দেশে উন্মোচিত হলো পরিবেশবান্ধব ই-সিম

গত ২৫ এপ্রিল থেকে নির্দিষ্ট গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে ই-সিম (এমবেডেড সিম) নিতে পারছেন গ্রাহকরা। দেশের বাজারে ই-সিমের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “এ ধরনের উন্নত ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত। ই-সিম উন্মোচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব কানেক্টিভিটির নতুন যুগের সূচনায় আমাদের সহায়তা করার জন্য আমি বিটিআরসি, এনবিআর, গ্রামীণফোনে আমার সহকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনদের ধন্যবাদ জানাই।”

গ্রামীণফোনের নতুন ই-সিম সংযোগ পেতে হলে ক্রেতাদের ই-সিম সমর্থন করে এমন ডিভাইস নিয়ে গ্রামীণফোনের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) এবং নির্ধারিত গ্রামীণফোন সেন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করে ই-সিমের জন্য অনুরোধ করতে হবে। সিম কেনার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, গ্রামীণফোনের অনলাইন শপের মাধ্যমেও ই-সিমের জন্য অনুরোধ করা যাবে। আগ্রহী ক্রেতারা জিপি হ্উাস এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার, জিপিসি লাউঞ্জ গুলশান, জিপিসি লাউঞ্জ জিইসি-চট্টগ্রাম, জিপি অনলাইন শপ, মতিঝিল জিপিসি, ফার্মগেট জিপিসি, বসুন্ধরা সিটি জিপিসি, ঢাকা বিমানবন্দর জিপিসি, উত্তরা জসিমউদ্দীন রোড জিপিসি, সীমান্ত স্কয়ার জিপিসি, ধানমন্ডি ও সিলেট করিমুল্লাহ মার্কেট জিপিসি থেকে ই-সিম সংযোগ নিতে পারবেন। ই-সিমের ক্ষেত্রে নতুন সংযোগের মূল্য ২০০ টাকা এবং প্লাস্টিক সিম থেকে ই-সিম কিংবা ই-সিম থেকে ই-সিমে রিপ্লেসমেন্ট ফি ৯৯ টাকা।

ই-সিম সমর্থন করে এমন ডিভাইসে থাকা ক্যামেরা দিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করে ই-সিম সক্রিয় করতে ইন্টারনেট সংযোগ (মোবাইল ডাটা অথবা ওয়াইফাই) চালু করতে হবে।

অনেক নেটওয়ার্ক এবং নম্বর একটি ই-সিমে সংযুক্ত করা যাবে; তবে, এটি নির্ভর করবে হ্যান্ডসেটের ওপর। এর মাধ্যমে বিশ^জুড়েই নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি সেবা নিশিচত হবে। গ্রাহকরা ই-সিমে একাধিক নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন, যা ভ্রমণকারীদের জন্য আরো স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসবে। সল্যুশনটি যেহেতু ডিভাইসের সঙ্গে এমবেড করা থাকবে, তাই এক্ষেত্রে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কিছু করার প্রয়োজন হবে না। ব্যবহারকারীদের তথ্য ডিজিটাল ফরম্যাটে স্টোর করা থাকবে বলে ই-সিম উন্নত নিরাপত্তা প্রদান করেবে। অপ্টিমাইজেশনের যুগে, ই-সিম প্রচলিত সিম কার্ড ও ট্রে’র ধারণাকে অকার্যকর করে ফেলবে। ফলে, এর মাধ্যমে অবশিষ্ট জায়গায় ফোনের ব্যাটারির আকার বৃদ্ধি করা যাবে কিংবা হ্যান্ডসেটে আরো ফিচার যুক্ত করা যাবে। ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে বলে সিম কার্ড হারিয়ে যাওয়ার কোনো ঝুঁকিই থাকবে না; একইসঙ্গে সিম পিনের ঝামেলা থেকেও গ্রাহকরা রক্ষা পাবেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

শনিবার, ০৭ মে ২০২২ , ২৩ বৈশাখ ১৪২৮ ০৪ শাওয়াল ১৪৪৩

দেশে উন্মোচিত হলো পরিবেশবান্ধব ই-সিম

image

গত ২৫ এপ্রিল থেকে নির্দিষ্ট গ্রামীণফোন সেন্টার থেকে ই-সিম (এমবেডেড সিম) নিতে পারছেন গ্রাহকরা। দেশের বাজারে ই-সিমের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “এ ধরনের উন্নত ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পেরে আমরা আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত। ই-সিম উন্মোচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে পরিবেশবান্ধব কানেক্টিভিটির নতুন যুগের সূচনায় আমাদের সহায়তা করার জন্য আমি বিটিআরসি, এনবিআর, গ্রামীণফোনে আমার সহকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনদের ধন্যবাদ জানাই।”

গ্রামীণফোনের নতুন ই-সিম সংযোগ পেতে হলে ক্রেতাদের ই-সিম সমর্থন করে এমন ডিভাইস নিয়ে গ্রামীণফোনের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার (ঢাকা ও চট্টগ্রাম) এবং নির্ধারিত গ্রামীণফোন সেন্টারে গিয়ে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়া শেষ করে ই-সিমের জন্য অনুরোধ করতে হবে। সিম কেনার প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, গ্রামীণফোনের অনলাইন শপের মাধ্যমেও ই-সিমের জন্য অনুরোধ করা যাবে। আগ্রহী ক্রেতারা জিপি হ্উাস এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার, জিপিসি লাউঞ্জ গুলশান, জিপিসি লাউঞ্জ জিইসি-চট্টগ্রাম, জিপি অনলাইন শপ, মতিঝিল জিপিসি, ফার্মগেট জিপিসি, বসুন্ধরা সিটি জিপিসি, ঢাকা বিমানবন্দর জিপিসি, উত্তরা জসিমউদ্দীন রোড জিপিসি, সীমান্ত স্কয়ার জিপিসি, ধানমন্ডি ও সিলেট করিমুল্লাহ মার্কেট জিপিসি থেকে ই-সিম সংযোগ নিতে পারবেন। ই-সিমের ক্ষেত্রে নতুন সংযোগের মূল্য ২০০ টাকা এবং প্লাস্টিক সিম থেকে ই-সিম কিংবা ই-সিম থেকে ই-সিমে রিপ্লেসমেন্ট ফি ৯৯ টাকা।

ই-সিম সমর্থন করে এমন ডিভাইসে থাকা ক্যামেরা দিয়ে কিউআর কোড স্ক্যান করে ই-সিম সক্রিয় করতে ইন্টারনেট সংযোগ (মোবাইল ডাটা অথবা ওয়াইফাই) চালু করতে হবে।

অনেক নেটওয়ার্ক এবং নম্বর একটি ই-সিমে সংযুক্ত করা যাবে; তবে, এটি নির্ভর করবে হ্যান্ডসেটের ওপর। এর মাধ্যমে বিশ^জুড়েই নিরবচ্ছিন্ন কানেক্টিভিটি সেবা নিশিচত হবে। গ্রাহকরা ই-সিমে একাধিক নম্বর ব্যবহার করতে পারবেন, যা ভ্রমণকারীদের জন্য আরো স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে আসবে। সল্যুশনটি যেহেতু ডিভাইসের সঙ্গে এমবেড করা থাকবে, তাই এক্ষেত্রে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কিছু করার প্রয়োজন হবে না। ব্যবহারকারীদের তথ্য ডিজিটাল ফরম্যাটে স্টোর করা থাকবে বলে ই-সিম উন্নত নিরাপত্তা প্রদান করেবে। অপ্টিমাইজেশনের যুগে, ই-সিম প্রচলিত সিম কার্ড ও ট্রে’র ধারণাকে অকার্যকর করে ফেলবে। ফলে, এর মাধ্যমে অবশিষ্ট জায়গায় ফোনের ব্যাটারির আকার বৃদ্ধি করা যাবে কিংবা হ্যান্ডসেটে আরো ফিচার যুক্ত করা যাবে। ডিভাইসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে বলে সিম কার্ড হারিয়ে যাওয়ার কোনো ঝুঁকিই থাকবে না; একইসঙ্গে সিম পিনের ঝামেলা থেকেও গ্রাহকরা রক্ষা পাবেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।