১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে অনুষ্ঠিত ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর স্মৃতিচারণ ও এই মহান কর্মের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নিউইয়র্কের ঐতিহাসিক ম্যাডিসন স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হলো ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’। বিশ্ব দেখলো স্বাধীনতার অর্ধ শতক পর বাংলাদেশ এখন কোথায় দাঁড়িয়ে।
উন্নয়নের পথ ধরে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরা হয় দেশ বিদেশের দর্শকদের সামনে। সিটি ব্যাংক, ওয়ালটনসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় গত শুক্রবার রাতে এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্কে জমকালো আয়োজন আর গৌরবের ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সমৃদ্ধ বর্তমানকে উদযাপন করেছে বাংলাদেশ।
গতকাল আইসিটি বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিউইয়র্ক সময় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এই কনসার্টে অংশ নেয় জার্মানির বিখ্যাত রক ব্যান্ডদল স্করপিয়ন্স। আর বাংলাদেশের চিরকুট।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনেই আয়োজন করা হয়েছিল ঐতিহাসিক একটি কনসার্টের। বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সেই মহা আয়োজন ইতিহাসের পাতায় দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ নামেই উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি সেতারবাদক প-িত রবিশঙ্করের অনুরোধে তখন সেই কনসার্টের উদ্যোগ নিয়েছিলেন দ্য বিটলস ব্যান্ডখ্যাত ব্রিটিশ সংগীত তারকা জর্জ হ্যারিসন। সেই ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনেই এবার আয়োজন করা হলো গোল্ডেন জুবলি কনসার্টের।
ম্যাডিসন স্কয়ারে ‘গোল্ডেন জুবলি বাংলাদেশ’ জমকালো কনসার্টে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, অপরাজিতা হক ও নুরুল আমিন শিল্পী কাদেরি কিবরিয়ার সঙ্গে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলান।
এরপর স্বাগত বক্তব্যে তথ্য ও যোগযাগ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কনসার্ট আয়োজনের কারণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, কনসার্ট থেকে পাওয়া অর্থে দরিদ্র ও অনুন্নত দেশগুলোর শিশুদের সাইবার নিরাপত্তায় ব্যয় হবে। আর ইউএনডিপির সঙ্গে মিলে কাজটি করা হবে বলে জানান তিনি।
এরপর মঞ্চে আসে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল চিরকুট। ধনধান্যে পুষ্পে ভরা এই দেশের গানটি দিয়ে চিরকুট তাদের পরিবেশনা শুরু করে। এরপর একে একে তারা গেয়ে শোনায় দেশের গান, জাগরণের গান এবং নিজেদের মৌলিক গান। এ সময় চিরকুট ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী ও দলনেতা শারমিন সুলতানা সুমী বলেন, ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে গাইতে পারাটা তাদের জন্য বিরাট এক অর্জন।
অনুষ্ঠানে মিলনায়তন ভর্তি ছিল মানুষের ঢল। তাদের সামনে নিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে কয়েকটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের আইসিটি ডিভিশনের হাইটেক পার্ক অথরিটি আয়োজিত সেই কনসার্ট দেখার জন্য একই স্রোতে মিশেছিল নানা দেশের, নানা মানুষ।
কনসার্ট দেখতে যাওয়া দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, এমন পরিচ্ছন্ন ও চমৎকার আয়োজন দেখে তাদের মনে হয়েছে, এটি তাদের জীবনের জন্য আনন্দ ও গর্বের খোড়াক হয়েই থাকবে। গানে গানে আনন্দ দিয়েছে চিরকুট। আর স্কনপিয়ন্সের পরিবেশনা বুঝিয়ে দিয়েছে কেন তারা আলাদা এবং কেন তারা সেরা।
অনুষ্ঠানে বিদেশিসহ হাজারও প্রবাসী উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন। কনসার্ট উপলক্ষে ২০ হাজার আসনবিশিষ্ট মিলনায়তনের অধিকাংশই পরিপূর্ণ ছিল। দর্শক সারিতে বেশিরভাগ ছিলেন আমেরিকান। বিমুগ্ধচিত্তে তারা পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেন
রবিবার, ০৮ মে ২০২২ , ২৪ বৈশাখ ১৪২৮ ০৫ শাওয়াল ১৪৪৩
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে অনুষ্ঠিত ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর স্মৃতিচারণ ও এই মহান কর্মের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নিউইয়র্কের ঐতিহাসিক ম্যাডিসন স্কয়ারে অনুষ্ঠিত হলো ‘গোল্ডেন জুবিলি বাংলাদেশ কনসার্ট’। বিশ্ব দেখলো স্বাধীনতার অর্ধ শতক পর বাংলাদেশ এখন কোথায় দাঁড়িয়ে।
উন্নয়নের পথ ধরে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরা হয় দেশ বিদেশের দর্শকদের সামনে। সিটি ব্যাংক, ওয়ালটনসহ প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় গত শুক্রবার রাতে এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্কে জমকালো আয়োজন আর গৌরবের ইতিহাসের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সমৃদ্ধ বর্তমানকে উদযাপন করেছে বাংলাদেশ।
গতকাল আইসিটি বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিউইয়র্ক সময় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আয়োজিত এই কনসার্টে অংশ নেয় জার্মানির বিখ্যাত রক ব্যান্ডদল স্করপিয়ন্স। আর বাংলাদেশের চিরকুট।
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনেই আয়োজন করা হয়েছিল ঐতিহাসিক একটি কনসার্টের। বাংলাদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সেই মহা আয়োজন ইতিহাসের পাতায় দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ নামেই উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশের কিংবদন্তি সেতারবাদক প-িত রবিশঙ্করের অনুরোধে তখন সেই কনসার্টের উদ্যোগ নিয়েছিলেন দ্য বিটলস ব্যান্ডখ্যাত ব্রিটিশ সংগীত তারকা জর্জ হ্যারিসন। সেই ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনেই এবার আয়োজন করা হলো গোল্ডেন জুবলি কনসার্টের।
ম্যাডিসন স্কয়ারে ‘গোল্ডেন জুবলি বাংলাদেশ’ জমকালো কনসার্টে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, অপরাজিতা হক ও নুরুল আমিন শিল্পী কাদেরি কিবরিয়ার সঙ্গে জাতীয় সংগীতে কণ্ঠ মেলান।
এরপর স্বাগত বক্তব্যে তথ্য ও যোগযাগ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক কনসার্ট আয়োজনের কারণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, কনসার্ট থেকে পাওয়া অর্থে দরিদ্র ও অনুন্নত দেশগুলোর শিশুদের সাইবার নিরাপত্তায় ব্যয় হবে। আর ইউএনডিপির সঙ্গে মিলে কাজটি করা হবে বলে জানান তিনি।
এরপর মঞ্চে আসে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল চিরকুট। ধনধান্যে পুষ্পে ভরা এই দেশের গানটি দিয়ে চিরকুট তাদের পরিবেশনা শুরু করে। এরপর একে একে তারা গেয়ে শোনায় দেশের গান, জাগরণের গান এবং নিজেদের মৌলিক গান। এ সময় চিরকুট ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী ও দলনেতা শারমিন সুলতানা সুমী বলেন, ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে গাইতে পারাটা তাদের জন্য বিরাট এক অর্জন।
অনুষ্ঠানে মিলনায়তন ভর্তি ছিল মানুষের ঢল। তাদের সামনে নিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে কয়েকটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশের আইসিটি ডিভিশনের হাইটেক পার্ক অথরিটি আয়োজিত সেই কনসার্ট দেখার জন্য একই স্রোতে মিশেছিল নানা দেশের, নানা মানুষ।
কনসার্ট দেখতে যাওয়া দর্শনার্থীরা জানিয়েছেন, এমন পরিচ্ছন্ন ও চমৎকার আয়োজন দেখে তাদের মনে হয়েছে, এটি তাদের জীবনের জন্য আনন্দ ও গর্বের খোড়াক হয়েই থাকবে। গানে গানে আনন্দ দিয়েছে চিরকুট। আর স্কনপিয়ন্সের পরিবেশনা বুঝিয়ে দিয়েছে কেন তারা আলাদা এবং কেন তারা সেরা।
অনুষ্ঠানে বিদেশিসহ হাজারও প্রবাসী উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন। কনসার্ট উপলক্ষে ২০ হাজার আসনবিশিষ্ট মিলনায়তনের অধিকাংশই পরিপূর্ণ ছিল। দর্শক সারিতে বেশিরভাগ ছিলেন আমেরিকান। বিমুগ্ধচিত্তে তারা পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেন