক্রি হচ্ছে ৯৬৫ টাকায়। ঈদের আগে এই তেল পাওয়া গেছে ৯০০ টাকায়। কারওয়ান বাজারে বোতলের গায়ের চেয়ে কিছুটা কমে তেল পাওয়া যায়। তবে এখন দোকানিরা সেভাবে কমাতে চাইছেন না।

এছাড়া ঈদের চতুর্থ দিনে বাজারে দাম বেড়েছে সবজি ও মুরগির। এখনও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। এসব বাজারে শসা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ১০০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বরবটির কেজি ৬০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা, মটরশুঁটির কেজি ১২০ টাকা।

এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা। এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। পেঁয়াজও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি।

বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৮০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়া এসব বাজারে দেশি মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা।

বাজারে আগের দামের ডিম বিক্রি হচ্ছে। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ টাকা। এসব বাজারে হাঁসের ডিম ও দেশি মুরগির ডিমের সরবরাহ নেই। বাজারে ঈদের সময়ের দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা। লেয়ার মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেই দাম ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়।