গভীর নিম্নচাপ কাল ঘূর্ণিঝড় আসানিতে রূপ নিতে পারে

দক্ষিণ আন্দামান সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নি¤œচাপে পরিণত হতে পারে। এই লঘুচাপ পর্যায়ক্রমে নি¤œচাপ থেকে গভীর নি¤œচাপে পরিণত হয়ে আগামীকাল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী, লঘুচাপটি আগামীকাল সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, তখন এটির নাম হবে ‘আসানি’। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামী ১০ মে রাতে ‘আসানি’ উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাবে। তবে এটি কিছুটা পূর্বদিকে দিক পরিবর্তন করে উপকূলে আঘাত হানতে পারে ১১ মে। যে গতিপথ ধরে লঘুচাপটি অগ্রসর হচ্ছে, এতে বাংলাদেশের উপকূলে আসানির আঘাত হানার সম্ভাবনা কম। এমনকি পশ্চিমবঙ্গে বড় ধরনের প্রভাব নাও পড়তে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস।

ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী আনন্দ কুমার দাস জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ গতি উঠতে পারে ১০০ কিলোমিটার। সাগর প্রচ- বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠবে বিধায় সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলে ফিরে আসতে হবে। এ সময় ভারী বৃষ্টিপাত হবে উড়িষ্যায়।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে পরবর্তী নিদের্শনা পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক সংবাদকে বলেন, ‘দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও পরিবর্তন হয়ে গভীর লঘুচাপে পরিণত হবে। এরপর নি¤œচাপ ও পরে গভীর নি¤œচাপের পর এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে আসানি। এখন পর্যন্ত এটি পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা ও বাংলাদেশের দিকে মুখ করে আছে। তবে এই মুহূর্তে এটি কোন দিকে আঘাত হানবে সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলা যাবে না। আমাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পরবর্তী আপডেট দেয়া হবে।’

শনিবার, ০৭ মে ২০২২ , ২৩ বৈশাখ ১৪২৮ ০৪ শাওয়াল ১৪৪৩

গভীর নিম্নচাপ কাল ঘূর্ণিঝড় আসানিতে রূপ নিতে পারে

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

দক্ষিণ আন্দামান সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘণীভূত হয়ে নি¤œচাপে পরিণত হতে পারে। এই লঘুচাপ পর্যায়ক্রমে নি¤œচাপ থেকে গভীর নি¤œচাপে পরিণত হয়ে আগামীকাল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী, লঘুচাপটি আগামীকাল সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে, তখন এটির নাম হবে ‘আসানি’। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আগামী ১০ মে রাতে ‘আসানি’ উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছাবে। তবে এটি কিছুটা পূর্বদিকে দিক পরিবর্তন করে উপকূলে আঘাত হানতে পারে ১১ মে। যে গতিপথ ধরে লঘুচাপটি অগ্রসর হচ্ছে, এতে বাংলাদেশের উপকূলে আসানির আঘাত হানার সম্ভাবনা কম। এমনকি পশ্চিমবঙ্গে বড় ধরনের প্রভাব নাও পড়তে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া অফিস।

ভারতের আবহাওয়া বিজ্ঞানী আনন্দ কুমার দাস জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ গতি উঠতে পারে ১০০ কিলোমিটার। সাগর প্রচ- বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠবে বিধায় সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলে ফিরে আসতে হবে। এ সময় ভারী বৃষ্টিপাত হবে উড়িষ্যায়।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও ঘণীভূত হতে পারে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে পরবর্তী নিদের্শনা পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে।

গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক সংবাদকে বলেন, ‘দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি আরও পরিবর্তন হয়ে গভীর লঘুচাপে পরিণত হবে। এরপর নি¤œচাপ ও পরে গভীর নি¤œচাপের পর এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে। ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে আসানি। এখন পর্যন্ত এটি পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা ও বাংলাদেশের দিকে মুখ করে আছে। তবে এই মুহূর্তে এটি কোন দিকে আঘাত হানবে সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে বলা যাবে না। আমাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পরবর্তী আপডেট দেয়া হবে।’