ঢাকায় ফিরছেন নগরবাসী

ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় নৌপথে অতিরিক্ত বোঝাই

ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছেন নগরবাসী। আন্তঃনগর ট্রেনের কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় হলেও স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরছেন রেলপথের যাত্রীরা। অতিরিক্ত বোঝাই এবং ফেরিঘাটের দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে নৌ ও সড়ক পথের যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।

গতকাল রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘুরে দেখা গেছে, দু’একটি ছাড়া প্রতিটি ট্রেন যথা সময়ে স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার ট্রেনে ঈদযাত্রা সন্তোষজনক ছিল বলে জানিয়েছেন ট্রেন যাত্রীরা। টিকেট পেতে একটু ঝামেলা হলেও ঈদে ঢাকার বাইরে যাতায়াতে কোনধরনের সমস্যা হয়নি, এমন মন্তব্য ঈদ শেষে ট্রেনে ঢাকা ফেরা যাত্রীদের।

রাজশাহী থেকে ঢাকায় আশরাফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, ‘সিল্ক সিটিতে করে রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসলাম। এবার ঈদযাত্রা ভালো ছিল। অন্য বছরের তুলনায় ট্রেন সার্ভিসের গতি বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে।’

ট্রেন কিছুটি বিলম্বিত হলেও যাত্রাপথে বিশেষ কোন অসুবিধা হয়নি বলে জানান হাওর এক্সপ্রেসে করে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় আসা আকতার হোসেন নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, ‘ট্রেনটি ঢাকায় আসতে ২৫ মিনিট লেট ছিল। এছাড়া ট্রেনের ভেতরে বেশ গরম ছিল। যাত্রাপথে বিরতিও ছিল বেশি।’ তবে এবার তেমন ঠেলাঠেলি করতে হয়নি বলে জানান তিনি।’

সরিষাবাড়ী থেকে ট্রেনে ঢাকা আসা সাইদুর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘অনেক কষ্ট হলেও ঈদের একদিন আগে বাড়ি গিয়েছিলাম। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। কোন উপায় নেই, তাই আজই চলে আসতে হলো পরিবার নিয়ে। কাল থেকে অফিস শুরু। ফিরতি পথে ট্রেনের টিকেট পেতে এবং আসতে কোন ভোগান্তি হয়নি। খুব সুন্দরভাবে আসতে পেরেছি। আরও কিছুদিন আব্বা-আম্মার সঙ্গে থাকতে পারলে বেশি ভালো লাগতো নৌ-পথে লঞ্চে ছিল অতিরিক্ত বোঝাই

ঢাকায় আসার প্রতিটি লঞ্চ ছিল যাত্রীদের অতিরিক্ত বোঝাই। গতকাল সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ছিল ঢাকামুখী মানুষের প্রচ- চাপ। গতকাল ভোর রাত ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৯৫টি লঞ্চটি ঢাকায় এসেছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক (নৌ-টা) মো. সেলিম রেজা। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় আসার প্রতিটি লঞ্চ ছিল যাত্রী বোঝাই। ভোর রাত ৪টা থেকে লঞ্চ ঢাকায় আসা শুরু হয়। ঢাকামুখী যাত্রীদের কিছুটা চাপ আছে।’ শনি ও রোববার যাত্রীদের আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

গতকাল বরিশাল থেকে ঢাকায় আসা শফিকুল ইসলাম নামের এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, ‘তিন তলা লঞ্চের প্রতিটি তলা ছিল যাত্রী বোঝাই। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা প্রতিটি লঞ্চে। এক্ষেত্রে কোন তদারকি নেই। লঞ্চে যাত্রী উঠার আগেই টিকেট কাটার পদ্ধতি চালু হলে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা কিছুটা বুঝা যেত। তাহলে এত গাদাগাদি করে যাত্রী তুলতে পারতো লঞ্চ মালিকরা।’

ফেরিঘাটে ছিল উপচেপড়া ভিড়

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরিঘাট দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করে। তাই গতকাল ভোর থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে ছিল ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি সংকটের কারণে দীর্ঘ সময় ঘাটে অপেক্ষা করতে দেখা তাদের। ভ্যাপসা গরম ও পরিবহন সংকটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদের। এই সুযোগ দুই-তিনগুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছে যাত্রীরা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসসহ নানা যানবাহনে চেপে বাংলাবাজার ঘাটে আসতে দেখা গেছে যাত্রীদের। যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী নামিয়ে দিয়েই প্রায় যাত্রীশূন্য লঞ্চ ও স্পিডবোট বাংলাবাজার ঘাটে আসতে দেখা গেছে। ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীপূর্ণ হয়ে যায় প্রতিটি লঞ্চ ও স্পিডবোট। লঞ্চগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানায়, গতকাল ভোর থেকেই লঞ্চ, স্পিডবোটের ঘাটে যাত্রীদের প্রচ- চাপ তৈরি হয়েছে। ফেরিঘাটে রয়েছে ব্যক্তিগত যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এছাড়া মাঝিরকান্দি ঘাটেও অসংখ্য যানবাহনের চাপ রয়েছে। দুই ঘাট মিলিয়ে নৌপথে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের বাড়তি চাপ থাকায় ঘাট এলাকায় ফেরিতে উঠতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, পিকআপ, অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি প্রচুরসংখ্যক মোটরসাইকেল ফেরি পারাপার করছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে কে টাইপ ফেরি কুমিল্লা, কুঞ্জলতা, ক্যামেলিয়া, বেগম সুফিয়া কামাল, রো রো ফেরি বেগম রোকেয়া, এনায়েতপুরিসহ মোট ৬টি ফেরি ২৪ ঘণ্টা চলছে। এছাড়া দুটি ফ্ল্যাট ফেরিসহ ৪টি ফেরি শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি ঘাট দিয়ে চলাচল করছে। ফেরি কম থাকায় ঘাট এলাকায় যানবাহনের বেশ চাপ তৈরি হয়েছে। সিরিয়ালে দুই থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত আটকে থাকতে হচ্ছে বলে চালকরা জানান। ঢাকাগামী ব্যক্তিগত গাড়িরচালক মো. জসিম বলেন, ‘ঘাটে বেশ চাপ। সবাই একসঙ্গে যাচ্ছে। ফেরি কম থাকায় দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হচ্ছে।’

এই নৌপথে লঞ্চে যাত্রীদের চাপ ছিল সবচেয়ে বেশি। লঞ্চগুলোর ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী পারাপারে বিআইডব্লিউটিএ এবং উপজেলা প্রশাসন ঘাটে থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। স্পিডবোটে ছিল যাত্রী বোঝাই। সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা স্পিডবোটে উঠতে দেখা গেছে। তবে লঞ্চ ও স্পিডবোটে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে ঘাটে যানবাহনের চাপ থাকা স্বাভাবিক। তবে যাত্রীদের যাতে ভোগান্তি না হয়, সেদিক বিবেচনা করে সিরিয়াল মেনে ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। রাত-দিন ফেরি চলছে।’

শিমুলিয়া ঘাটের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ঈদ শেষে শিমুলিয়া ঘাটেও ছিল ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। কর্মস্থলে যোগ দিতে মানুষ ব্যক্তিগত যানবাহনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকার দিকে যেতে দেখা গেছে। বেশি চাপ ছিল লঞ্চ ও স্পিডবোটে। শনিবার থেকে এ চাপ আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

শনিবার, ০৭ মে ২০২২ , ২৩ বৈশাখ ১৪২৮ ০৪ শাওয়াল ১৪৪৩

ঢাকায় ফিরছেন নগরবাসী

ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় নৌপথে অতিরিক্ত বোঝাই

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

image

ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছেন নগরবাসী। আন্তঃনগর ট্রেনের কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় হলেও স্বস্তিতে ঢাকায় ফিরছেন রেলপথের যাত্রীরা। অতিরিক্ত বোঝাই এবং ফেরিঘাটের দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে নৌ ও সড়ক পথের যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।

গতকাল রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঘুরে দেখা গেছে, দু’একটি ছাড়া প্রতিটি ট্রেন যথা সময়ে স্টেশনে এসে পৌঁছেছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার ট্রেনে ঈদযাত্রা সন্তোষজনক ছিল বলে জানিয়েছেন ট্রেন যাত্রীরা। টিকেট পেতে একটু ঝামেলা হলেও ঈদে ঢাকার বাইরে যাতায়াতে কোনধরনের সমস্যা হয়নি, এমন মন্তব্য ঈদ শেষে ট্রেনে ঢাকা ফেরা যাত্রীদের।

রাজশাহী থেকে ঢাকায় আশরাফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, ‘সিল্ক সিটিতে করে রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসলাম। এবার ঈদযাত্রা ভালো ছিল। অন্য বছরের তুলনায় ট্রেন সার্ভিসের গতি বেড়েছে বলে মনে হচ্ছে।’

ট্রেন কিছুটি বিলম্বিত হলেও যাত্রাপথে বিশেষ কোন অসুবিধা হয়নি বলে জানান হাওর এক্সপ্রেসে করে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় আসা আকতার হোসেন নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, ‘ট্রেনটি ঢাকায় আসতে ২৫ মিনিট লেট ছিল। এছাড়া ট্রেনের ভেতরে বেশ গরম ছিল। যাত্রাপথে বিরতিও ছিল বেশি।’ তবে এবার তেমন ঠেলাঠেলি করতে হয়নি বলে জানান তিনি।’

সরিষাবাড়ী থেকে ট্রেনে ঢাকা আসা সাইদুর রহমান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘অনেক কষ্ট হলেও ঈদের একদিন আগে বাড়ি গিয়েছিলাম। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। কোন উপায় নেই, তাই আজই চলে আসতে হলো পরিবার নিয়ে। কাল থেকে অফিস শুরু। ফিরতি পথে ট্রেনের টিকেট পেতে এবং আসতে কোন ভোগান্তি হয়নি। খুব সুন্দরভাবে আসতে পেরেছি। আরও কিছুদিন আব্বা-আম্মার সঙ্গে থাকতে পারলে বেশি ভালো লাগতো নৌ-পথে লঞ্চে ছিল অতিরিক্ত বোঝাই

ঢাকায় আসার প্রতিটি লঞ্চ ছিল যাত্রীদের অতিরিক্ত বোঝাই। গতকাল সকালে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ছিল ঢাকামুখী মানুষের প্রচ- চাপ। গতকাল ভোর রাত ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৯৫টি লঞ্চটি ঢাকায় এসেছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক (নৌ-টা) মো. সেলিম রেজা। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় আসার প্রতিটি লঞ্চ ছিল যাত্রী বোঝাই। ভোর রাত ৪টা থেকে লঞ্চ ঢাকায় আসা শুরু হয়। ঢাকামুখী যাত্রীদের কিছুটা চাপ আছে।’ শনি ও রোববার যাত্রীদের আরও বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।

গতকাল বরিশাল থেকে ঢাকায় আসা শফিকুল ইসলাম নামের এক যাত্রী সংবাদকে বলেন, ‘তিন তলা লঞ্চের প্রতিটি তলা ছিল যাত্রী বোঝাই। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করা প্রতিটি লঞ্চে। এক্ষেত্রে কোন তদারকি নেই। লঞ্চে যাত্রী উঠার আগেই টিকেট কাটার পদ্ধতি চালু হলে যাত্রী ধারণ ক্ষমতা কিছুটা বুঝা যেত। তাহলে এত গাদাগাদি করে যাত্রী তুলতে পারতো লঞ্চ মালিকরা।’

ফেরিঘাটে ছিল উপচেপড়া ভিড়

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরিঘাট দিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ঢাকায় প্রবেশ করে। তাই গতকাল ভোর থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে ছিল ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি সংকটের কারণে দীর্ঘ সময় ঘাটে অপেক্ষা করতে দেখা তাদের। ভ্যাপসা গরম ও পরিবহন সংকটে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদের। এই সুযোগ দুই-তিনগুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছে যাত্রীরা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসসহ নানা যানবাহনে চেপে বাংলাবাজার ঘাটে আসতে দেখা গেছে যাত্রীদের। যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী নামিয়ে দিয়েই প্রায় যাত্রীশূন্য লঞ্চ ও স্পিডবোট বাংলাবাজার ঘাটে আসতে দেখা গেছে। ঘাটে আসার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীপূর্ণ হয়ে যায় প্রতিটি লঞ্চ ও স্পিডবোট। লঞ্চগুলোতে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানায়, গতকাল ভোর থেকেই লঞ্চ, স্পিডবোটের ঘাটে যাত্রীদের প্রচ- চাপ তৈরি হয়েছে। ফেরিঘাটে রয়েছে ব্যক্তিগত যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এছাড়া মাঝিরকান্দি ঘাটেও অসংখ্য যানবাহনের চাপ রয়েছে। দুই ঘাট মিলিয়ে নৌপথে ১০টি ফেরি চলাচল করছে। যানবাহনের বাড়তি চাপ থাকায় ঘাট এলাকায় ফেরিতে উঠতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, পিকআপ, অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি প্রচুরসংখ্যক মোটরসাইকেল ফেরি পারাপার করছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে কে টাইপ ফেরি কুমিল্লা, কুঞ্জলতা, ক্যামেলিয়া, বেগম সুফিয়া কামাল, রো রো ফেরি বেগম রোকেয়া, এনায়েতপুরিসহ মোট ৬টি ফেরি ২৪ ঘণ্টা চলছে। এছাড়া দুটি ফ্ল্যাট ফেরিসহ ৪টি ফেরি শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি ঘাট দিয়ে চলাচল করছে। ফেরি কম থাকায় ঘাট এলাকায় যানবাহনের বেশ চাপ তৈরি হয়েছে। সিরিয়ালে দুই থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত আটকে থাকতে হচ্ছে বলে চালকরা জানান। ঢাকাগামী ব্যক্তিগত গাড়িরচালক মো. জসিম বলেন, ‘ঘাটে বেশ চাপ। সবাই একসঙ্গে যাচ্ছে। ফেরি কম থাকায় দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হচ্ছে।’

এই নৌপথে লঞ্চে যাত্রীদের চাপ ছিল সবচেয়ে বেশি। লঞ্চগুলোর ধারণক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী পারাপারে বিআইডব্লিউটিএ এবং উপজেলা প্রশাসন ঘাটে থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। স্পিডবোটে ছিল যাত্রী বোঝাই। সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে যাত্রীরা স্পিডবোটে উঠতে দেখা গেছে। তবে লঞ্চ ও স্পিডবোটে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে ঘাটে যানবাহনের চাপ থাকা স্বাভাবিক। তবে যাত্রীদের যাতে ভোগান্তি না হয়, সেদিক বিবেচনা করে সিরিয়াল মেনে ফেরিতে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। রাত-দিন ফেরি চলছে।’

শিমুলিয়া ঘাটের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ঈদ শেষে শিমুলিয়া ঘাটেও ছিল ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। কর্মস্থলে যোগ দিতে মানুষ ব্যক্তিগত যানবাহনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ঢাকার দিকে যেতে দেখা গেছে। বেশি চাপ ছিল লঞ্চ ও স্পিডবোটে। শনিবার থেকে এ চাপ আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।