ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে এক নারীকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব বলছে, তার স্বামী বিদেশে থেকে তার মাধ্যমে মানবপাচার করছে। তাদের ড্যান্স বারে চাকরি দেয়ার কথা থাকলেও অসামাজিক কাজে বাধ্য করা হতো। অনামিকা আক্তার কাকলী (২৩) নামের ওই নারীকে গত বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-৩ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার নারীর স্বামী রফিকুল ইসলাম রানা (৩৪) বর্তমানে দুবাইয়ে বসবাস করে দেশ থেকে নারী পাচারের কাজ করছে বলে জানান র্যাবের এ ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস।
তিনি জানান, স্বামী ও স্ত্রীর এ চক্র গত দুই বছরে ৪০ জন নারীকে দুবাই পাঠিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় গ্রেপ্তার কাকলী। ওই নারী দুবাইয়ে ড্যান্স বারে কাজ দেয়ার নামে মধ্যপ্রাচ্যে দেশ থেকে নারী পাচার করে আসছিল। ভুক্তভোগী অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব কর্মকর্তা বীণা রানী বলেন, কাকলী দেশে থেকে বেকার যুবতীদের উচ্চ বেতনে ড্যান্স বারে চাকরি দেয়ার নাম করে প্রলোভন দেখাত।
এরপর তার স্বামী দুবাই হতে ভ্রমণ ভিসা ও টিকেটের ব্যবস্থা করে দেয়। এজন্য ভুক্তভোগীদের কোন খরচ বহন করতে হয় না। বিদেশ যাওয়ার পর তার পারিশ্রমিক হতে খরচের টাকা তুলে নেয়া হয়। তিনি বলেন, ড্যান্সবারে কাজ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও দুবাই যাওয়ার পর তাদের বিভিন্ন হোটেলে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করা হয়। কেউ এতে আপত্তি জানালে শারিরীক মানসিক নির্যাতন করে তাকে বাধ্য করানো হয়।
শনিবার, ০৭ মে ২০২২ , ২৩ বৈশাখ ১৪২৮ ০৪ শাওয়াল ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে এক নারীকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব বলছে, তার স্বামী বিদেশে থেকে তার মাধ্যমে মানবপাচার করছে। তাদের ড্যান্স বারে চাকরি দেয়ার কথা থাকলেও অসামাজিক কাজে বাধ্য করা হতো। অনামিকা আক্তার কাকলী (২৩) নামের ওই নারীকে গত বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-৩ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার নারীর স্বামী রফিকুল ইসলাম রানা (৩৪) বর্তমানে দুবাইয়ে বসবাস করে দেশ থেকে নারী পাচারের কাজ করছে বলে জানান র্যাবের এ ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস।
তিনি জানান, স্বামী ও স্ত্রীর এ চক্র গত দুই বছরে ৪০ জন নারীকে দুবাই পাঠিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় গ্রেপ্তার কাকলী। ওই নারী দুবাইয়ে ড্যান্স বারে কাজ দেয়ার নামে মধ্যপ্রাচ্যে দেশ থেকে নারী পাচার করে আসছিল। ভুক্তভোগী অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব কর্মকর্তা বীণা রানী বলেন, কাকলী দেশে থেকে বেকার যুবতীদের উচ্চ বেতনে ড্যান্স বারে চাকরি দেয়ার নাম করে প্রলোভন দেখাত।
এরপর তার স্বামী দুবাই হতে ভ্রমণ ভিসা ও টিকেটের ব্যবস্থা করে দেয়। এজন্য ভুক্তভোগীদের কোন খরচ বহন করতে হয় না। বিদেশ যাওয়ার পর তার পারিশ্রমিক হতে খরচের টাকা তুলে নেয়া হয়। তিনি বলেন, ড্যান্সবারে কাজ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও দুবাই যাওয়ার পর তাদের বিভিন্ন হোটেলে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করা হয়। কেউ এতে আপত্তি জানালে শারিরীক মানসিক নির্যাতন করে তাকে বাধ্য করানো হয়।