কিশোরগঞ্জে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের চাপ নেই বাস টার্মিনালে

প্রতিবছরই ঈদের পর কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে কিশোরগঞ্জের বাস টার্মিনাল আর রেল স্টেশনগুলোতে। কিন্তু এবার এই চিত্র যেন পাল্টে গেছে। কোথাও হুরোহুরি দেখা যাচ্ছে না। বাস টার্মিনালে টিকেট কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন তো দূরে থাক, গোটা টার্মিনাল দেখা গেছে ফাঁকা। মাঝের বৃহস্পতিবার বাদ দিলে এবার ঈদের ছুটি ছিল বেশ লম্বা। দুই বছরের করোনা মহামারীতে চাইলেই কেউ ঘন ঘন পরিবারের কাছে ছুটে আসতে পারতেন না। কিন্তু করোনা সংক্রমণ এখন একেবারে তলানিতে। আর এই সময়ে ঈদের লম্বা ছুটি পেয়ে কর্মজীবীরাও বেশ খুশি। তারা পুরো ছুটিটাই পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন।

গত শনিবার (৭ মে) ছিল শেষ ছুটির দিন। ফলে এদিন কিশোরগঞ্জের বাস, ট্রেন সর্বত্রই বর্হিমুখী যাত্রীদের প্রচ- ভিড় দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু এদিন সকাল ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে টার্মিনাল ফাঁকা। যাত্রী নেই বললেই চলে। কাউন্টারের সামনে অল্প কয়েকজন মানুষ টিকেট সংগ্রহ করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার রাস্তাঘাটের মান অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশ ভাল।

যে কারণে বাসগুলো কম সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছে। ফলে দৈনিক ট্রিপও দিতে পারছে অন্তত একটি বেশি। আর এই কারণেই যাত্রীদের চাপও অনেকটা কমে গেছে। আর সেই কারণে আকাশচুম্বি ভাড়া নেয়ারও সুযোগ হচ্ছে না। তবে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি বন্ধ নেই। কাউন্টারে টিকেট না পাওয়া গেলেও কালোবাজারিদের কাছে ঠিকই বেশি দামে টিকেট মিলছে।

শহরের গৌরাঙ্গবাজার এলাকার সামিউল হক অর্ক নামে এক তরুণ আন্তঃনগর এগারসিন্দুর ট্রেনের বিমানবন্দর স্টেশনের টিকেট কিনতে গিয়ে কাউন্টারে না পেয়ে কালোবাজারির কাছে গেলে ১৫০ টাকার টিকেট ৫০০ টাকা চেয়েছে।

রবিবার, ০৮ মে ২০২২ , ২৪ বৈশাখ ১৪২৮ ০৫ শাওয়াল ১৪৪৩

কিশোরগঞ্জে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের চাপ নেই বাস টার্মিনালে

জেলা বার্তা পরিবেশক, কিশোরগঞ্জ

image

কিশোরগঞ্জ : শনিবার সকাল ১০টার দিকে যাত্রীশূন্য আন্তঃজেলা গাইটাল বাস টার্মিনাল -সংবাদ

প্রতিবছরই ঈদের পর কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের চাপ দেখা গেছে কিশোরগঞ্জের বাস টার্মিনাল আর রেল স্টেশনগুলোতে। কিন্তু এবার এই চিত্র যেন পাল্টে গেছে। কোথাও হুরোহুরি দেখা যাচ্ছে না। বাস টার্মিনালে টিকেট কাউন্টারে দীর্ঘ লাইন তো দূরে থাক, গোটা টার্মিনাল দেখা গেছে ফাঁকা। মাঝের বৃহস্পতিবার বাদ দিলে এবার ঈদের ছুটি ছিল বেশ লম্বা। দুই বছরের করোনা মহামারীতে চাইলেই কেউ ঘন ঘন পরিবারের কাছে ছুটে আসতে পারতেন না। কিন্তু করোনা সংক্রমণ এখন একেবারে তলানিতে। আর এই সময়ে ঈদের লম্বা ছুটি পেয়ে কর্মজীবীরাও বেশ খুশি। তারা পুরো ছুটিটাই পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছেন।

গত শনিবার (৭ মে) ছিল শেষ ছুটির দিন। ফলে এদিন কিশোরগঞ্জের বাস, ট্রেন সর্বত্রই বর্হিমুখী যাত্রীদের প্রচ- ভিড় দেখা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। কিন্তু এদিন সকাল ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরের গাইটাল আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে টার্মিনাল ফাঁকা। যাত্রী নেই বললেই চলে। কাউন্টারের সামনে অল্প কয়েকজন মানুষ টিকেট সংগ্রহ করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবার রাস্তাঘাটের মান অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশ ভাল।

যে কারণে বাসগুলো কম সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছে। ফলে দৈনিক ট্রিপও দিতে পারছে অন্তত একটি বেশি। আর এই কারণেই যাত্রীদের চাপও অনেকটা কমে গেছে। আর সেই কারণে আকাশচুম্বি ভাড়া নেয়ারও সুযোগ হচ্ছে না। তবে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি বন্ধ নেই। কাউন্টারে টিকেট না পাওয়া গেলেও কালোবাজারিদের কাছে ঠিকই বেশি দামে টিকেট মিলছে।

শহরের গৌরাঙ্গবাজার এলাকার সামিউল হক অর্ক নামে এক তরুণ আন্তঃনগর এগারসিন্দুর ট্রেনের বিমানবন্দর স্টেশনের টিকেট কিনতে গিয়ে কাউন্টারে না পেয়ে কালোবাজারির কাছে গেলে ১৫০ টাকার টিকেট ৫০০ টাকা চেয়েছে।